গল্প রঙের কল্পনা by মারুফা ইসহাক
এ-ক যে ছি-ল হা-তি। এক নিঃশ্বাসে নয়।
প্রতিটা বর্ণের দিকে তাকিয়ে ঠেকতে ঠেকতে একটা লাইন পড়ে আনন্দে আটখানা হওয়ার
অনুভূতি কি আমাদের মনে আছে? আমাদের সবার জীবনের প্রাথমিক বইগুলো কিন্তু
এমনি করেই পড়তে শেখা।
এখন রুদ্ধশ্বাসে একটা বই পড়ে শেষ
করলেও ছোট্টবেলার রূপকথা অথবা সিন্দাবাদের ভূত কিন্তু এখনো মাথায় চেপে বসেই
আছে। তাই যত রকম কম্পিউটার গেম আসুক, আর অমুক-তমুক কার্টুনই আসুক—বইয়ের
সঙ্গে অন্য কোনো কিছুরই জুড়ি মেলা ভার। তাই পড়ার অভ্যাসটা গড়ে তোলা উচিত
শিশুদের বানান করে পড়তে শুরু করার সময় থেকেই। আর এ ক্ষেত্রে শিশুর জন্য চাই
তার মনের মতো বই। যেমন-তেমন বই হলেই কিন্তু সে পড়বে না। যে বই তার মনের
রঙে আঁকানো থাকবে, সহজ শব্দে কল্পনার কাহিনি বলতে পারবে, এমন বই-ই তার চাই।
তাই শুধু তাদের কথা ভেবে একদল লেখক ও আঁকিয়ে কাজ করছেন রুম টু রিডের
মাধ্যমে। শিশুদের সাক্ষরতার দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস উন্নয়নে এশিয়া ও আফ্রিকার
১১টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে রুম টু রিড।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ লেখক ও আঁকিয়ে রুম টু রিডের ঢাকা কর্মশালার পর একত্র হয়েছিলেন সাভারে সিসিডিবি হোপ সেন্টারে। সে এক দারুণ কাণ্ড! একদিকে লেখকেরা লিখছেন, অন্যদিকে আঁকিয়েরা একেকটা বাক্যকে একেকটা দৃশ্যে পরিণত করে তুলছেন। কেউ একমনে চাঁদের বুড়ির ছবি আঁকছেন, কেউ জোনাকির আলো কীভাবে দেখাবেন, তা ভাবছেন। কেউ আবার হাবাং ভূতের চেহারা নিয়ে চিন্তায় মগ্ন। লেখকেরাও ভাবতে ব্যস্ত, কোন বাক্যগুলোকে আরও সহজ করে লেখা যায়, কাহিনির পরিণতি কীভাবে আরও দারুণ করা যায়—কোনো পক্ষেরই ভাবনার শেষ নেই। তবে শিশুদের বইগুলো নিয়ে সবাই বেশ উৎফুল্ল।
‘সহজভাবে কাজ করাটা যে কত্ত কঠিন, সেটা টের পাচ্ছি’ হাসতে হাসতে বললেন আঁকিয়ে নিশা। তাঁর কথা সমর্থন দিয়ে উর্মি বলেন, ‘তবে যখনই ভাবি আমাদের এই কাজগুলো দেখে শিশুরা দারুণ আনন্দ পাবে, তখন খুবই ভালো লাগে।’ তরুণ লেখকদের মধ্যে রূম্পা জানান, শিশুদের জন্য লেখার ক্ষেত্রে তাদের মতো করে চিন্তা করাটা খুব জরুরি। শুধু লিখলেই তো হলো না, শিশুরা শব্দগুলো বুঝতে পারবে কি না, তাদের মনে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে—এসব দিক বেশ ভাবতে হয়েছে।
তরুণ লেখক খাইরুল বাবুই বেশ আনন্দিত যে লেখক ও আঁকিয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারছেন। তিনি মনে করেন, এতে লেখকদের ভাবনা আঁকিয়েদের কাছে সহজে পৌঁছে যাচ্ছে, ফলে চিন্তার দূরত্ব কমে আসছে। একটা ব্যাপারে তাঁরা সবাই একমত যে একটা জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে এর মূলকে শক্তিশালী করতে হয়। আর শক্তিশালী করার কাজটিই করে শিক্ষা। তাই এই কাজটা তাঁদের প্রত্যেকের জন্যই বিশেষ একটা অভিজ্ঞতা।
