আর মাত্র সাড়ে চার মাস-বর্তমান সংসদেই ফয়সালা প্রয়োজন
চলমান নবম জাতীয় সংসদের শেষ কার্যদিবস হবে
আগামী ২৫ অক্টোবর। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী
লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই ২৫
অক্টোবর বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে।
সেই হিসাবে এই
সংসদের মেয়াদ আছে আর মাত্র সাড়ে চার মাস। অথচ আগামী জাতীয় নির্বাচন কোন
ধরনের সরকারপদ্ধতির অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। সংবিধান
পরিবর্তন করা না হলে বর্তমান সরকারের অধীনেই সে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ
বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোট এ ব্যাপারে চরম আপত্তি জানিয়ে নির্বাচনের সময়
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে।
তত্ত্বাবধায়ক হোক আর অন্তর্বর্তী সরকারই হোক, তা করতে হলে জাতীয় সংসদকেই সে
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে
সময় রয়েছে মাত্র সাড়ে চার মাস। কিন্তু খুবই দুঃখজনক, এ ক্ষেত্রে আমরা
সমঝোতা দূরে থাক, সমঝোতার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতিও দেখতে পাচ্ছি
না।
কয়েক বছর ধরেই বিরোধী দল নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। হরতালের পর হরতাল দেওয়া হয়েছে। সংঘাত-সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও কম হয়নি। বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকেও কম মূল্য দিতে হয়নি। অথচ দাবি পূরণ কিংবা সমঝোতায় আসার ব্যাপারে কোনো পক্ষেরই যেন বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। এর সঙ্গে যেহেতু সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি জড়িত, তাই চূড়ান্ত বিচারে বিষয়টির সমাধান জাতীয় সংসদেই হতে হবে। কিন্তু বিএনপি জাতীয় সংসদে তাদের দাবি তুলে ধরতে অনীহা দেখাচ্ছে। মুলতবি প্রস্তাব দিয়েও তা তুলে নিয়েছে। সংসদে তাদের দাবি তুলে ধরতে বিএনপির অসুবিধা কোথায়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আবার সরকারের পক্ষ থেকে সংসদের বাইরে যেকোনো জায়গায় আলোচনার কথা মাঝেমধ্যে বলা হলেও এ পর্যন্ত সে ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি। অর্থাৎ আমরা কোনো পক্ষেরই যথেষ্ট আন্তরিকতা লক্ষ করছি না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা হবে। সংসদে না হলে অবশ্যই রাজপথে যেতে হবে। কিন্তু সংসদেই যদি সহজে দাবিটি আদায় হয়ে যায়, তাহলে সেটি করাটাই কি উত্তম নয়? আর সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংসদ না থাকলে দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে যে ধরনের আন্দোলন প্রয়োজন হবে, জাতিকে সেই চরম মূল্যের দিকে ধাবিত না করলেই কি নয়? আমরা উভয় পক্ষের সুমতি আশা করছি।
কয়েক বছর ধরেই বিরোধী দল নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। হরতালের পর হরতাল দেওয়া হয়েছে। সংঘাত-সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও কম হয়নি। বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকেও কম মূল্য দিতে হয়নি। অথচ দাবি পূরণ কিংবা সমঝোতায় আসার ব্যাপারে কোনো পক্ষেরই যেন বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। এর সঙ্গে যেহেতু সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি জড়িত, তাই চূড়ান্ত বিচারে বিষয়টির সমাধান জাতীয় সংসদেই হতে হবে। কিন্তু বিএনপি জাতীয় সংসদে তাদের দাবি তুলে ধরতে অনীহা দেখাচ্ছে। মুলতবি প্রস্তাব দিয়েও তা তুলে নিয়েছে। সংসদে তাদের দাবি তুলে ধরতে বিএনপির অসুবিধা কোথায়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আবার সরকারের পক্ষ থেকে সংসদের বাইরে যেকোনো জায়গায় আলোচনার কথা মাঝেমধ্যে বলা হলেও এ পর্যন্ত সে ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি। অর্থাৎ আমরা কোনো পক্ষেরই যথেষ্ট আন্তরিকতা লক্ষ করছি না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা হবে। সংসদে না হলে অবশ্যই রাজপথে যেতে হবে। কিন্তু সংসদেই যদি সহজে দাবিটি আদায় হয়ে যায়, তাহলে সেটি করাটাই কি উত্তম নয়? আর সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংসদ না থাকলে দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে যে ধরনের আন্দোলন প্রয়োজন হবে, জাতিকে সেই চরম মূল্যের দিকে ধাবিত না করলেই কি নয়? আমরা উভয় পক্ষের সুমতি আশা করছি।
No comments