সিইসির আহ্বান-পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখুন বিজয় মিছিলও করবেন না
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী
রকিবউদ্দীন আহমদ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব প্রার্থী ও তাঁদের
সমর্থকদের জনগণের রায় মেনে নিয়ে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান
জানিয়েছেন।
তিনি বিজয়ীদের বিজয় মিছিল না করারও অনুরোধ
জানিয়ে বলেন, 'নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহিংস ঘটনা ঘটানোর
অপচেষ্টা হলে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।'
গতকাল বিকেল ৫টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। ভোটাররা কড়া রোদ, গরম, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রার্থীরা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছেন। সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, 'আপনারা ভালো কাভারেজ দিয়েছেন। আমাদের লোকজনের চেয়ে আপনাদের মাধ্যমে আমরা এ নির্বাচন সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য পেয়েছি। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসী আপনাদের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জেনেছে।'
এই নির্বাচনে কত শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন- এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, 'সর্বশেষ বিকেল ৪টায় আমাকে জানানো হয়েছে ৫৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এতে ভোট প্রদানের হার আরো বাড়তে পারে।'
ইসিতে বিএনপির অভিযোগ : এর আগে আজ বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির নেতা এম কে আনোয়ার, বরকত উল্লা বুলু ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি নির্বাচন কমিশনকে বেশ কিছু অনিয়মের তথ্য অভিযোগ আকারে জানান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে বাশার নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নিজেই ব্যালটে সিল মেরেছেন। ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গী সরকারি কলেজ কেন্দ্রের ৮ নম্বর বুথে একজন নারী একাই ৩৬টি জাল ভোট দিয়েছেন। ১৮ দল সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট শুক্কুর আলীকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাঁর ওপর কয়েকটি কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিল। ওই সব কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও তাঁর কাছে ছিল।
এম কে আনোয়ার বলেন, ফল বদলানোর কোনো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তবে সেই পরিস্থিতি তৈরির জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফল যদি বদলানো হয়, তাহলে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর দায় সরকার ও ইসিকে নিতে হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে গতকাল অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল গাজীপুরে ভোটগ্রহণের মাত্র দুই দিন আগে গতকাল নির্বাচন কমিশন তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১৯ থেকে সাতজনে নামিয়ে আনার বিষয়টি। কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এ পরিবর্তন আনা হয়।
গতকাল বিকেল ৫টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। ভোটাররা কড়া রোদ, গরম, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রার্থীরা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছেন। সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, 'আপনারা ভালো কাভারেজ দিয়েছেন। আমাদের লোকজনের চেয়ে আপনাদের মাধ্যমে আমরা এ নির্বাচন সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য পেয়েছি। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসী আপনাদের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জেনেছে।'
এই নির্বাচনে কত শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন- এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, 'সর্বশেষ বিকেল ৪টায় আমাকে জানানো হয়েছে ৫৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এতে ভোট প্রদানের হার আরো বাড়তে পারে।'
ইসিতে বিএনপির অভিযোগ : এর আগে আজ বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির নেতা এম কে আনোয়ার, বরকত উল্লা বুলু ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি নির্বাচন কমিশনকে বেশ কিছু অনিয়মের তথ্য অভিযোগ আকারে জানান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে বাশার নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নিজেই ব্যালটে সিল মেরেছেন। ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গী সরকারি কলেজ কেন্দ্রের ৮ নম্বর বুথে একজন নারী একাই ৩৬টি জাল ভোট দিয়েছেন। ১৮ দল সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট শুক্কুর আলীকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাঁর ওপর কয়েকটি কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিল। ওই সব কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও তাঁর কাছে ছিল।
এম কে আনোয়ার বলেন, ফল বদলানোর কোনো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তবে সেই পরিস্থিতি তৈরির জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফল যদি বদলানো হয়, তাহলে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর দায় সরকার ও ইসিকে নিতে হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে গতকাল অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল গাজীপুরে ভোটগ্রহণের মাত্র দুই দিন আগে গতকাল নির্বাচন কমিশন তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১৯ থেকে সাতজনে নামিয়ে আনার বিষয়টি। কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এ পরিবর্তন আনা হয়।
No comments