আইনের কার্যকর প্রয়োগ জরুরি হরতালে শিশুদের ব্যবহার
সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার মতো একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ বলা চলে মুক্তই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ব্যবহূত হতে দেখা গেছে।
সরকার এ প্রবণতা রোধে সদ্য প্রণীত শিশু আইনে সন্ত্রাস দমন আইনকেও যুক্ত
করেছে। এর লক্ষ্য হলো, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি সন্ত্রাসের কাজে শিশুদের
ব্যবহার করে, তাহলে তার বিচার যাতে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে করা সম্ভব
হয়। এটা এখন আরও উদ্বেগের বিষয় যে নতুন আইনে শিশুদের সন্ত্রাসী তৎপরতায়
ব্যবহারে কঠোর শাস্তির বিধান করার পরও শিবিরের পক্ষে শিশুদের ব্যবহার কিংবা
শিবিরের ডাকা হরতালকালে শিশুদের সড়ক অবরোধে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।
লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়ক থেকে তোলা এ-সংক্রান্ত একটি আলোকচিত্র প্রথম আলোয় ৪
জুলাই ছাপা হয়েছে।
শিবির যদি এর দায়দায়িত্ব অস্বীকারও করে, তবু আমরা অন্তত উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারি যে আমাদের রুগ্ণ রাজনীতিতে যেন এ রকম একটি স্পর্শকাতর উপসর্গ যুক্ত না হয়। যার যেমনই দল ও মত থাকুক, তারা যেন অন্তত কোনো অজুহাতেই শিশুদের ব্যবহারের প্রবণতা না দেখায়। শিশুদের অপব্যবহার বা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের মতো দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না।
আইনানুগ প্রক্রিয়াতেই এই প্রবণতাকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে হবে। তবে কেবল কঠোর আইন করলেই এর সুরাহা হবে না। রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এর বিরুদ্ধে সজাগ ও সোচ্চার হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে সবচেয়ে বেশি। হেফাজতের সমাবেশে যোগ দিতে এসে শত শত এতিম আটকা পড়ে এবং অবর্ণনীয় দুঃখ ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে। অথচ হেফাজতের নেতারা আজ পর্যন্ত এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেননি। অন্যদিকে দুই প্রধান দলের ডাকা উত্তপ্ত কর্মসূচিকালে টোকাইদের পিকেটিং বন্ধেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না।
আমরা বিশ্বাস করি, এখন পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে যা ঘটেছে, তা পরিকল্পিত কিছু করা থেকে অনেক দূরে। এটা যেন কোনোক্রমেই আমাদের গ্রাস না করে।
শিবির যদি এর দায়দায়িত্ব অস্বীকারও করে, তবু আমরা অন্তত উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারি যে আমাদের রুগ্ণ রাজনীতিতে যেন এ রকম একটি স্পর্শকাতর উপসর্গ যুক্ত না হয়। যার যেমনই দল ও মত থাকুক, তারা যেন অন্তত কোনো অজুহাতেই শিশুদের ব্যবহারের প্রবণতা না দেখায়। শিশুদের অপব্যবহার বা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের মতো দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না।
আইনানুগ প্রক্রিয়াতেই এই প্রবণতাকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে হবে। তবে কেবল কঠোর আইন করলেই এর সুরাহা হবে না। রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এর বিরুদ্ধে সজাগ ও সোচ্চার হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে সবচেয়ে বেশি। হেফাজতের সমাবেশে যোগ দিতে এসে শত শত এতিম আটকা পড়ে এবং অবর্ণনীয় দুঃখ ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে। অথচ হেফাজতের নেতারা আজ পর্যন্ত এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেননি। অন্যদিকে দুই প্রধান দলের ডাকা উত্তপ্ত কর্মসূচিকালে টোকাইদের পিকেটিং বন্ধেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না।
আমরা বিশ্বাস করি, এখন পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে যা ঘটেছে, তা পরিকল্পিত কিছু করা থেকে অনেক দূরে। এটা যেন কোনোক্রমেই আমাদের গ্রাস না করে।
No comments