সৈয়দপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই
নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদী থেকে
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে ১২ কিলোমিটার সৈয়দপুর শহর
রক্ষা বাঁধের অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ধস নেমে গোটা
শহর জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
পানি
উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সৈয়দপুর বিভাগের আওতায় শহরের উত্তর-পশ্চিম অংশে
খড়খড়িয়া নদীতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা
মৌসুমের আগে ওই বাঁধ সংস্কার করা হয়। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে কোনো সংস্কারকাজ
হয়নি। এর ওপর খড়খড়িয়া নদী থেকে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বালু তোলায়
পাড় ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। নদীপাড়ের
চ্যাংমারীপাড়ার লিয়াকত হোসেন অভিযোগ করেন, প্রতিদিনই খননযন্ত্র বসিয়ে বালু
তোলা হচ্ছে। কেউ বাধা দিলে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়তে হয়।
সরেজমিনে শহরের রাবেয়া মোড়সংলগ্ন সৈয়দপুর বাইপাস সড়কঘেঁষা ওই নদীপাড়ে বালু উত্তোলন ও ভারী ট্রাক্টরের সাহায্যে বালু পরিবহন করতে দেখা যায়। সৈয়দপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল মান্নান জানান, নদী থেকে বালু তোলায় শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে বাইপাস সড়কের দুই সেতুসহ ওই এলাকার অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে হুমকিতে। নিষেধ করে কোনো ফল হয় না। ওরা কাউকে তোয়াক্কা করে না।
সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুস শাহীদ জানান, প্রশাসনের সহায়তায় ওই এলাকায় অনেকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। বালু উত্তোলনের হোতাদের ধরা না গেলে এসব কাজ বন্ধ করা যাবে না। তবে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার খবর পেয়ে মূল হোতারা পালিয়ে যান। বালু উত্তোলন বন্ধে তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে শহরের রাবেয়া মোড়সংলগ্ন সৈয়দপুর বাইপাস সড়কঘেঁষা ওই নদীপাড়ে বালু উত্তোলন ও ভারী ট্রাক্টরের সাহায্যে বালু পরিবহন করতে দেখা যায়। সৈয়দপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল মান্নান জানান, নদী থেকে বালু তোলায় শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে বাইপাস সড়কের দুই সেতুসহ ওই এলাকার অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে হুমকিতে। নিষেধ করে কোনো ফল হয় না। ওরা কাউকে তোয়াক্কা করে না।
সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুস শাহীদ জানান, প্রশাসনের সহায়তায় ওই এলাকায় অনেকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। বালু উত্তোলনের হোতাদের ধরা না গেলে এসব কাজ বন্ধ করা যাবে না। তবে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার খবর পেয়ে মূল হোতারা পালিয়ে যান। বালু উত্তোলন বন্ধে তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
No comments