সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষা সফর-১০ জনের ৫ জনই সংশ্লিষ্টতাহীন by পার্থ সারথি দাস
সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন
থাইল্যান্ডে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছে। সফরে পাঠানো হচ্ছে ১০ সরকারি
কর্মকর্তাকে, যাঁদের পাঁচজনেরই সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সফরে গিয়ে অভিজ্ঞতা নিলেও ভবিষ্যতে তাঁদের এই অভিজ্ঞতা কাজে আসবে কি না, এ
নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূলত
ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই অপ্রয়োজনীয় পাঁচ সরকারি কর্মকর্তাকে সফরের জন্য
মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এই সফরের ব্যয় বহন করবে প্রকল্পে সহায়তাকারী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দলটি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখবে। এসব সড়কের বাঁকগুলোর অবস্থা, সিগন্যাল ব্যবস্থা, সড়কের সংকেত ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
জানা গেছে, মনোনীত ১০ জনের মধ্যে অর্থ, যোগাযোগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা রয়েছেন। গত ৩০ মে এ-সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আনোয়ার হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি আদেশগুলো সাধারণত মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এই আদেশটি ওয়েবসাইটে গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আদেশের বিষয়টি জানার জন্য উপসচিব আনোয়ার হোসাইন চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি সওজ (সড়ক ও জনপদ) অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভালোভাবে বলতে পারবেন।' ওয়েবসাইটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, সড়ক বিভাগের সচিবের নির্দেশ ছাড়া এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া যাবে না। আদেশটি দেখানোও যাবে না। একই মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিদেশ সফরের সরকারি আদেশ প্রকাশেও গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে গত কয়েক মাস।
মনোনীত ১০ জন সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে যে পাঁচজনের সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা নেই তাঁরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব আরফিন আরা বেগম, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের উপসচিব মো. আবদুল মালেক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পরিচালক বেগম মালিহা নার্গিস, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপ-প্রধান হামিদা ইদ্রিস, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মুহাম্মদ ইউসুফ।
অন্য পাঁচজন সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন। তাঁরা হলেন সওজ অধিদপ্তরের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে নেওয়া কারিগরি প্রকল্পের পরিচালক ও অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএর উপপরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) মো. হামিদুর রহমান, সওজ অধিদপ্তরের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে কারিগরি কর্মসূচির উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ শাহীন সরকার, একই প্রকল্পে নিয়োজিত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমীন ও সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এখন মহাসড়কে যাতে বর্ষা বিপর্যয় দেখা না দেয়, তার জন্য তৎপর। গত ৩০ মে মন্ত্রণালয় ২১টি তদারক কমিটি গঠন করেছে মহাসড়ক-সড়ক পরিদর্শনের জন্য। গত রবিবার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কমিটি প্রধানদের আগামী সপ্তাহ থেকে পরিদর্শন শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ২১টি কমিটির একটির প্রধান, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল মালেককে থাইল্যান্ডে এই সফরের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা- এই তিনটি জেলার সড়ক পরিদর্শনের জন্য গঠিত কমিটির প্রধান তিনি। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সফরে যাওয়ার জন্য আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতরা ভালো করে বলতে পারবেন।'
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মুহাম্মদ ইউসুফও যাচ্ছেন এই শিক্ষা সফরে। তাঁর কাছে থাইল্যান্ড যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'আমি প্রথমবারের মতো এ ধরনের সফরে যাচ্ছি। আমার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্নদেরও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। এর বাইরে অন্যদের রাখা হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে।'
সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে নেওয়া কারিগরি প্রকল্পের পরিচালক মো. মাহবুব-উল-আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০০ কিলোমিটার সড়ক পথে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। সংস্থাটির অনুদানে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছরের জুলাই মাসে। এই সমীক্ষায় বের হয়ে এসেছে এসব পথে নকশা বা ডিজাইনের বিভিন্ন ত্রুটি। এ বিষয়ে আমরা একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পাব। এ অবস্থায় আমরা সংস্থাটির সহযোগিতায় থাইল্যান্ডে সফরে যাচ্ছি সড়কের কারিগরি দিক বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে।' কারিগরি জ্ঞান নেই- এমন কর্মকর্তাদের মনোনীত করা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যাঁদের কারিগরি জ্ঞান নেই তাঁরা দেশে ফিরে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।'
সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এই সফরের ব্যয় বহন করবে প্রকল্পে সহায়তাকারী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দলটি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখবে। এসব সড়কের বাঁকগুলোর অবস্থা, সিগন্যাল ব্যবস্থা, সড়কের সংকেত ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
জানা গেছে, মনোনীত ১০ জনের মধ্যে অর্থ, যোগাযোগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা রয়েছেন। গত ৩০ মে এ-সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আনোয়ার হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি আদেশগুলো সাধারণত মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এই আদেশটি ওয়েবসাইটে গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আদেশের বিষয়টি জানার জন্য উপসচিব আনোয়ার হোসাইন চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি সওজ (সড়ক ও জনপদ) অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভালোভাবে বলতে পারবেন।' ওয়েবসাইটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, সড়ক বিভাগের সচিবের নির্দেশ ছাড়া এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া যাবে না। আদেশটি দেখানোও যাবে না। একই মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিদেশ সফরের সরকারি আদেশ প্রকাশেও গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে গত কয়েক মাস।
মনোনীত ১০ জন সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে যে পাঁচজনের সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা নেই তাঁরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব আরফিন আরা বেগম, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের উপসচিব মো. আবদুল মালেক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পরিচালক বেগম মালিহা নার্গিস, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপ-প্রধান হামিদা ইদ্রিস, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মুহাম্মদ ইউসুফ।
অন্য পাঁচজন সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন। তাঁরা হলেন সওজ অধিদপ্তরের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে নেওয়া কারিগরি প্রকল্পের পরিচালক ও অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএর উপপরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) মো. হামিদুর রহমান, সওজ অধিদপ্তরের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে কারিগরি কর্মসূচির উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ শাহীন সরকার, একই প্রকল্পে নিয়োজিত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমীন ও সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এখন মহাসড়কে যাতে বর্ষা বিপর্যয় দেখা না দেয়, তার জন্য তৎপর। গত ৩০ মে মন্ত্রণালয় ২১টি তদারক কমিটি গঠন করেছে মহাসড়ক-সড়ক পরিদর্শনের জন্য। গত রবিবার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কমিটি প্রধানদের আগামী সপ্তাহ থেকে পরিদর্শন শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ২১টি কমিটির একটির প্রধান, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল মালেককে থাইল্যান্ডে এই সফরের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা- এই তিনটি জেলার সড়ক পরিদর্শনের জন্য গঠিত কমিটির প্রধান তিনি। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সফরে যাওয়ার জন্য আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতরা ভালো করে বলতে পারবেন।'
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মুহাম্মদ ইউসুফও যাচ্ছেন এই শিক্ষা সফরে। তাঁর কাছে থাইল্যান্ড যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'আমি প্রথমবারের মতো এ ধরনের সফরে যাচ্ছি। আমার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্নদেরও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। এর বাইরে অন্যদের রাখা হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে।'
সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে নেওয়া কারিগরি প্রকল্পের পরিচালক মো. মাহবুব-উল-আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০০ কিলোমিটার সড়ক পথে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। সংস্থাটির অনুদানে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছরের জুলাই মাসে। এই সমীক্ষায় বের হয়ে এসেছে এসব পথে নকশা বা ডিজাইনের বিভিন্ন ত্রুটি। এ বিষয়ে আমরা একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পাব। এ অবস্থায় আমরা সংস্থাটির সহযোগিতায় থাইল্যান্ডে সফরে যাচ্ছি সড়কের কারিগরি দিক বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে।' কারিগরি জ্ঞান নেই- এমন কর্মকর্তাদের মনোনীত করা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যাঁদের কারিগরি জ্ঞান নেই তাঁরা দেশে ফিরে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।'
No comments