গোয়ালন্দ ঘাট পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে গাড়ি পার করে দেওয়ার অভিযোগ
যানজটের সুযোগে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে সিরিয়াল ভেঙে গাড়ি ফেরিতে ওঠার সুযোগ
করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেরিসংকট এবং নদীতে
সরেজমিনে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেরিসংকট এবং নদীতে
তীব্র
স্রোত ও ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় কয়েক দিন ধরে দৌলতদিয়া
ঘাটে যানজট লেগে আছে। কয়েকজন গাড়িচালক ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন,
যানজটের সুযোগে ঘাটে কর্মরত কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ এবং দালাল চক্র
টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভেঙে বাইপাস (বিকল্প) সড়ক দিয়ে গাড়ি ফেরিতে ওঠার
ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘাটে অপেক্ষা করে দেখা যায়, ফেরিসংকটের কারণে ঘাট থেকে ক্যানেল ঘাট পর্যন্ত দুই-তিন সারিতে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। ক্যানেল ঘাটের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পর্যন্ত গাড়ির আরও প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সারি। ঘাটের টার্মিনালসংলগ্ন বিকল্প সড়কের প্রবেশমুখে ট্রাফিক পুলিশ স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী গাড়ি দ্রুত ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছে।
খুলনা থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চালক রুমি শেখ বলেন, ‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। অথচ স্থানীয় দালাল এবং পুলিশ ২০০-৩০০ করে টাকা নিয়ে সিরিয়াল ভেঙে অনেক গাড়ি বাইপাস সড়ক দিয়ে বের করে দিচ্ছে।’ যশোর থেকে আসা ট্রাকের চালক হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে এসে সিরিয়াল দিয়ে এখনো পার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না। অথচ আমাদের অনেক পরে এসেও কিছু গাড়িচালক ৩০০-৫০০ টাকা করে দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে।’
বিকল্প সড়কের প্রবেশমুখের একটু দূরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা গেল ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মেহেদী হাসান ও এক পুলিশ কনস্টেবল বাস-ট্রাকের সিরিয়াল ঠিক রাখছেন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু দালাল কথা বলে মাঝেমধ্যে গাড়ি বাইপাস সড়ক দিয়ে ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছেন। আধা ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০টি গাড়ি দ্রুত ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিলেন তাঁরা।
গত ২২ জুন গোয়ালন্দের ইউএনও ছরোয়ার হোসেন দালালের মাধ্যমে টাকা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে সিরিয়াল ভেঙে যাত্রীবাহী বাস ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিতে দেখেন। পরে একটি বাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। মেহেদী হাসান দালালদের মাধ্যমে টাকা নিয়ে সিরিয়াল ভেঙে বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়ি পার করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর সামনেই ১০ মিনিটে কয়েকটি গাড়ি সিরিয়াল ভেঙে ফেরিতে ওঠার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি বাসে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার আত্মীয় ছিল। পরিচিত একজনের অনুরোধে আরেকটি গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর গরুর গাড়িগুলো ট্রলার ঘাটে নামবে বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে অনুরোধের কারণে গাড়ি ছাড়তে হয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘাটে অপেক্ষা করে দেখা যায়, ফেরিসংকটের কারণে ঘাট থেকে ক্যানেল ঘাট পর্যন্ত দুই-তিন সারিতে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। ক্যানেল ঘাটের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পর্যন্ত গাড়ির আরও প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সারি। ঘাটের টার্মিনালসংলগ্ন বিকল্প সড়কের প্রবেশমুখে ট্রাফিক পুলিশ স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী গাড়ি দ্রুত ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছে।
খুলনা থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চালক রুমি শেখ বলেন, ‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। অথচ স্থানীয় দালাল এবং পুলিশ ২০০-৩০০ করে টাকা নিয়ে সিরিয়াল ভেঙে অনেক গাড়ি বাইপাস সড়ক দিয়ে বের করে দিচ্ছে।’ যশোর থেকে আসা ট্রাকের চালক হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে এসে সিরিয়াল দিয়ে এখনো পার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না। অথচ আমাদের অনেক পরে এসেও কিছু গাড়িচালক ৩০০-৫০০ টাকা করে দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে।’
বিকল্প সড়কের প্রবেশমুখের একটু দূরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা গেল ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মেহেদী হাসান ও এক পুলিশ কনস্টেবল বাস-ট্রাকের সিরিয়াল ঠিক রাখছেন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু দালাল কথা বলে মাঝেমধ্যে গাড়ি বাইপাস সড়ক দিয়ে ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছেন। আধা ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০টি গাড়ি দ্রুত ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিলেন তাঁরা।
গত ২২ জুন গোয়ালন্দের ইউএনও ছরোয়ার হোসেন দালালের মাধ্যমে টাকা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে সিরিয়াল ভেঙে যাত্রীবাহী বাস ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিতে দেখেন। পরে একটি বাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। মেহেদী হাসান দালালদের মাধ্যমে টাকা নিয়ে সিরিয়াল ভেঙে বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়ি পার করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর সামনেই ১০ মিনিটে কয়েকটি গাড়ি সিরিয়াল ভেঙে ফেরিতে ওঠার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি বাসে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার আত্মীয় ছিল। পরিচিত একজনের অনুরোধে আরেকটি গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর গরুর গাড়িগুলো ট্রলার ঘাটে নামবে বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে অনুরোধের কারণে গাড়ি ছাড়তে হয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
No comments