ছেলের চোখে শ্রেষ্ঠ মা মিতা নূর
আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। তিনি আমার দেখা সবচেয়ে সংবেদনশীল, বুদ্ধিমতী নারী। কিন্তু অনেক সংবাদ মাধ্যম তাকে ভুলভাবে তুলে ধরেছে।
এ অভিযোগ সদ্য আত্মহননের অমোঘ নিয়তির পথে পাড়ি জমানো জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিতা নূরের বড় ছেলে শেহজাদ নূরের।
সম্প্রতি তার ফেসবুকে দেওয়া এক ইংরেজী স্ট্যাটাসে তিনি এ আকুতি জানিয়েছেন।
তার মা “সচেতন থাকলে এ ধরনের কাজ করতেন না” দাবি করে শেহজাদ লিখেছেন, “কিন্তু আমি সবাইকে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে বলতে চাই, তার একটি সুখী ও অসাধারণ পরিবার ছিল। পৃথিবীর প্রত্যেকটি পরিবারেই মতানৈক্য থাকে, তবে এখানে তেমন সিরিয়াস কিছু ছিল না।”
শেহজাদ লিখেছেন, “আমার আম্মুর হয়তো অনেক বন্ধু ছিলেন, তবে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিলাম আমি।
হয়তো আমি কখনোই সেটি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করিনি, হয়তো আমি কখনোই এটি বুঝতে পারিনি যে তিনি আমাকে কতটা ভালোবাসতেন।”
“মৃত্যুর আগের শেষ এক মাস আম্মু বেশ কয়েকটি ব্যাপারে বিষাদগ্রস্ত ছিলেন” স্বীকর করে শেহজাদের দাবি, “সেগুলোর অধিকাংশই খুব ছোটখাটো বিষয়। অনেক মানুষের সঙ্গেই তার ছোট ছোট মতানৈক্য ছিল, যার মধ্যে আছেন আমার বাবা, তার বাবা, আরও অনেকে। তবে সেগুলো খুবই সাধারণ মতপার্থক্য। তিনি সেসবের ব্যাপারে আমাকে সবই বলেছিলেন। আমি তাকে সবসময় বলেছি- সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, এখানে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।”
“তবে আমার আরও অন্য কিছু করা উচিত ছিল” বলে দায় স্বীকার করে শেহজাদের বক্তব্য, “কিন্তু তারপর ব্যাপারগুলো আরও খারাপ হতে থাকে। তিনি সম্ভবত খুব খারাপ বোধ করছিলেন।”
শেহজাদ লিখেছেন, “মার যখন খুব খারাপ লাগত তখন তিনি ঘুমাতেন। অনেক বেশি ঘুমানোর জন্য তিনি ওষুধ খেতেন। তিনি তার জীবনের শেষ দিনও এই একই কাজ করেছিলেন। তবে ওই রাতের ব্যাপারটি অন্যরকম ছিল।
ওই ঘুমের বড়িগুলো তার সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছিল। আমি জানি, এটা তিনি নিজে থেকে করেন নি। তার বিষাদগ্রস্ততা আর ওই ঘুমের বড়িগুলোর প্রতিক্রিয়া থেকেই এটি হয়েছিল। তা না হলে পৃথিবীর সব ছাড়লেও তিনি কখনো আমাকে আর ভাইকে একা ফেলে যেতেন না।”
শেহজাদের বক্তব্য, “তিনি সবসময়ই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে পরামর্শ করতেন। এমনকি, সামান্য একটি ব্যাপার হলেও। আমি জানি তিনি আমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা ছিলেন, আছেন, থাকবেন। আমি তাকে ভালোবাসতাম, সবসময় বাসব। তিনি আমার চিন্তা, স্বপ্ন, জীবন, ভাবনা সবকিছুকে সম্মান করতেন, এমনকি নিজের চেয়ে বেশি। আমি যদি আমার জীবনে কোনোদিন সফল হই, তার পেছনের পুরো কৃতিত্বই আমার মায়ের। আমার মা এখনো আমার মধ্যে আছেন। তিনি আমাকে সবসময়ই বলবেন কী করব, আর কী করব না।”
শেহজাদের অভিযোগ, “কিছু টেলিভিশন ও পত্রিকা যা দাবি করেছে তা সত্য নয়। আমার মা দুর্বলচিত্তের নারী ছিলেন না। তিনি দৃঢ়চেতা, স্মার্ট, সংবেদনশীল এবং চমৎকার মানুষ ছিলেন। যা হয়েছে তিনি তা চাননি। বরং যেটি হয়েছে তা হলো, তখন তিনি সচেতন ছিলেন না। হয়তো এর বেশিরভাগই আমার ভুল। কারণ, আমি আমার মাকে বুঝতে পারিনি। আমার মনে হয় আমি ভালো ছেলে নই। আমি এটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, মা যা করেছেন তিনি তার বোধবুদ্ধিতে করেন নি। এখন আমি মাকে যেটি বলতে পারি, আমি তোমাকে ভালোবাসি মা।
