পবিত্র কোরআনের আলো-দ্বীনকেই সব সময় প্রাধান্য দিতে হবে
৩৭. কা-লা লা- য়া'তীকুমা- তা'আ-মুন
তুরযাকা-নিহী-- ইল্লা- নাব্বা'তুকুমা- বিতা'বীলিহী কাবলা আই য়া'তিয়াকুমা-,
যা-লিকুমা মিম্মা- 'আল্লামানী রাব্বী, ইন্নী তারাকতু মিল্লাতা কাউমিল লা-
য়ু'মিনূনা বিল্লাহি ওয়াহুম বিল আ-খিরাতি হুম কা-ফিরুনা
।অনুবাদ
: ৩৭. তিনি (জবাবে) বললেন, কারাগারে তোমাদের যে খাবার সরবরাহ করা হয়, তা
তোমাদের কাছে পৌঁছার আগেই আমি এর রহস্য জানিয়ে দেব।* এটি সেই জ্ঞানের অংশ,
যা আল্লাহ তায়ালা আমাকে দান করেছেন। (এর আগে তোমরা শুনে রাখো,) আমি ওই সব
লোকের ধর্ম বর্জন করেছি, যারা আল্লাহ এবং পরকালের ওপর বিশ্বাস করে না।*
তাফসির : * দুই যুবক ইউসুফ (আ.)-এর কাছে নিজেদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে তিনি নবীসুলভ ভঙ্গিতে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে তাদের আল্লাহর প্রতি ইমানের দাওয়াত এবং তাঁর দ্বীন প্রচারের কাজ শুরু করে দিলেন। দাওয়াতের মূলনীতি অনুযায়ী তিনি প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে তাদের অন্তরে আস্থা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে একটি মুজেজা উল্লেখ করলেন। তা হলো, তোমাদের জন্য রোজ বাসা থেকে অথবা যেকোনো জায়গা থেকে যখনই খাদ্য সরবরাহ করা হবে, তা আসার আগেই আমি তোমাদের খাদ্যের প্রকার, গুণাগুণ, পরিমাণ ও সময় সম্পর্কে বলে দিই। বাস্তবে আমার সরবরাহকৃত তথ্য সবই সত্য প্রমাণিত হয়। এটি কোনো ভবিষ্যৎ কথন, জ্যোতিষবিদ্যা অথবা অতীন্দ্রিয়বাদের ভেল্কি নয়; বরং আমার প্রভু আল্লাহ অহির মাধ্যমে আমাকে যা জানিয়ে দেন, আমি তা-ই তোমাদের কাছে বলে দিই। নিঃসন্দেহে এই মুজেজাটি নবুওয়তের প্রকাশ্য প্রমাণ এবং তাঁকে নবী হিসেবে বিশ্বাস করার অনেক বড় কারণ।
* প্রথমে ইউসুফ (আ.) দাওয়াত প্রচারের মূলনীতি অনুযায়ী আল্লাহর প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। তাঁর মুজেজার ঘটনায় দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। এ পর্যায়ে তিনি আল্লাহর প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপনকারী তথা কাফেরদের ভ্রান্ত চিন্তা ও মতবাদের প্রতি নিজের বিমুখতা বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, আমি নবী পরিবারেরই একজন এবং তাঁদেরই সত্য ধর্মের অনুসারী। আমার পূর্বপুরুষ ইবরাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুব (আলাইহিমুস সালাম)। এ বংশগত আভিজাত্যও অনেক সময় মানুষের আস্থা অর্জনে সহায়ক হয়। এরপর বলেছেন, আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে কাউকে তাঁর এলাহি গুণাবলিতে অংশীদার মনে করা আমাদের পক্ষে মোটেই বৈধ নয়। এ সত্য ধর্মের প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের তওফিক আল্লাহ তায়ালা আমাদের অনুগ্রহ করেই দান করেছেন। তিনি সুস্থ বিবেক-বুদ্ধি দান করে সত্যকে গ্রহণ করা আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। বাস্তবতা হলো, এতদসত্ত্বেও অনেক লোক এই নিয়ামতের অনুগ্রহ স্বীকার করে না। পরে তিনি কয়েদিদেরই প্রশ্ন করে বললেন, আচ্ছা, তোমরাই বলো, অনেক পালনকর্তার উপাসক হওয়া নাকি এক আল্লাহর দাস হওয়া উত্তম, যে এক আল্লাহ সবার ওপরে পরাক্রমশালী? ধর্মীয় প্রচারকাজ শেষে ইউসুফ (আ.) যুবকদ্বয়ের জিজ্ঞাসিত স্বপ্নের ব্যাখ্যায় বললেন, তোমাদের একজন মুক্তি পাবে। চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে বাদশাকে মদ পান করাবে। অন্যজন অপরাধী প্রমাণিত হবে। তাকে শূলে চড়ানো হবে। পাখিরা তার মাথার মগজ ঠুকরে খাবে। এখান থেকে শিক্ষণীয় হলো, যেকোনো প্রেক্ষাপটে সুযোগ পেলেই আল্লাহর দ্বীনকে পথহারা মানুষের মাঝে তুলে ধরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে প্রাধান্য দিতে হবে।
তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন ও ইবনে কাছির অবলম্বনে হাসানুল কাদির
তাফসির : * দুই যুবক ইউসুফ (আ.)-এর কাছে নিজেদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে তিনি নবীসুলভ ভঙ্গিতে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে তাদের আল্লাহর প্রতি ইমানের দাওয়াত এবং তাঁর দ্বীন প্রচারের কাজ শুরু করে দিলেন। দাওয়াতের মূলনীতি অনুযায়ী তিনি প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে তাদের অন্তরে আস্থা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে একটি মুজেজা উল্লেখ করলেন। তা হলো, তোমাদের জন্য রোজ বাসা থেকে অথবা যেকোনো জায়গা থেকে যখনই খাদ্য সরবরাহ করা হবে, তা আসার আগেই আমি তোমাদের খাদ্যের প্রকার, গুণাগুণ, পরিমাণ ও সময় সম্পর্কে বলে দিই। বাস্তবে আমার সরবরাহকৃত তথ্য সবই সত্য প্রমাণিত হয়। এটি কোনো ভবিষ্যৎ কথন, জ্যোতিষবিদ্যা অথবা অতীন্দ্রিয়বাদের ভেল্কি নয়; বরং আমার প্রভু আল্লাহ অহির মাধ্যমে আমাকে যা জানিয়ে দেন, আমি তা-ই তোমাদের কাছে বলে দিই। নিঃসন্দেহে এই মুজেজাটি নবুওয়তের প্রকাশ্য প্রমাণ এবং তাঁকে নবী হিসেবে বিশ্বাস করার অনেক বড় কারণ।
* প্রথমে ইউসুফ (আ.) দাওয়াত প্রচারের মূলনীতি অনুযায়ী আল্লাহর প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। তাঁর মুজেজার ঘটনায় দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। এ পর্যায়ে তিনি আল্লাহর প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপনকারী তথা কাফেরদের ভ্রান্ত চিন্তা ও মতবাদের প্রতি নিজের বিমুখতা বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, আমি নবী পরিবারেরই একজন এবং তাঁদেরই সত্য ধর্মের অনুসারী। আমার পূর্বপুরুষ ইবরাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুব (আলাইহিমুস সালাম)। এ বংশগত আভিজাত্যও অনেক সময় মানুষের আস্থা অর্জনে সহায়ক হয়। এরপর বলেছেন, আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে কাউকে তাঁর এলাহি গুণাবলিতে অংশীদার মনে করা আমাদের পক্ষে মোটেই বৈধ নয়। এ সত্য ধর্মের প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের তওফিক আল্লাহ তায়ালা আমাদের অনুগ্রহ করেই দান করেছেন। তিনি সুস্থ বিবেক-বুদ্ধি দান করে সত্যকে গ্রহণ করা আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। বাস্তবতা হলো, এতদসত্ত্বেও অনেক লোক এই নিয়ামতের অনুগ্রহ স্বীকার করে না। পরে তিনি কয়েদিদেরই প্রশ্ন করে বললেন, আচ্ছা, তোমরাই বলো, অনেক পালনকর্তার উপাসক হওয়া নাকি এক আল্লাহর দাস হওয়া উত্তম, যে এক আল্লাহ সবার ওপরে পরাক্রমশালী? ধর্মীয় প্রচারকাজ শেষে ইউসুফ (আ.) যুবকদ্বয়ের জিজ্ঞাসিত স্বপ্নের ব্যাখ্যায় বললেন, তোমাদের একজন মুক্তি পাবে। চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে বাদশাকে মদ পান করাবে। অন্যজন অপরাধী প্রমাণিত হবে। তাকে শূলে চড়ানো হবে। পাখিরা তার মাথার মগজ ঠুকরে খাবে। এখান থেকে শিক্ষণীয় হলো, যেকোনো প্রেক্ষাপটে সুযোগ পেলেই আল্লাহর দ্বীনকে পথহারা মানুষের মাঝে তুলে ধরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে প্রাধান্য দিতে হবে।
তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন ও ইবনে কাছির অবলম্বনে হাসানুল কাদির
No comments