রুম টু রিড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার (লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজ পাবলিশিং প্রোগ্রাম) বলেন, ছোটদের জন্য লেখার ক্ষেত্রে তাদের পড়ার দক্ষতা, তাদের চিন্তাচেতনা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ—অনেক দিকই বিবেচনা করতে হয়। এ ব্যাপারে তরুণ লেখকেরা অনেক ভালো কাজ করছেন। কর্মশালাগুলোতে তাঁরা আন্তরিকভাবে অংশ নিয়েছেন। আর যাঁরা আঁকিয়ে, তাঁরা সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করে অলংকরণের মাধ্যমে বইগুলোকে বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। ভবিষ্যতে তাঁদের নিয়ে একটা ফোরাম করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ লেখক ও আঁকিয়ে রুম টু রিডের ঢাকা কর্মশালার পর একত্র হয়েছিলেন সাভারে সিসিডিবি হোপ সেন্টারে। সে এক দারুণ কাণ্ড! একদিকে লেখকেরা লিখছেন, অন্যদিকে আঁকিয়েরা একেকটা বাক্যকে একেকটা দৃশ্যে পরিণত করে তুলছেন। কেউ একমনে চাঁদের বুড়ির ছবি আঁকছেন, কেউ জোনাকির আলো কীভাবে দেখাবেন, তা ভাবছেন। কেউ আবার হাবাং ভূতের চেহারা নিয়ে চিন্তায় মগ্ন। লেখকেরাও ভাবতে ব্যস্ত, কোন বাক্যগুলোকে আরও সহজ করে লেখা যায়, কাহিনির পরিণতি কীভাবে আরও দারুণ করা যায়—কোনো পক্ষেরই ভাবনার শেষ নেই। তবে শিশুদের বইগুলো নিয়ে সবাই বেশ উৎফুল্ল।
‘সহজভাবে কাজ করাটা যে কত্ত কঠিন, সেটা টের পাচ্ছি’ হাসতে হাসতে বললেন আঁকিয়ে নিশা। তাঁর কথা সমর্থন দিয়ে উর্মি বলেন, ‘তবে যখনই ভাবি আমাদের এই কাজগুলো দেখে শিশুরা দারুণ আনন্দ পাবে, তখন খুবই ভালো লাগে।’ তরুণ লেখকদের মধ্যে রূম্পা জানান, শিশুদের জন্য লেখার ক্ষেত্রে তাদের মতো করে চিন্তা করাটা খুব জরুরি। শুধু লিখলেই তো হলো না, শিশুরা শব্দগুলো বুঝতে পারবে কি না, তাদের মনে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে—এসব দিক বেশ ভাবতে হয়েছে।
তরুণ লেখক খাইরুল বাবুই বেশ আনন্দিত যে লেখক ও আঁকিয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারছেন। তিনি মনে করেন, এতে লেখকদের ভাবনা আঁকিয়েদের কাছে সহজে পৌঁছে যাচ্ছে, ফলে চিন্তার দূরত্ব কমে আসছে। একটা ব্যাপারে তাঁরা সবাই একমত যে একটা জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে এর মূলকে শক্তিশালী করতে হয়। আর শক্তিশালী করার কাজটিই করে শিক্ষা। তাই এই কাজটা তাঁদের প্রত্যেকের জন্যই বিশেষ একটা অভিজ্ঞতা।
রুম টু রিড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার (লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজ পাবলিশিং প্রোগ্রাম) বলেন, ছোটদের জন্য লেখার ক্ষেত্রে তাদের পড়ার দক্ষতা, তাদের চিন্তাচেতনা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ—অনেক দিকই বিবেচনা করতে হয়। এ ব্যাপারে তরুণ লেখকেরা অনেক ভালো কাজ করছেন। কর্মশালাগুলোতে তাঁরা আন্তরিকভাবে অংশ নিয়েছেন। আর যাঁরা আঁকিয়ে, তাঁরা সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করে অলংকরণের মাধ্যমে বইগুলোকে বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। ভবিষ্যতে তাঁদের নিয়ে একটা ফোরাম করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
No comments