শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিংয়ে তিন তরুণ by সুমনকুমার দাশ
বিশ্বে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মধ্যে
গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিযোগিতা হচ্ছে এসিএম-আইসিপিসি কনটেস্ট। বিশ্বের
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সেরা প্রতিযোগীরা সারা বছর ধরে মুখিয়ে থাকেন এ
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি দলের পাশাপাশি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের দলটিও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ
নিতে এখন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং কলেজিয়েট প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বে ৯১টি দেশের দুই হাজার ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় হাজার ৯০০টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ১২০টি দলকে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। এ দলগুলো রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ২৯ জুন থেকে ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী বাকের মোহাম্মদ আনাছ, ফরহাদ আহমদ ও স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদ হোসাইনের সমন্বয়ে তিন সদস্যের ‘সাস্ট-প্লেইনড্রোম’ নামে একটি দল গঠিত হয়। দলটির কোচ হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম। সহকারী কোচ হিসেবে রয়েছেন সাইফ সামস ও আয়েশা তাসনিম। এ দলটি দেশের বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। দলটির তিন সদস্যই সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকাতে কর্মরত রয়েছেন।
২০১২ সালে সাস্ট-প্লেইনড্রোমের সদস্যরা পোল্যান্ডের ওয়ারসো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করেছিলেন। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ১০ থেকে ১২টি প্রোগ্রামিং প্রবলেম যে দল বেশি সমাধান করতে পারবে, তাদেরই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ রওয়া হওয়ার আগে সাস্ট-প্লেইনড্রোমের দলনেতা বাকের মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ‘এসিএম-আইসিপিসি কনটেস্টটি বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। অতীতে ঢাকার বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দল এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। আমরাই প্রথমবারের মতো এ গৌরব অর্জন করেছি। এবার বাংলাদেশ থেকে বুয়েট ও আমরা চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করছি। আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে অংশগ্রহণ করাটা সত্যিই অনেক আনন্দের ও গর্বের বিষয়।’
দলটির অপর সদস্য ফরহাদ আহমদ বলেন, ‘নিজেকে অনেক আনন্দিত লাগছে ওয়ার্ল্ড ফাইনালসের মতো বড় একটি আসরে অংশগ্রহণের সুযোগ করে নিতে পেরে। শুরু থেকে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।’ প্রায় অভিন্ন মন্তব্য করেন আরেক সদস্য মাকসুদ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
sumankumardash@yahoo.com
আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং কলেজিয়েট প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বে ৯১টি দেশের দুই হাজার ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় হাজার ৯০০টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ১২০টি দলকে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। এ দলগুলো রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ২৯ জুন থেকে ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী বাকের মোহাম্মদ আনাছ, ফরহাদ আহমদ ও স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদ হোসাইনের সমন্বয়ে তিন সদস্যের ‘সাস্ট-প্লেইনড্রোম’ নামে একটি দল গঠিত হয়। দলটির কোচ হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম। সহকারী কোচ হিসেবে রয়েছেন সাইফ সামস ও আয়েশা তাসনিম। এ দলটি দেশের বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। দলটির তিন সদস্যই সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকাতে কর্মরত রয়েছেন।
২০১২ সালে সাস্ট-প্লেইনড্রোমের সদস্যরা পোল্যান্ডের ওয়ারসো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করেছিলেন। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ১০ থেকে ১২টি প্রোগ্রামিং প্রবলেম যে দল বেশি সমাধান করতে পারবে, তাদেরই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ রওয়া হওয়ার আগে সাস্ট-প্লেইনড্রোমের দলনেতা বাকের মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ‘এসিএম-আইসিপিসি কনটেস্টটি বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। অতীতে ঢাকার বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দল এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। আমরাই প্রথমবারের মতো এ গৌরব অর্জন করেছি। এবার বাংলাদেশ থেকে বুয়েট ও আমরা চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করছি। আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে অংশগ্রহণ করাটা সত্যিই অনেক আনন্দের ও গর্বের বিষয়।’
দলটির অপর সদস্য ফরহাদ আহমদ বলেন, ‘নিজেকে অনেক আনন্দিত লাগছে ওয়ার্ল্ড ফাইনালসের মতো বড় একটি আসরে অংশগ্রহণের সুযোগ করে নিতে পেরে। শুরু থেকে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।’ প্রায় অভিন্ন মন্তব্য করেন আরেক সদস্য মাকসুদ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
sumankumardash@yahoo.com
No comments