সেনাবাহিনী এবার যথেষ্ট কৌশলী
মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির বিষয়ে
সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে মিসরে। মুরসির সমর্থকরা
সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে অভ্যুত্থান হিসেবে দেখছে।
তবে
মুরসির পতনের দাবিতে মিছিল-সমাবেশে রাজপথ কাঁপানো তৃণমূলের আন্দোলন
'তামারুদের' মতে এটা ছিল জনরায়ের প্রতিফলন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ২০১১ সালে
তখনকার স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতনের পর সেনাবাহিনী যে ভূমিকা নিয়েছিল
এর চেয়ে এবার ভিন্ন পন্থায় কাজ করেছে তারা। এবার তারা আগের চেয়ে অনেক
সাবধানী ও কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে। গতবারের মতো সরাসরি সামনে থেকে নেতৃত্ব না
দিয়ে এবার পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে তারা।
২০১১ সালে গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিন দশকের শাসক মুবারক। এর পরই মিসরের বিচারিক ও নির্বাহী ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ। এরপর সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু জনগণ সেসব আচরণ ভালোভাবে নেয়নি। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সেনাবাহিনী দেখেশুনে পদক্ষেপ নিয়েছে।
মুরসির ক্ষমতারোহণের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন তাঁর পদত্যাগ দাবিতে ৩০ জুন গণবিক্ষোভের ডাক দেয় তামারুদ। এতে যোগ দেয় লাখ লাখ মানুষ। এ সুযোগকে কাজে লাগায় সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী। তারা মূল ভূমিকায় না গিয়ে জনগণের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর রাস্তায় নামে তাঁর সমর্থকরা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়। সহিংসতা এড়াতে রাস্তায় ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করা হয়। দেশে স্বাভাবিকতা ফেরাতে প্রণয়ন করা রোডম্যাপও তত্ত্বাবধান করছে সেনাবাহিনী।
অন্তর্বর্তীকালীন মিসরের শাসনব্যবস্থা সেনাবাহিনী নয়, বেসারিক প্রশাসনের হাতে থাকবে- তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে যোগাযোগও করে। নানা কারণে আগেরবার সেনাবাহিনী জনসমর্থন হারায়। তবে এবার কৌশলেই সেনাবাহিনী তাদের ঝুলিতে জনগণ ও পুলিশের সমর্থন নিয়ে নিয়েছে।
এমনিতে গণমাধ্যমে সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, একে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল বলা যাবে না। আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীরা মুরসিকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। নির্দিষ্ট সময় পার হলেও তিনি পদ ছাড়েননি। ওই সময় সেনাবাহিনীও মাঠে নামে। তাদের ভাষায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ বাঁচাতেই জনগণের সঙ্গে তারা একাত্মতা প্রকাশ করে। মুরসি হটানোর পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের প্রধানকে।
বিশ্লেষকদের মতে, কেবল মুসলিম ব্রাদারহুড় ছাড়া জনগণ কিংবা সেনাবাহিনী কারোই সমর্থন ছিল না মুরসির পক্ষে। এ জন্যই ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি।
মিসরে সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই শক্তিশালী ও দৃঢ়। বিশেষ করে ১৯৫২ সালের পর থেকে দেশে দীর্ঘ সময় ধরে শাসনভার ছিল তাদের হাতে। ভঙ্গুর গণতন্ত্র ও দুর্বল রাষ্ট্রব্যবস্থার কারণেই মূল চালিকাশক্তির সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায় বারবার। ভবিষ্যতে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে তবেই সেনাবাহিনীর ভূমিকার রাশ টানা যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি।
২০১১ সালে গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিন দশকের শাসক মুবারক। এর পরই মিসরের বিচারিক ও নির্বাহী ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ। এরপর সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু জনগণ সেসব আচরণ ভালোভাবে নেয়নি। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সেনাবাহিনী দেখেশুনে পদক্ষেপ নিয়েছে।
মুরসির ক্ষমতারোহণের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন তাঁর পদত্যাগ দাবিতে ৩০ জুন গণবিক্ষোভের ডাক দেয় তামারুদ। এতে যোগ দেয় লাখ লাখ মানুষ। এ সুযোগকে কাজে লাগায় সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী। তারা মূল ভূমিকায় না গিয়ে জনগণের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর রাস্তায় নামে তাঁর সমর্থকরা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়। সহিংসতা এড়াতে রাস্তায় ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করা হয়। দেশে স্বাভাবিকতা ফেরাতে প্রণয়ন করা রোডম্যাপও তত্ত্বাবধান করছে সেনাবাহিনী।
অন্তর্বর্তীকালীন মিসরের শাসনব্যবস্থা সেনাবাহিনী নয়, বেসারিক প্রশাসনের হাতে থাকবে- তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে যোগাযোগও করে। নানা কারণে আগেরবার সেনাবাহিনী জনসমর্থন হারায়। তবে এবার কৌশলেই সেনাবাহিনী তাদের ঝুলিতে জনগণ ও পুলিশের সমর্থন নিয়ে নিয়েছে।
এমনিতে গণমাধ্যমে সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, একে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল বলা যাবে না। আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীরা মুরসিকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। নির্দিষ্ট সময় পার হলেও তিনি পদ ছাড়েননি। ওই সময় সেনাবাহিনীও মাঠে নামে। তাদের ভাষায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ বাঁচাতেই জনগণের সঙ্গে তারা একাত্মতা প্রকাশ করে। মুরসি হটানোর পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের প্রধানকে।
বিশ্লেষকদের মতে, কেবল মুসলিম ব্রাদারহুড় ছাড়া জনগণ কিংবা সেনাবাহিনী কারোই সমর্থন ছিল না মুরসির পক্ষে। এ জন্যই ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি।
মিসরে সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই শক্তিশালী ও দৃঢ়। বিশেষ করে ১৯৫২ সালের পর থেকে দেশে দীর্ঘ সময় ধরে শাসনভার ছিল তাদের হাতে। ভঙ্গুর গণতন্ত্র ও দুর্বল রাষ্ট্রব্যবস্থার কারণেই মূল চালিকাশক্তির সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায় বারবার। ভবিষ্যতে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে তবেই সেনাবাহিনীর ভূমিকার রাশ টানা যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি।
No comments