আত্মবিশ্বাস বাড়ল বিএনপির by মোশাররফ বাবলু
চার সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ের পর এবার গাজীপুরেও ১৮ দলীয় জোটের
প্রার্থীর জয়ে বিএনপি এখন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে। দলের নেতারা বলছেন, এবার
জাতীয় নির্বাচন যদি নির্দলীয় সরকারের অধীনে হয়, তাহলে বিএনপির বিজয়
সুনিশ্চিত।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভরাডুবি হবে ভেবেই
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে নারাজ মন্তব্য করে তাঁরা বলেন, ঈদের
পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জোরালো আন্দোলনে নামবে
বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের মানুষ যে আর চায় না, তা চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর গতকাল গাজীপুরেও প্রমাণিত হলো। এখন সরকারের উচিত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করা। তিনি বলেন, 'নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে। ঈদের পর নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।'
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নির্বাচনের ফল বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। ঢাকার নেতা-কর্মীরা দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করে। অনেকে রাতেই উত্তরা, গাজীপুর-টঙ্গীর দিকে আগাতে থাকে। কেন্দ্র থেকেও বারবার নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ ও ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের সামনেই অবস্থান নিতে বলা হয়।
গতকাল ভোটগ্রহণ চলাকালে বিএনপি দফায় দফায় ব্রিফিং করে সরকারকে নানাভাবে চাপের মধ্যে রাখে। নির্বাচন কমিশনে গিয়েও ভোট কারচুপির আশঙ্কার কথা জানান নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গণরায় বদল করার নীলনকশা করছে সরকার।
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজে গুলশানের কার্যালয়ে বসে মনিটরিং করেন এবং সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে গাজীপুরের খোঁজ-খবর রাখেন। নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি দফায় দফায় ব্রিফিং করে পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
বিএনপি আগে থেকেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে ৬২টি টিম গঠন করে। টিমের মনিটরিং কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ। এই টিমের সঙ্গে ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মী, বিএনপির ১১টি অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, বৃহত্তর ঢাকার সাবেক এমপি, ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর নেতা-কর্মী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাজে লাগানো হয়। তাদের নিয়েও গঠন করা হয় বেশ কয়েকটি টিম। গাজীপুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এই টিমগুলো কাজ শুরু করে।
জানা যায়, বিএনপির সিদ্ধান্ত ছিল কোনো ধরনের ভোট কারচুপি হলেই কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। টানা তিন দিনের হরতাল দেওয়ারও সিদ্ধান্ত ছিল।
বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু গাজীপুরবাসী ও ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ থাকায় সরকারের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। বিশেষ করে নির্বাচনের তিন দিন আগে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে এনবিআরের মামলা ও ব্যাংকের হিসাব জব্দ করাটাও ভোটাররা ভালো চোখে নেননি। এ ছাড়া প্রভাব পড়েছে জাতীয় ইসু্যু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি আন্দোলন, হেফাজত ইসলামের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, জাহাঙ্গীর হোসেনকে বসিয়ে দেওয়ার পরও তাঁর আনারস প্রতীক বহাল থাকা, জাহাঙ্গীরের মায়াকান্না, মহাজোটের হয়েও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনীতিকরণ এসব ভোটারদের প্রভাবিত করে। এরশাদ একদিকে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের কৌশলে ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। শেষ পর্যায়ে দুই দিন আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়াও ছিল তাঁর রাজনীতিকরণ কৌশল।
স্থানীয় নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে জানা গেছে, বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। বিগত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগ গাজীপুর এলাকায় কোনো কাজ করেনি। টঙ্গী ও আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টের সংখ্যা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি। কিন্তু সরকার গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয় ১৭ বছর ধরে পৌরসভার মেয়র থাকার পরও আজমত উল্লা খান এলাকার উন্নয়ন করতে পারেননি। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্বও ছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের মানুষ যে আর চায় না, তা চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর গতকাল গাজীপুরেও প্রমাণিত হলো। এখন সরকারের উচিত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করা। তিনি বলেন, 'নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে। ঈদের পর নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।'
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নির্বাচনের ফল বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। ঢাকার নেতা-কর্মীরা দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করে। অনেকে রাতেই উত্তরা, গাজীপুর-টঙ্গীর দিকে আগাতে থাকে। কেন্দ্র থেকেও বারবার নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ ও ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের সামনেই অবস্থান নিতে বলা হয়।
গতকাল ভোটগ্রহণ চলাকালে বিএনপি দফায় দফায় ব্রিফিং করে সরকারকে নানাভাবে চাপের মধ্যে রাখে। নির্বাচন কমিশনে গিয়েও ভোট কারচুপির আশঙ্কার কথা জানান নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গণরায় বদল করার নীলনকশা করছে সরকার।
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজে গুলশানের কার্যালয়ে বসে মনিটরিং করেন এবং সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে গাজীপুরের খোঁজ-খবর রাখেন। নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি দফায় দফায় ব্রিফিং করে পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
বিএনপি আগে থেকেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে ৬২টি টিম গঠন করে। টিমের মনিটরিং কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ। এই টিমের সঙ্গে ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মী, বিএনপির ১১টি অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, বৃহত্তর ঢাকার সাবেক এমপি, ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর নেতা-কর্মী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাজে লাগানো হয়। তাদের নিয়েও গঠন করা হয় বেশ কয়েকটি টিম। গাজীপুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এই টিমগুলো কাজ শুরু করে।
জানা যায়, বিএনপির সিদ্ধান্ত ছিল কোনো ধরনের ভোট কারচুপি হলেই কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। টানা তিন দিনের হরতাল দেওয়ারও সিদ্ধান্ত ছিল।
বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু গাজীপুরবাসী ও ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ থাকায় সরকারের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। বিশেষ করে নির্বাচনের তিন দিন আগে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে এনবিআরের মামলা ও ব্যাংকের হিসাব জব্দ করাটাও ভোটাররা ভালো চোখে নেননি। এ ছাড়া প্রভাব পড়েছে জাতীয় ইসু্যু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি আন্দোলন, হেফাজত ইসলামের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, জাহাঙ্গীর হোসেনকে বসিয়ে দেওয়ার পরও তাঁর আনারস প্রতীক বহাল থাকা, জাহাঙ্গীরের মায়াকান্না, মহাজোটের হয়েও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনীতিকরণ এসব ভোটারদের প্রভাবিত করে। এরশাদ একদিকে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের কৌশলে ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। শেষ পর্যায়ে দুই দিন আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়াও ছিল তাঁর রাজনীতিকরণ কৌশল।
স্থানীয় নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে জানা গেছে, বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। বিগত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগ গাজীপুর এলাকায় কোনো কাজ করেনি। টঙ্গী ও আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টের সংখ্যা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি। কিন্তু সরকার গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয় ১৭ বছর ধরে পৌরসভার মেয়র থাকার পরও আজমত উল্লা খান এলাকার উন্নয়ন করতে পারেননি। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্বও ছিল।
No comments