অনলাইন থেকে-স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয়
সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড
স্নোডেনকে কেন্দ্র করে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। সপ্তাহকালেরও বেশি সময় ধরে
তিনি বিমানবন্দরে ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন। এটাই আপাতত মনে হচ্ছে।
তাঁকে রাশিয়ার কোথাও দেখা যায়নি।
তাঁকে সামনাসামনি
দেখেছেন এমন দাবি করছেন অনেকেই। তবে একজন মহিলা বলেছেন, তিনি তাঁকে
এরোফ্লোটে যাত্রী অবস্থায় দেখেছেন। দেখেছেন কিছু পণ্যের মূল্য যাচাই করতে।
কিন্তু কে সুস্পষ্ট তাঁকে দেখেছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। আসলে ট্রানজিট
এলাকাটা সেই অর্থে অন্ধকারই বলা যায়। কারণ হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত
সেখানে। আর এই অদেখা মানুষটি নিয়ে গল্প-কাহিনী ছড়িয়ে পড়ার সুযোগও তৈরি
হয়েছে এ জন্য।
স্নোডেনের যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, যে জন্য তাঁর পক্ষে ট্রানজিট এলাকা ছাড়াও সম্ভব নয়। স্নোডেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সরকার কিছু করতে পারবে না, কারণ তিনি রাশিয়ার কোনো আইন অমান্য করেননি। আবার রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়ারও সুযোগ নেই। অন্যদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো অনুরোধও পায়নি রাশিয়া। ইকুয়েডর ইতিমধ্যে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তাদের অসম্মতির কথা জানিয়ে দিয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, স্নোডেনকে আশ্রয় দিলে বাণিজ্য সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে। পলাতক এই গুপ্তচর কিউবায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিতেও উৎসাহী নন।
রাশিয়ার অবস্থান কী হবে? এডওয়ার্ড স্নোডেনকে কি রাশিয়া রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে? সোমবার রাশিয়ায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, স্নোডেন যদি জনস্বার্থে কাজ করে থাকেন, তাহলে রাশিয়ার উচিত হবে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া। রাশিয়ার মানবাধিকারকর্মী সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সভাপতিমণ্ডলীর প্রধান মিখাইল ফেদোতভ বলেছেন, শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো রাশিয়ার জন্য ঠিক হবে না।
ভেনিজুয়েলা ও ইকুয়েডরের কূটনীতিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে স্নোডেনের ব্যাপারে। তাঁরা স্নোডেনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এখানে বলে নেওয়া ভালো, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কুরিয়্য ডেলগাডু বলেছেন, স্নোডেনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে রাশিয়া। কারণ রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সে দেশটির কাছেই আবেদন জানিয়েছেন স্নোডেন। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, স্নোডেনের ভাগ্য নির্ধারণ করা ক্রেমলিনের বিষয় নয়।
কিন্তু পাবলিক চেম্বার অব রাশিয়ান ফেডারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি ভ্লাদিস্লাভ গ্রিব মনে করেন, রাশিয়ার উচিত হবে স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া; অবশ্য তিনি যদি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটা কোনোভাবেই অবৈধ হবে না। তদুপরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যৌথ বন্দিবিনিময় চুক্তিরও অস্তিত্ব নেই। অন্যদিকে রিফিউজি কনভেনশন চুক্তি এটা সমর্থন করে। আমাদের এখানকার আইনের কথা বিবেচনা করলেও এটা বৈধ হবে। রাশিয়ার আইন সেই অধিকার আমাদের প্রদান করেছে।
লেখক : ওলেগ আর্তিকভ
প্রাভদা থেকে ভাষান্তর এম হোসেইন
স্নোডেনের যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, যে জন্য তাঁর পক্ষে ট্রানজিট এলাকা ছাড়াও সম্ভব নয়। স্নোডেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সরকার কিছু করতে পারবে না, কারণ তিনি রাশিয়ার কোনো আইন অমান্য করেননি। আবার রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়ারও সুযোগ নেই। অন্যদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো অনুরোধও পায়নি রাশিয়া। ইকুয়েডর ইতিমধ্যে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তাদের অসম্মতির কথা জানিয়ে দিয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, স্নোডেনকে আশ্রয় দিলে বাণিজ্য সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে। পলাতক এই গুপ্তচর কিউবায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিতেও উৎসাহী নন।
রাশিয়ার অবস্থান কী হবে? এডওয়ার্ড স্নোডেনকে কি রাশিয়া রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে? সোমবার রাশিয়ায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, স্নোডেন যদি জনস্বার্থে কাজ করে থাকেন, তাহলে রাশিয়ার উচিত হবে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া। রাশিয়ার মানবাধিকারকর্মী সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সভাপতিমণ্ডলীর প্রধান মিখাইল ফেদোতভ বলেছেন, শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো রাশিয়ার জন্য ঠিক হবে না।
ভেনিজুয়েলা ও ইকুয়েডরের কূটনীতিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে স্নোডেনের ব্যাপারে। তাঁরা স্নোডেনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এখানে বলে নেওয়া ভালো, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কুরিয়্য ডেলগাডু বলেছেন, স্নোডেনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে রাশিয়া। কারণ রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সে দেশটির কাছেই আবেদন জানিয়েছেন স্নোডেন। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, স্নোডেনের ভাগ্য নির্ধারণ করা ক্রেমলিনের বিষয় নয়।
কিন্তু পাবলিক চেম্বার অব রাশিয়ান ফেডারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি ভ্লাদিস্লাভ গ্রিব মনে করেন, রাশিয়ার উচিত হবে স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া; অবশ্য তিনি যদি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটা কোনোভাবেই অবৈধ হবে না। তদুপরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যৌথ বন্দিবিনিময় চুক্তিরও অস্তিত্ব নেই। অন্যদিকে রিফিউজি কনভেনশন চুক্তি এটা সমর্থন করে। আমাদের এখানকার আইনের কথা বিবেচনা করলেও এটা বৈধ হবে। রাশিয়ার আইন সেই অধিকার আমাদের প্রদান করেছে।
লেখক : ওলেগ আর্তিকভ
প্রাভদা থেকে ভাষান্তর এম হোসেইন
No comments