গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন-রায় মেনে নিন
গতকাল
শনিবার ছিল নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন। সম্প্রতি
অনুষ্ঠিত চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর এই নির্বাচনটি শুধু গাজীপুরবাসী
নয়, সারা দেশের মানুষের কাছেই ব্যাপক আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছিল।
প্রতিপক্ষ
প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ
করেছেন। দলীয় নির্বাচন না হলেও কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অনেক
অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছিল।
কিন্তু বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত
হলো নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। নবগঠিত এই সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে ১০ লাখ
ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। দু-একটি জায়গায় অনাহূত পরিবেশ
সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সতর্ক
অবস্থানের কারণে সেগুলো বড় কোনো ক্ষতির কারণ হতে পারেনি। ভোটারদের উপস্থিতি
ছিল খুবই আশাব্যঞ্জক। দুপুর ১টার মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট প্রদান করা হয়। ধারণা
করা হচ্ছে, কোনো কোনো কেন্দ্রে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। নারী ভোটারদের
উপস্থিতিও ছিল আগের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি। সব মিলিয়ে নির্বাচনের
পরিবেশ ছিল রীতিমতো উৎসবমুখর।
আমাদের দেশে কী স্থানীয়, কী জাতীয় নির্বাচন- পরাজয়কে সহজভাবে মেনে নেওয়ার সৎ সাহস ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি খুব একটা দেখা যায় না। কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগ যেমন থাকে, তেমনি বল প্রয়োগ বা সহিংসতার বাজে নজিরও দেখা যায়। সেই বিবেচনা থেকে সাম্প্রতিক চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। পরাজিত প্রার্থীরা কোনো রকম ওজর-আপত্তি ছাড়াই পরাজয়কে মেনে নিয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীকে স্বাগত জানিয়েছেন। একসঙ্গে মিষ্টিমুখ করেছেন। ফলে কোথাও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনাও দেখা যায়নি। গাজীপুরেও কি সেই একই ঐতিহ্য ধরে রাখা যাবে? আমরা তাই প্রত্যাশা করছি।
গাজীপুর নির্বাচনের কিছু বাজে দৃষ্টান্ত দেশের সচেতন প্রতিটি মানুষকে বিব্রত করেছে। এটি স্থানীয় সরকারের একটি নির্বাচন। অরাজনৈতিক ও নির্দলীয়ভাবেই এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড এটিকে প্রায় একটি দলীয় নির্বাচনের রূপ দিয়ে ফেলেছিল, যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। দ্বিতীয়ত, প্রচার-প্রচারণায় স্থানীয় বিষয়াদির চেয়ে জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়েছে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়। তৃতীয়ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়ও ছোটখাটো পরিসরে পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে টাকাপয়সা বিতরণেরও খবর পাওয়া গেছে। আইন বা নিয়মকানুন না মানার এই প্রবণতা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে যেকোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানই কষ্টকর হয়ে পড়বে। পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর পক্ষেও পিটিয়ে আইন মানানো সম্ভব নয়, যদি না এ ব্যাপারে প্রার্থী, তাঁর কর্মী-সমর্থক এবং সর্বোপরি ভোটাররা আরো সচেতন হন।
এই লেখার সময় পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। আমরা আশা করি, ফলাফল যাই হোক না কেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই তা মেনে নেবে এবং ভোটারদের রায়ের প্রতি যথার্থ সম্মান দেখাবে। আশা করি, আগের চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঐতিহ্য গাজীপুরেও রক্ষিত হবে।
আমাদের দেশে কী স্থানীয়, কী জাতীয় নির্বাচন- পরাজয়কে সহজভাবে মেনে নেওয়ার সৎ সাহস ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি খুব একটা দেখা যায় না। কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগ যেমন থাকে, তেমনি বল প্রয়োগ বা সহিংসতার বাজে নজিরও দেখা যায়। সেই বিবেচনা থেকে সাম্প্রতিক চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। পরাজিত প্রার্থীরা কোনো রকম ওজর-আপত্তি ছাড়াই পরাজয়কে মেনে নিয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীকে স্বাগত জানিয়েছেন। একসঙ্গে মিষ্টিমুখ করেছেন। ফলে কোথাও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনাও দেখা যায়নি। গাজীপুরেও কি সেই একই ঐতিহ্য ধরে রাখা যাবে? আমরা তাই প্রত্যাশা করছি।
গাজীপুর নির্বাচনের কিছু বাজে দৃষ্টান্ত দেশের সচেতন প্রতিটি মানুষকে বিব্রত করেছে। এটি স্থানীয় সরকারের একটি নির্বাচন। অরাজনৈতিক ও নির্দলীয়ভাবেই এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড এটিকে প্রায় একটি দলীয় নির্বাচনের রূপ দিয়ে ফেলেছিল, যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। দ্বিতীয়ত, প্রচার-প্রচারণায় স্থানীয় বিষয়াদির চেয়ে জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়েছে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়। তৃতীয়ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়ও ছোটখাটো পরিসরে পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে টাকাপয়সা বিতরণেরও খবর পাওয়া গেছে। আইন বা নিয়মকানুন না মানার এই প্রবণতা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে যেকোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানই কষ্টকর হয়ে পড়বে। পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর পক্ষেও পিটিয়ে আইন মানানো সম্ভব নয়, যদি না এ ব্যাপারে প্রার্থী, তাঁর কর্মী-সমর্থক এবং সর্বোপরি ভোটাররা আরো সচেতন হন।
এই লেখার সময় পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। আমরা আশা করি, ফলাফল যাই হোক না কেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই তা মেনে নেবে এবং ভোটারদের রায়ের প্রতি যথার্থ সম্মান দেখাবে। আশা করি, আগের চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঐতিহ্য গাজীপুরেও রক্ষিত হবে।
No comments