মিয়ানমার-ভারত বৈঠক-বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গ্যাসলাইন নেবে ভারত!
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গ্যাস
পাইপলাইন নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকারের
সঙ্গে ভারত সরকারের প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকে গ্যাস পাইপলাইন বসানোর সম্ভাব্য
রূপরেখা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের
ভূমি ব্যবহার করে গ্যাস পাইপলাইন বসানোর ফলে উভয় দেশের যেসব সুবিধা হবে,
সেই প্রসঙ্গগুলোও আলোচনায় উঠে আসে বলে গতকাল শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। এ প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্ব এশিয়া সম্মেলনেও যোগ দিয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, গ্যাস পাইপলাইনটি মিয়ানমারের সিত্তোরে থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত যাবে। ফলে উত্তর মিয়ানমার ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো বেশ উপকৃত হবে। ওই সূত্র আরো জানায়, যদি উত্তর-পূর্ব ভারতে গ্যাস সরবরাহ করা যায়, তাহলে সেখানে নানা ধরনের শিল্পকারখানার অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটবে দ্রুত। গ্যাস সহজপ্রাপ্য না হওয়ায় এসব এলাকায় শিল্প মালিকরা সহজে বিনিয়োগ করতে চান না।
এর আগে গ্যাস লাইন বসানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে ২০০৪-০৫ সালে প্রকল্পটি বাদ দেয় ভারত। প্রায় দুই বছর অপেক্ষার পর ভারত সরকারের সাড়া না পেয়ে চীনের ইউনান-আরাকান পাইপলাইনের বিষয়ে সম্মতি দেয় মিয়ানমার। আরাকানের উপকূলীয় শহর কিয়াউকপিউ থেকে শুরু হয়ে ইউনান প্রদেশে শেষ হওয়ার কথা এ পাইপলাইনের।
এদিকে বাংলাদেশের সম্মতি না পেয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে ঘুরিয়ে পাইপলাইন নিয়ে মিয়ানমারের ক্ষেত্র থেকে পশ্চিমবঙ্গে গ্যাস নেওয়ার কথাও ভেবেছিল ভারত সরকার। তবে বাণিজ্যিকভাবে তা সুবিধাজনক না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি। অবশ্য এর পেছনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টিও একটি কারণ ছিল।
বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে 'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের' সূত্র ধরে ২০০৪-০৫ সালের সেই প্রকল্প আবারও ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি। তা ছাড়া এতে ট্রানজিট ফি হিসেবে বাংলাদেশেরও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। এ প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্ব এশিয়া সম্মেলনেও যোগ দিয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, গ্যাস পাইপলাইনটি মিয়ানমারের সিত্তোরে থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত যাবে। ফলে উত্তর মিয়ানমার ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো বেশ উপকৃত হবে। ওই সূত্র আরো জানায়, যদি উত্তর-পূর্ব ভারতে গ্যাস সরবরাহ করা যায়, তাহলে সেখানে নানা ধরনের শিল্পকারখানার অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটবে দ্রুত। গ্যাস সহজপ্রাপ্য না হওয়ায় এসব এলাকায় শিল্প মালিকরা সহজে বিনিয়োগ করতে চান না।
এর আগে গ্যাস লাইন বসানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে ২০০৪-০৫ সালে প্রকল্পটি বাদ দেয় ভারত। প্রায় দুই বছর অপেক্ষার পর ভারত সরকারের সাড়া না পেয়ে চীনের ইউনান-আরাকান পাইপলাইনের বিষয়ে সম্মতি দেয় মিয়ানমার। আরাকানের উপকূলীয় শহর কিয়াউকপিউ থেকে শুরু হয়ে ইউনান প্রদেশে শেষ হওয়ার কথা এ পাইপলাইনের।
এদিকে বাংলাদেশের সম্মতি না পেয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে ঘুরিয়ে পাইপলাইন নিয়ে মিয়ানমারের ক্ষেত্র থেকে পশ্চিমবঙ্গে গ্যাস নেওয়ার কথাও ভেবেছিল ভারত সরকার। তবে বাণিজ্যিকভাবে তা সুবিধাজনক না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি। অবশ্য এর পেছনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টিও একটি কারণ ছিল।
বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে 'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের' সূত্র ধরে ২০০৪-০৫ সালের সেই প্রকল্প আবারও ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি। তা ছাড়া এতে ট্রানজিট ফি হিসেবে বাংলাদেশেরও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
No comments