সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়তা চাই by মো. আবুল বাশার
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে জাতিকে
তাল মিলিয়ে চলার বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমই হচ্ছে শিক্ষা। একুশ
শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো
অপরিহার্য।
বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষানীতিতে বেশ গুরুত্বের
সঙ্গে সৃজনশীলতার প্রসঙ্গটি এসেছে। শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনা ও সৃজনশীলতার
বিকাশ, তাদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করানো, মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে
চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি ও অনুসন্ধিৎসু মননের অধিকারী হতে সহায়তা করা এবং
এসব বৈশিষ্ট্য বিকাশের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা। এ বৈশিষ্ট্যগুলোর সবই
সৃজনশীলতা বিকাশের সঙ্গে জড়িত।
মূলত কোনো বিষয়ে নতুন ভাবনা বা ধারণা সৃষ্টি ও নিজস্ব মতামত প্রদানের মাধ্যমে সৃজনশীল চিন্তা প্রকাশ পায়। কাজ সম্পাদনের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, কোনো কিছু আবিষ্কার, সাহিত্য সৃষ্টি, নতুন বস্তু নির্মাণ, চিত্রকর্ম_ এসবই সৃজনশীলতা দাবি করে। সৃজনশীল চিন্তার ফলে সৃজনশীলতা অর্জন করা যায়। সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমস্যা যেভাবে শনাক্ত করা যায়, তেমনি সেই সমস্যা সমাধানের পথে অনেকখানি অগ্রসর হওয়া যায়। সৃজনশীল চিন্তন দক্ষতা আয়ত্ত করার জন্য যা অনুশীলন করতে হবে তা হচ্ছে_ কোনো বিষয়ে অন্যের বা প্রচলিত মতামত গ্রহণ করার আগে নিজস্ব যৌক্তিক মতামত দেওয়ার অভ্যাস করা; কোনো সমস্যা উত্তরণে নতুন পথ সন্ধান ও উদ্ভাবন করার প্রচেষ্টা নেওয়ার অভ্যাস করা; নানা বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা করা; কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা পরিহার করে নতুন পদ্ধতি সৃষ্টি করা; প্রচলিত ধারণার বাইরে নতুন কিছু ভাবা ও তা প্রকাশ করার অনুশীলন করা ও নতুন কোনো রচনা বা বস্তু তৈরি করার অভ্যাস করা। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করার জন্য নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। যার মধ্যে অন্যতম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রবর্তন। যার প্রধান উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের মুখস্থ বিদ্যার ওপর জোর কমিয়ে আনা এবং তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষায় প্রশ্ন কীভাবে করা হবে তা উল্লেখ আছে এবং শিক্ষকদের এ ধরনের প্রশ্ন প্রণয়ন উপযোগী দক্ষতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কীভাবে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য পাঠ প্রদান করবেন তা নিয়ে।
প্রকৃতপক্ষে শ্রেণীকক্ষে গতানুগতিক প্রশ্ন মুখস্থ করানোর পাঠ প্রদান পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কতটা সৃজনশীল করা সম্ভব হবে তা সংশ্লিষ্টদের ভাবা উচিত। মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া হিসেবে না দেখে শিখনের অংশ হিসেবে যদি বিবেচনা করা যায় তাহলে শিক্ষার্থীরা দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর প্রদানে ধীরে ধীরে আগ্রহী ও দক্ষ হয়ে উঠবে। সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক ও মনস্তাত্তি্বক পরিমণ্ডল গড়ে তোলা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষার্থীর পারিবারিক পরিবেশ থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ পর্যন্ত তাদের সৃজনশীল বৈশিষ্ট্যগুলোকে সর্বতোভাবে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই শিক্ষার্থীদের তথা নতুন দিনের কিশোর যুব সমাজকে মুখস্থবিদ্যার অনুশীলন, পুরনো চর্চা ও সনাতন ধারণার বদলে সৃজনশীল ও নিজস্ব বোধবুদ্ধি, ধ্যান-ধারণায় উজ্জীবিত করে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্রধানত শ্রেণীকক্ষের ভেতরে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করা। এর পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষের বাইরে যাতে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল চিন্তা করে সে রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
