খেলার আনন্দ উবে গেল বিস্ফোরণে-সাত শিশু আহত অভিভাবকরা দুষলেন সহিংস রাজনীতিকে
ছুটির দিন। জমিতে ধান কাটা হয়ে গেছে বলে
মাঠও উন্মুক্ত। তাই সকাল ১১টায়ই ফুটবল নিয়ে নেমে পড়ে সাত থেকে ১০ বছর বয়সী
কয়েকটি শিশু। এক পর্যায়ে বলটি গিয়ে পড়ে ঝোপঝাড়ে ভর্তি পাশের একটি গর্তে।
তুমুল
আনন্দ, দেরি সইছে না। তাই বলটি ফেরত আনতে একে একে সাতটি ছেলেমেয়ে নেমে পড়ে
গর্তটিতে। কিন্তু মুহূর্তের বিস্ফোরণে আনন্দ ছুটে যায়। গায়ে স্প্লিন্টার
বিদ্ধ হয়ে ঠাঁই হয় হাসপাতালে।
গতকাল শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোনিমগাছি এলাকায় এভাবেই পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয় সাতটি শিশু। লাল স্কচটেপ মোড়ানো বল দেখে নাড়াচাড়া করতেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে আহত শিশুরা জানায়। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনাস্থলটি জামায়াত-শিবির-অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। আহত সব শিশুই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাঁর দাবি, গর্তটিতে একটি মাত্র ককটেল ছিল। তবে আহত শিশুরা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, তারা গর্তটিতে পাঁচটি ককটেল দেখেছে। তবে কয়টি বিস্ফোরিত হয়েছে তারা তা বলতে পারেনি।
পুলিশ ও আহত শিশুরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে নামোনিমগাছী এলাকার কয়েকটি শিশু উন্মুক্ত জমিতে ফুটবল খেলছিল। এক পর্যায়ে ফুটবলটি পাশের ঝোপে পড়ে গেলে শিশুরা সেখানে খুঁজতে যায়। গিয়ে দেখে গর্তটিতে লাল কচটেপ দিয়ে মোড়ানো কয়েকটি বল। কৌতূহলবশত তারা বলগুলো কাঠি দিয়ে নাড়াচাড়া করতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
আহত শিশুরা হলো হলো নামোনিমগাছী গ্রামের মনিমুল ইসলামের ছেলে শাকিল (১০), আবদুর রাকিবের ছেলে মোস্তাকিম (১০), রফিকুল ইসলামের ছেলে হাসান (৭), ফারুক হোসেনের ছেলে আলিম (৬), রাকিবের মেয়ে রাবেয়া (৯) ও ভুলুর মেয়ে বৃষ্টি (৯) এবং শিয়ালা কলোনি এলাকার ওসমান আলীর ছেলে ওয়াকিল (১০)। তাদের মধ্যে শাকিলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ওয়াকিলকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত শাকিলের মাথা ও বাম হাতে প্রচুর এবং পেটসহ শরীরের অন্যান্য অংশে বেশ কিছু স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে।
আহত কয়েকজন শিশুর অভিভাবক ঘটনার জন্য দেশের সহিংস রাজনীতিকে দুষছেন। আহত শিশু রাবেয়ার বাবা রাকিব আক্ষেপ করে বলেন, 'রাজনীতির নামে যে সহিংস তৎপরতা চলছে, সে কারণেই আমার মেয়েটির এমন অবস্থা হলো।' আহত আরেক শিশু ওয়াকিলের বাবা ওসমান আলীও প্রায় অভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের যে দুটি পয়েন্টে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তৎপর থাকে তা হচ্ছে শিবতলা ও উপরাজা রামপুর। নামোনিমগাছী হল উপরাজা রামপুরের নিকটবর্তী এলাকা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার এস এম বজলুর রহমান জানান, ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত তৎক্ষণিভাবে বলা মুশকিল। জিডির ভিত্তিতে তদন্ত হবে। এতে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোনিমগাছি এলাকায় এভাবেই পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয় সাতটি শিশু। লাল স্কচটেপ মোড়ানো বল দেখে নাড়াচাড়া করতেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে আহত শিশুরা জানায়। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনাস্থলটি জামায়াত-শিবির-অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। আহত সব শিশুই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাঁর দাবি, গর্তটিতে একটি মাত্র ককটেল ছিল। তবে আহত শিশুরা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, তারা গর্তটিতে পাঁচটি ককটেল দেখেছে। তবে কয়টি বিস্ফোরিত হয়েছে তারা তা বলতে পারেনি।
পুলিশ ও আহত শিশুরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে নামোনিমগাছী এলাকার কয়েকটি শিশু উন্মুক্ত জমিতে ফুটবল খেলছিল। এক পর্যায়ে ফুটবলটি পাশের ঝোপে পড়ে গেলে শিশুরা সেখানে খুঁজতে যায়। গিয়ে দেখে গর্তটিতে লাল কচটেপ দিয়ে মোড়ানো কয়েকটি বল। কৌতূহলবশত তারা বলগুলো কাঠি দিয়ে নাড়াচাড়া করতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
আহত শিশুরা হলো হলো নামোনিমগাছী গ্রামের মনিমুল ইসলামের ছেলে শাকিল (১০), আবদুর রাকিবের ছেলে মোস্তাকিম (১০), রফিকুল ইসলামের ছেলে হাসান (৭), ফারুক হোসেনের ছেলে আলিম (৬), রাকিবের মেয়ে রাবেয়া (৯) ও ভুলুর মেয়ে বৃষ্টি (৯) এবং শিয়ালা কলোনি এলাকার ওসমান আলীর ছেলে ওয়াকিল (১০)। তাদের মধ্যে শাকিলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ওয়াকিলকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত শাকিলের মাথা ও বাম হাতে প্রচুর এবং পেটসহ শরীরের অন্যান্য অংশে বেশ কিছু স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে।
আহত কয়েকজন শিশুর অভিভাবক ঘটনার জন্য দেশের সহিংস রাজনীতিকে দুষছেন। আহত শিশু রাবেয়ার বাবা রাকিব আক্ষেপ করে বলেন, 'রাজনীতির নামে যে সহিংস তৎপরতা চলছে, সে কারণেই আমার মেয়েটির এমন অবস্থা হলো।' আহত আরেক শিশু ওয়াকিলের বাবা ওসমান আলীও প্রায় অভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের যে দুটি পয়েন্টে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তৎপর থাকে তা হচ্ছে শিবতলা ও উপরাজা রামপুর। নামোনিমগাছী হল উপরাজা রামপুরের নিকটবর্তী এলাকা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার এস এম বজলুর রহমান জানান, ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত তৎক্ষণিভাবে বলা মুশকিল। জিডির ভিত্তিতে তদন্ত হবে। এতে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments