নগরায়ণ পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে হবে by মো. আসাদ উল্লাহ খান
প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে
আমাদের উৎসাহ ও উদ্বেগের কমতি নেই। পরিবেশ সংরক্ষণ, বনাঞ্চল সৃষ্টি, নদী ও
জলাশয় দখল ও দূষণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে অব্যাহতভাবে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন
প্রকাশ করা হলেও কাজ কিছু হচ্ছে বলে মনে হয় না।
সরকারের
উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের বক্তৃতা ও আশ্বাস বিশেষ কয়েকটি দিনেই মাত্র শোনা
যায়, তারপর সব যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, লক্ষ্যহীন ও
দুর্বল সরকারি প্রচেষ্টা ও সচেতন দেশবাসীর উদ্যোগকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে
অপ্রতিহত গতিতে পরিবেশ ধ্বংস করার কাজ এগিয়ে চলছে। সম্প্রতি পত্রিকায়
প্রকাশিত বাংলাদেশ সরকারের মহাহিসাব নিরীক্ষকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে,
বিগত সাত বছরে যে পরিমাণ বনভূমি বেহাত হয়ে গেছে, তার বাজারমূল্য সরকারের
দুই বছরের বাজেটের টাকার সমান। কাগজে-কলমে বনভূমির পরিমাণ দেশের মোট ভূমির
১৭ শতাংশ দেখানো হলেও ঘন বনভূমি আছে প্রায় ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এই স্বল্প
পরিমাণ ঘন বনভূমির মধ্যে সরকারের হাতে আছে প্রায় ৫ শতাংশ।
জনসংখ্যার ভারে রাজধানীতে যানজট, বায়ুদূষণসহ আরও বহুমুখী দুর্ভোগের কারণে নগরবাসী বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। নদী ও জলাশয়গুলো উদ্ধার করে সেসবের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে নগরের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক উন্নত হতো। কিন্তু দখল ও দূষণে রাজধানীর নদীসহ জলাশয়গুলোর অস্তিত্বই এখন হুমকির সম্মুখীন। এসব নদী ও জলাশয়ের পানিতে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে ওই পানি জলজ প্রাণীর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর উত্তরা লেকের পানি পরীক্ষা করে রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর পরীক্ষার প্রতিবেদন পেশ করে জানিয়েছে, এই লেকের পানি মাছ চাষের অনুপযোগী। তবু মাছ চাষ চলছে। লেকের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে অনেকগুলো নালার। খুবই উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, এই লেকের দুই প্রান্তে দুটি বিশাল নালার মাধ্যমে দূরের কয়েকটি কারখানা, সম্ভবত ডায়িং শিল্পকারখানা থেকে নিঃসৃত মারাত্মক দুর্গন্ধযুক্ত আলকাতরা রঙের পানি দিনরাত অব্যাহতভাবে এই লেকে ঢুকছে। একটি প্রাকৃতিক লেকে কি এভাবে বর্জ্য নিকাশ করা যায়? এ রকম একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিকারহীন অবস্থায় কেন দিনের পর দিন মানুষ বাস করবে? স্থানীয় পরিবেশ উন্নত না হলে গোটা দেশের পরিবেশ কীভাবে উন্নত হবে?
বনভূমি, নদী ও জলাশয় দখল ও দূষণ প্রতিরোধ এবং বর্জ্য পরিশোধন—এই কাজগুলো যথাযথভাবে চললে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এর একটিও কি আমরা ঠিকভাবে করতে পারছি? আর এখন তো নদীগুলো নিশ্চিহ্ন করার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দখলের প্রতিযোগিতায় খোদ রাজউক মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। জলাশয় নগরবাসীর জীবন রক্ষা ও প্রাণস্পন্দনের সঙ্গে কতটা নিবিড়ভাবে জড়িত, তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগার পরপরই। রাজধানীতে যে পর্যাপ্ত পানির আধার প্রয়োজন—এ ঘটনার পর নগরবাসীর এই আর্তি গণমাধ্যম প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু কাজ কি কিছু হয়েছে? এই রাজধানী শহরে বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো যে কয়টি লেক ও অন্যান্য পানির উৎস, যেমন—মরা খাল আছে, সেগুলো কি পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছে? দুর্ভাগ্যের বিষয়, মাত্র কয়েক দিন পার না হতেই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেল সেই তীক্ষ অনুভূতি। সচেতন নাগরিক সমাজ বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছে, নগরের চারপাশে নদী ও জলাশয় দখলের প্রতিযোগিতা আগের মতোই অব্যাহত আছে।
ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মেনে দালানকোঠা নির্মিত হচ্ছে কি না, তা দেখার লোকবল রাজউকের না থাকলেও অর্থ-বাণিজ্যের ব্যাপারে আগ্রহের কমতি নেই। রাজউকের মাস্টার প্ল্যান ভঙ্গ করে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আগে নির্মিত ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পরে উত্তরা লেকের পানির অংশ বেষ্টন করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ২০ নম্বর সড়কের লেকের ধারে বাইরের সঙ্গে সংযোগকারী নালার মাধ্যমে ধোয়ানি পড়ার ফলে সৃষ্ট পলি পড়া অংশ ভরাটের মাধ্যমে রাতারাতি তড়িঘড়ি করে আবাসিক প্লট বরাদ্দ করে দেওয়া হলো। একইভাবে লেকের দক্ষিণ প্রান্তে বিমানবন্দরমুখী লেকের ধার ঘেঁষে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লেকের প্রান্তসীমায় এই খালি জায়গা একটি সুপরিসর ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ছিল। উত্তরা আবাসিক এলাকায় অনেকগুলো সেক্টরে ২০ বছর আগে বরাদ্দকৃত অনেক প্লট এখনো খালি পড়ে আছে, বাড়ি তৈরির কোনো উদ্যোগ নেই। এসব প্লটে বাড়ি নির্মিত না হলে রাজউক চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে বরাদ্দ বাতিল করতে পারে। একটি ক্ষেত্রেও এমন কিছু করা হয়েছে বলে কারও জানা নেই।
রাজউকের মাস্টার প্ল্যানে পানিবেষ্টিত জায়গা ছাড়া এই বিস্তৃত খালি জায়গাটা শিশুদের খেলাধুলা করার ‘স্পট’ তৈরি করার জন্য নির্ধারিত ছিল। অন্তত পরিবেশ অধিদপ্তরের ১৯৯৬ সালের ১৩ অক্টোবর গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর একটি নির্দেশনামূলক চিঠি দেখে তাই বোঝা যায়। এভাবে পানিবেষ্টিত জায়গা ভরাট করে প্লট বরাদ্দ করে ভবিষ্যতে ‘রানা প্লাজা’ ধসের মতো আরেকটি ঘটনার সূচনা করে রাখা হলো! এটা একটা গুরুতর অনিয়ম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘কোনো প্রাকৃতিক জলাশয়, জলাশয় বা খাল জরুরি প্রয়োজনে ভরাট করতে হলে এই কার্যালয়ের পূর্বানুমতি লাগবে। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের জমির প্রকৃতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ব্যতিরেকে পরিবর্তন করা যাবে না।’ উত্তরা লেকের ধারে প্লট বরাদ্দ করার সময় এ নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে।
লেকটা নিশ্চিহ্ন করার এই অপপ্রয়াসের প্রতিকার চেয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। লেকের বর্তমান করুণ অবস্থা তুলে ধরে সচিত্র প্রতিবেদনও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। রাজউকের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী আগে নির্মিত ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলে লেকের পাড় ঘেঁষে নতুনভাবে ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে। অনেকেই বলছেন, পাড় ঘেঁষে এভাবে চার ফুট পরিসরের এক চিলতে ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে প্রাতঃকালীন ও সন্ধ্যাকালীন ভ্রমণকারীদের দৈহিক ভারসাম্য কতটা বজায় আছে, তা পরীক্ষা করার জন্য!
মো. আসাদ উল্লাহ খান: পরিবেশবিদ, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক।
জনসংখ্যার ভারে রাজধানীতে যানজট, বায়ুদূষণসহ আরও বহুমুখী দুর্ভোগের কারণে নগরবাসী বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। নদী ও জলাশয়গুলো উদ্ধার করে সেসবের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে নগরের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক উন্নত হতো। কিন্তু দখল ও দূষণে রাজধানীর নদীসহ জলাশয়গুলোর অস্তিত্বই এখন হুমকির সম্মুখীন। এসব নদী ও জলাশয়ের পানিতে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে ওই পানি জলজ প্রাণীর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর উত্তরা লেকের পানি পরীক্ষা করে রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর পরীক্ষার প্রতিবেদন পেশ করে জানিয়েছে, এই লেকের পানি মাছ চাষের অনুপযোগী। তবু মাছ চাষ চলছে। লেকের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে অনেকগুলো নালার। খুবই উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, এই লেকের দুই প্রান্তে দুটি বিশাল নালার মাধ্যমে দূরের কয়েকটি কারখানা, সম্ভবত ডায়িং শিল্পকারখানা থেকে নিঃসৃত মারাত্মক দুর্গন্ধযুক্ত আলকাতরা রঙের পানি দিনরাত অব্যাহতভাবে এই লেকে ঢুকছে। একটি প্রাকৃতিক লেকে কি এভাবে বর্জ্য নিকাশ করা যায়? এ রকম একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিকারহীন অবস্থায় কেন দিনের পর দিন মানুষ বাস করবে? স্থানীয় পরিবেশ উন্নত না হলে গোটা দেশের পরিবেশ কীভাবে উন্নত হবে?
বনভূমি, নদী ও জলাশয় দখল ও দূষণ প্রতিরোধ এবং বর্জ্য পরিশোধন—এই কাজগুলো যথাযথভাবে চললে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এর একটিও কি আমরা ঠিকভাবে করতে পারছি? আর এখন তো নদীগুলো নিশ্চিহ্ন করার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দখলের প্রতিযোগিতায় খোদ রাজউক মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। জলাশয় নগরবাসীর জীবন রক্ষা ও প্রাণস্পন্দনের সঙ্গে কতটা নিবিড়ভাবে জড়িত, তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগার পরপরই। রাজধানীতে যে পর্যাপ্ত পানির আধার প্রয়োজন—এ ঘটনার পর নগরবাসীর এই আর্তি গণমাধ্যম প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু কাজ কি কিছু হয়েছে? এই রাজধানী শহরে বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো যে কয়টি লেক ও অন্যান্য পানির উৎস, যেমন—মরা খাল আছে, সেগুলো কি পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছে? দুর্ভাগ্যের বিষয়, মাত্র কয়েক দিন পার না হতেই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেল সেই তীক্ষ অনুভূতি। সচেতন নাগরিক সমাজ বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছে, নগরের চারপাশে নদী ও জলাশয় দখলের প্রতিযোগিতা আগের মতোই অব্যাহত আছে।
ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মেনে দালানকোঠা নির্মিত হচ্ছে কি না, তা দেখার লোকবল রাজউকের না থাকলেও অর্থ-বাণিজ্যের ব্যাপারে আগ্রহের কমতি নেই। রাজউকের মাস্টার প্ল্যান ভঙ্গ করে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আগে নির্মিত ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পরে উত্তরা লেকের পানির অংশ বেষ্টন করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ২০ নম্বর সড়কের লেকের ধারে বাইরের সঙ্গে সংযোগকারী নালার মাধ্যমে ধোয়ানি পড়ার ফলে সৃষ্ট পলি পড়া অংশ ভরাটের মাধ্যমে রাতারাতি তড়িঘড়ি করে আবাসিক প্লট বরাদ্দ করে দেওয়া হলো। একইভাবে লেকের দক্ষিণ প্রান্তে বিমানবন্দরমুখী লেকের ধার ঘেঁষে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লেকের প্রান্তসীমায় এই খালি জায়গা একটি সুপরিসর ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ছিল। উত্তরা আবাসিক এলাকায় অনেকগুলো সেক্টরে ২০ বছর আগে বরাদ্দকৃত অনেক প্লট এখনো খালি পড়ে আছে, বাড়ি তৈরির কোনো উদ্যোগ নেই। এসব প্লটে বাড়ি নির্মিত না হলে রাজউক চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে বরাদ্দ বাতিল করতে পারে। একটি ক্ষেত্রেও এমন কিছু করা হয়েছে বলে কারও জানা নেই।
রাজউকের মাস্টার প্ল্যানে পানিবেষ্টিত জায়গা ছাড়া এই বিস্তৃত খালি জায়গাটা শিশুদের খেলাধুলা করার ‘স্পট’ তৈরি করার জন্য নির্ধারিত ছিল। অন্তত পরিবেশ অধিদপ্তরের ১৯৯৬ সালের ১৩ অক্টোবর গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর একটি নির্দেশনামূলক চিঠি দেখে তাই বোঝা যায়। এভাবে পানিবেষ্টিত জায়গা ভরাট করে প্লট বরাদ্দ করে ভবিষ্যতে ‘রানা প্লাজা’ ধসের মতো আরেকটি ঘটনার সূচনা করে রাখা হলো! এটা একটা গুরুতর অনিয়ম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘কোনো প্রাকৃতিক জলাশয়, জলাশয় বা খাল জরুরি প্রয়োজনে ভরাট করতে হলে এই কার্যালয়ের পূর্বানুমতি লাগবে। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের জমির প্রকৃতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ব্যতিরেকে পরিবর্তন করা যাবে না।’ উত্তরা লেকের ধারে প্লট বরাদ্দ করার সময় এ নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে।
লেকটা নিশ্চিহ্ন করার এই অপপ্রয়াসের প্রতিকার চেয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। লেকের বর্তমান করুণ অবস্থা তুলে ধরে সচিত্র প্রতিবেদনও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। রাজউকের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী আগে নির্মিত ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলে লেকের পাড় ঘেঁষে নতুনভাবে ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে। অনেকেই বলছেন, পাড় ঘেঁষে এভাবে চার ফুট পরিসরের এক চিলতে ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে প্রাতঃকালীন ও সন্ধ্যাকালীন ভ্রমণকারীদের দৈহিক ভারসাম্য কতটা বজায় আছে, তা পরীক্ষা করার জন্য!
মো. আসাদ উল্লাহ খান: পরিবেশবিদ, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক।
No comments