শান্তিতে থাক।”
সম্প্রতি তার ফেসবুকে দেওয়া এক ইংরেজী স্ট্যাটাসে তিনি এ আকুতি জানিয়েছেন।
তার মা “সচেতন থাকলে এ ধরনের কাজ করতেন না” দাবি করে শেহজাদ লিখেছেন, “কিন্তু আমি সবাইকে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে বলতে চাই, তার একটি সুখী ও অসাধারণ পরিবার ছিল। পৃথিবীর প্রত্যেকটি পরিবারেই মতানৈক্য থাকে, তবে এখানে তেমন সিরিয়াস কিছু ছিল না।”
শেহজাদ লিখেছেন, “আমার আম্মুর হয়তো অনেক বন্ধু ছিলেন, তবে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিলাম আমি।
হয়তো আমি কখনোই সেটি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করিনি, হয়তো আমি কখনোই এটি বুঝতে পারিনি যে তিনি আমাকে কতটা ভালোবাসতেন।”
“মৃত্যুর আগের শেষ এক মাস আম্মু বেশ কয়েকটি ব্যাপারে বিষাদগ্রস্ত ছিলেন” স্বীকর করে শেহজাদের দাবি, “সেগুলোর অধিকাংশই খুব ছোটখাটো বিষয়। অনেক মানুষের সঙ্গেই তার ছোট ছোট মতানৈক্য ছিল, যার মধ্যে আছেন আমার বাবা, তার বাবা, আরও অনেকে। তবে সেগুলো খুবই সাধারণ মতপার্থক্য। তিনি সেসবের ব্যাপারে আমাকে সবই বলেছিলেন। আমি তাকে সবসময় বলেছি- সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, এখানে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।”
“তবে আমার আরও অন্য কিছু করা উচিত ছিল” বলে দায় স্বীকার করে শেহজাদের বক্তব্য, “কিন্তু তারপর ব্যাপারগুলো আরও খারাপ হতে থাকে। তিনি সম্ভবত খুব খারাপ বোধ করছিলেন।”
শেহজাদ লিখেছেন, “মার যখন খুব খারাপ লাগত তখন তিনি ঘুমাতেন। অনেক বেশি ঘুমানোর জন্য তিনি ওষুধ খেতেন। তিনি তার জীবনের শেষ দিনও এই একই কাজ করেছিলেন। তবে ওই রাতের ব্যাপারটি অন্যরকম ছিল।
ওই ঘুমের বড়িগুলো তার সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছিল। আমি জানি, এটা তিনি নিজে থেকে করেন নি। তার বিষাদগ্রস্ততা আর ওই ঘুমের বড়িগুলোর প্রতিক্রিয়া থেকেই এটি হয়েছিল। তা না হলে পৃথিবীর সব ছাড়লেও তিনি কখনো আমাকে আর ভাইকে একা ফেলে যেতেন না।”
শেহজাদের বক্তব্য, “তিনি সবসময়ই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে পরামর্শ করতেন। এমনকি, সামান্য একটি ব্যাপার হলেও। আমি জানি তিনি আমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা ছিলেন, আছেন, থাকবেন। আমি তাকে ভালোবাসতাম, সবসময় বাসব। তিনি আমার চিন্তা, স্বপ্ন, জীবন, ভাবনা সবকিছুকে সম্মান করতেন, এমনকি নিজের চেয়ে বেশি। আমি যদি আমার জীবনে কোনোদিন সফল হই, তার পেছনের পুরো কৃতিত্বই আমার মায়ের। আমার মা এখনো আমার মধ্যে আছেন। তিনি আমাকে সবসময়ই বলবেন কী করব, আর কী করব না।”
শেহজাদের অভিযোগ, “কিছু টেলিভিশন ও পত্রিকা যা দাবি করেছে তা সত্য নয়। আমার মা দুর্বলচিত্তের নারী ছিলেন না। তিনি দৃঢ়চেতা, স্মার্ট, সংবেদনশীল এবং চমৎকার মানুষ ছিলেন। যা হয়েছে তিনি তা চাননি। বরং যেটি হয়েছে তা হলো, তখন তিনি সচেতন ছিলেন না। হয়তো এর বেশিরভাগই আমার ভুল। কারণ, আমি আমার মাকে বুঝতে পারিনি। আমার মনে হয় আমি ভালো ছেলে নই। আমি এটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, মা যা করেছেন তিনি তার বোধবুদ্ধিতে করেন নি। এখন আমি মাকে যেটি বলতে পারি, আমি তোমাকে ভালোবাসি মা।
শান্তিতে থাক।”
No comments