মধুখালীতে সরকারিভাবে গম ক্রয়ে অনিয়ম বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত কৃষক
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার সরকারি
খাদ্যগুদামে গম কেনায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রকৃত
কৃষকদের কাছ থেকে গম কেনার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে।
গম কেনার জন্য কৃষকদের যে তালিকা করা হয়েছে, সেখানে মৃত ও একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার রয়েছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মধুখালীতে এ বছর সরকারিভাবে এক হাজার ১৪৯ টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সরকার প্রতি টন গমের দাম ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩৫০ জন কৃষকের কাছ থেকে এ গম কেনার কথা। গত ১ মে গম কেনা শুরু হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে তিন টন গম কেনার কথা।
উপজেলার মহিষাপুর এলাকার কৃষক আকরাম হোসেন মিয়া জানান, তিনি গুদামে বিক্রি করতে না পেরে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৮০০ টাকা মণ দরে গম বিক্রি করে দিয়েছেন। উপজেলার মথুরাপুরের গমচাষি আফছার মোল্লা বলেন, ‘গুদাম কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে গম কেনেনি।’
খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার কার্যলায়ে থাকা তালিকা যাচাই করা দেখা গেছে, তালিকার ৩০ নম্বরে থাকা অশোক পোদ্দার, বাবা মৃত অনিল পোদ্দার, গ্রাম সদর ইউনিয়নের গাড়াখোলা দেখানো হয়েছে। আবার একই তালিকার ১৮০ নম্বর ক্রমিকে আগের মৃত অনিল পোদ্দারকে ছেলে ও অশোককে বাবা হিসেবে দেখানো হয়েছে। ১৭ নম্বর ক্রমিকে সুজিত কুমার সাহা, পিতা মৃত হাজারি লাল সাহা, গ্রাম বৈকুণ্ঠপুর দেখানো হয়েছে।
অপর দিকে ১৬৭ নম্বর ক্রমিকে হাজারি লাল সাহাকে ছেলে ও সুজিত কুমারকে বাবা হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া ১৬৮ নম্বরের বিশ্বনাথ সাহা, ১৬৯-এর তন্ময় সাহা, ১৭০-এর হাবিবুর রহমান, ১৭১-এর হাজারি লাল সাহা থেকে ১৭৩ পর্যন্ত যেসব কৃষকের নাম জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তাঁরা কেউ ওই এলাকার বাসিন্দা নন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিদ্ধেশ্বর মজুমদার। এ ছাড়া ৩১৭ ও ৩৪২ নম্বর ক্রমিকে একই ব্যক্তির নাম রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মিলে কৃষকদের ওই তালিকা তৈরি করেছেন। খাদ্যগুদামে কৃষকদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে গম বিক্রির জন্য তাঁরা এ কাজ করেছেন।
বৈকুণ্ঠপুরের গম ব্যবসায়ী সুজিত সাহা কৃষকের কাছ থেকে কিনে গুদামে গম সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তিনিও একজন কৃষক। তাই খাদ্যগুদামে তিনি গম সরবরাহ করেছেন। অপর গম ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ‘আমি গুদামে গম সরবরাহ করে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা দাম পেয়েছি।’
কৃষকদের তালিকা তৈরিতে সহায়তা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল হক।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা প্রবীর কুমার কীর্ত্তনীয়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গম কেনার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার তালিকা অনুযায়ী আমরা গম কিনছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ওপর থেকে প্রস্তুত করা তালিকায় তাঁকে সই করতে হয়েছে। তবে ওপর থেকে কারা এ তালিকা তাঁকে দিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দাবি করেন, গম কেনায় দুর্নীতি হয়নি। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকেই গম কেনা গচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মধুখালীতে এ বছর সরকারিভাবে এক হাজার ১৪৯ টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সরকার প্রতি টন গমের দাম ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩৫০ জন কৃষকের কাছ থেকে এ গম কেনার কথা। গত ১ মে গম কেনা শুরু হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে তিন টন গম কেনার কথা।
উপজেলার মহিষাপুর এলাকার কৃষক আকরাম হোসেন মিয়া জানান, তিনি গুদামে বিক্রি করতে না পেরে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৮০০ টাকা মণ দরে গম বিক্রি করে দিয়েছেন। উপজেলার মথুরাপুরের গমচাষি আফছার মোল্লা বলেন, ‘গুদাম কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে গম কেনেনি।’
খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার কার্যলায়ে থাকা তালিকা যাচাই করা দেখা গেছে, তালিকার ৩০ নম্বরে থাকা অশোক পোদ্দার, বাবা মৃত অনিল পোদ্দার, গ্রাম সদর ইউনিয়নের গাড়াখোলা দেখানো হয়েছে। আবার একই তালিকার ১৮০ নম্বর ক্রমিকে আগের মৃত অনিল পোদ্দারকে ছেলে ও অশোককে বাবা হিসেবে দেখানো হয়েছে। ১৭ নম্বর ক্রমিকে সুজিত কুমার সাহা, পিতা মৃত হাজারি লাল সাহা, গ্রাম বৈকুণ্ঠপুর দেখানো হয়েছে।
অপর দিকে ১৬৭ নম্বর ক্রমিকে হাজারি লাল সাহাকে ছেলে ও সুজিত কুমারকে বাবা হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া ১৬৮ নম্বরের বিশ্বনাথ সাহা, ১৬৯-এর তন্ময় সাহা, ১৭০-এর হাবিবুর রহমান, ১৭১-এর হাজারি লাল সাহা থেকে ১৭৩ পর্যন্ত যেসব কৃষকের নাম জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তাঁরা কেউ ওই এলাকার বাসিন্দা নন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিদ্ধেশ্বর মজুমদার। এ ছাড়া ৩১৭ ও ৩৪২ নম্বর ক্রমিকে একই ব্যক্তির নাম রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মিলে কৃষকদের ওই তালিকা তৈরি করেছেন। খাদ্যগুদামে কৃষকদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে গম বিক্রির জন্য তাঁরা এ কাজ করেছেন।
বৈকুণ্ঠপুরের গম ব্যবসায়ী সুজিত সাহা কৃষকের কাছ থেকে কিনে গুদামে গম সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তিনিও একজন কৃষক। তাই খাদ্যগুদামে তিনি গম সরবরাহ করেছেন। অপর গম ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ‘আমি গুদামে গম সরবরাহ করে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা দাম পেয়েছি।’
কৃষকদের তালিকা তৈরিতে সহায়তা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল হক।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা প্রবীর কুমার কীর্ত্তনীয়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গম কেনার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার তালিকা অনুযায়ী আমরা গম কিনছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ওপর থেকে প্রস্তুত করা তালিকায় তাঁকে সই করতে হয়েছে। তবে ওপর থেকে কারা এ তালিকা তাঁকে দিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দাবি করেন, গম কেনায় দুর্নীতি হয়নি। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকেই গম কেনা গচ্ছে।
No comments