য় মো. আবুল বাশার :সহকারী অধ্যাপক
ভূগোল, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
basharnsl@hotmail.com
মূলত কোনো বিষয়ে নতুন ভাবনা বা ধারণা সৃষ্টি ও নিজস্ব মতামত প্রদানের মাধ্যমে সৃজনশীল চিন্তা প্রকাশ পায়। কাজ সম্পাদনের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, কোনো কিছু আবিষ্কার, সাহিত্য সৃষ্টি, নতুন বস্তু নির্মাণ, চিত্রকর্ম_ এসবই সৃজনশীলতা দাবি করে। সৃজনশীল চিন্তার ফলে সৃজনশীলতা অর্জন করা যায়। সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমস্যা যেভাবে শনাক্ত করা যায়, তেমনি সেই সমস্যা সমাধানের পথে অনেকখানি অগ্রসর হওয়া যায়। সৃজনশীল চিন্তন দক্ষতা আয়ত্ত করার জন্য যা অনুশীলন করতে হবে তা হচ্ছে_ কোনো বিষয়ে অন্যের বা প্রচলিত মতামত গ্রহণ করার আগে নিজস্ব যৌক্তিক মতামত দেওয়ার অভ্যাস করা; কোনো সমস্যা উত্তরণে নতুন পথ সন্ধান ও উদ্ভাবন করার প্রচেষ্টা নেওয়ার অভ্যাস করা; নানা বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা করা; কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা পরিহার করে নতুন পদ্ধতি সৃষ্টি করা; প্রচলিত ধারণার বাইরে নতুন কিছু ভাবা ও তা প্রকাশ করার অনুশীলন করা ও নতুন কোনো রচনা বা বস্তু তৈরি করার অভ্যাস করা। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করার জন্য নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। যার মধ্যে অন্যতম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রবর্তন। যার প্রধান উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের মুখস্থ বিদ্যার ওপর জোর কমিয়ে আনা এবং তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষায় প্রশ্ন কীভাবে করা হবে তা উল্লেখ আছে এবং শিক্ষকদের এ ধরনের প্রশ্ন প্রণয়ন উপযোগী দক্ষতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কীভাবে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য পাঠ প্রদান করবেন তা নিয়ে।
প্রকৃতপক্ষে শ্রেণীকক্ষে গতানুগতিক প্রশ্ন মুখস্থ করানোর পাঠ প্রদান পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কতটা সৃজনশীল করা সম্ভব হবে তা সংশ্লিষ্টদের ভাবা উচিত। মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া হিসেবে না দেখে শিখনের অংশ হিসেবে যদি বিবেচনা করা যায় তাহলে শিক্ষার্থীরা দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর প্রদানে ধীরে ধীরে আগ্রহী ও দক্ষ হয়ে উঠবে। সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক ও মনস্তাত্তি্বক পরিমণ্ডল গড়ে তোলা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষার্থীর পারিবারিক পরিবেশ থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ পর্যন্ত তাদের সৃজনশীল বৈশিষ্ট্যগুলোকে সর্বতোভাবে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই শিক্ষার্থীদের তথা নতুন দিনের কিশোর যুব সমাজকে মুখস্থবিদ্যার অনুশীলন, পুরনো চর্চা ও সনাতন ধারণার বদলে সৃজনশীল ও নিজস্ব বোধবুদ্ধি, ধ্যান-ধারণায় উজ্জীবিত করে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্রধানত শ্রেণীকক্ষের ভেতরে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করা। এর পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষের বাইরে যাতে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল চিন্তা করে সে রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
য় মো. আবুল বাশার :সহকারী অধ্যাপক
ভূগোল, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
basharnsl@hotmail.com
No comments