স্পট ফিক্সিং by সুফিয়ান সোহেল
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম নক্ষত্র, এক
সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান আশরাফুল। সেই আশরাফুলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে
জড়িত থাকার বিষয়টি ভাবতেও কষ্ট হয়। এই সেই আশরাফুল যে তার অভিষেক টেস্টে
শতক করে সারাবিশ্বে তাক লাগিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ যখন শুরুর
দিকে অনেক ম্যাচে টানা হারে, যখন জয়ের জন্য উন্মুখ বাংলাদেশ দল, তখন এই
আশরাফুলের দারুণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশ দল জয়লাভ করে। ২০০৪ সালে ৪৭
ওয়ানডে জয়হীন থাকার পর বাংলাদেশ জয়ের দেখা পায় আশরাফুলের ৩২ বলে ৫১ রানের
কল্যাণে। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
প্রথম জয়ের স্বাদ দেয় আশরাফুলকে। তার একযুগ ক্যারিয়ারের অনেক হার না মানা
ইনিংস রয়েছে। আশরাফুলের এই ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন থাকলেও তিনি কিন্তু
ফুরিয়ে যাননি, যা দেখা যায় গল টেস্টে ১৯০ রানের ইনিংসটি। কার্ডিফে তিনবারের
চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার শতকের সুবাদে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
তাকে কি বাংলাদেশি ক্রিকেটপাগল মানুষরা ভুলতে পারে? ভাবতেও অবাক লাগে,
মাত্র দশ লাখ টাকার জন্য আশরাফুলের মতো ব্যাটসম্যান ম্যাচ পাতিয়েছেন। অথচ
এই আশরাফুল তার একযুগের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারে কী পাননি। ক্রিকেটই তো তাকে
সবকিছু দিয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও আশরাফুল অনেক কিছুর
মালিক। মূলত ভারতীয় জুয়াড়িদের কারণেই 'আশার ফুল' আজ ব্যাড বয় হিসেবে
পরিচিত, যা তার একযুগ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বর্ণিল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি
ঘটাতে পারে। ২০০৪ সাল থেকেই আশরাফুল যদি ভারতীয় জুয়াড়িদের সঙ্গে এই যোগাযোগ
রক্ষা করে থাকে, তাহলে তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।
পত্রিকার বড় বড় খবর হয়ে এক সময় আসত আশরাফুল, এখনও বড় খবর হিসেবেই এসেছেন তিনি। তবে এবার শতক বা কোনো রেকর্ড নয় বরং স্পট ফিক্সিংয়ের নায়ক হিসেবেই এসেছেন। এখন আর আমাদের বলতে দ্বিধা নেই, এ ঘৃণিত কাজের জন্য আশরাফুলের শাস্তি হতে হবে। কারণ, তিনি মানুষেরর্ স্বোচ্চ ভালোবাসায় আঘাত করেছেন।
য় সুফিয়ান সোহেল :শিক্ষার্থী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
পত্রিকার বড় বড় খবর হয়ে এক সময় আসত আশরাফুল, এখনও বড় খবর হিসেবেই এসেছেন তিনি। তবে এবার শতক বা কোনো রেকর্ড নয় বরং স্পট ফিক্সিংয়ের নায়ক হিসেবেই এসেছেন। এখন আর আমাদের বলতে দ্বিধা নেই, এ ঘৃণিত কাজের জন্য আশরাফুলের শাস্তি হতে হবে। কারণ, তিনি মানুষেরর্ স্বোচ্চ ভালোবাসায় আঘাত করেছেন।
য় সুফিয়ান সোহেল :শিক্ষার্থী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
No comments