কুসায়ের দখলের পর শক্ত অবস্থানে আসাদ'-মনোবল হারাচ্ছে বিদ্রোহীরা'
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুসায়ের শহরের
নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরদিন গত বৃহস্পতিবার গোলান মালভূমির কুনেইত্রা ক্রসিংয়ে
দখল কায়েম করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
বিশ্লেষকরা মনে
করছেন, লেবাননের সীমান্ত লাগোয়া হোমস প্রদেশের কুসায়েরের রাশ হাতে ফিরে
পাওয়ার ব্যাপারটি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অন্যতম বড় বিজয়। বিদ্রোহীদের
কাছ থেকে কুনেইত্রার দখল ছিনিয়ে নেওয়ার পর রণাঙ্গনে 'এগিয়ে' রইল আসাদ
বাহিনী। তিন বছরে গড়ানো সংঘাতে এর আগে এত সুবিধাজনক অবস্থায় আর কখনোই ছিল
না সিরীয় সরকার। বিপরীতে বিদ্রোহীরা 'মনোবল হারাতে বসেছে'।
কুসায়ের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে লেবাননের শিয়াপন্থী কট্টরগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে একযোগে হামলা চালিয়েছিল আসাদ বাহিনী। প্রায় তিন সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া থেকে নিজেদের যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিতে হিজবুল্লাহর প্রতিও আহবান জানিয়েছে দেশটি। বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন, গেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা আগামী দিনগুলোয়ও দরকারের সময় আসাদের পাশে দাঁড়াবে। কাতারের গবেষণা সংস্থা ব্রুকিংস দোহা সেন্টারের শাদি হামিদ বলেন, 'কুসায়েরের ঘটনা এটা নিশ্চিত করেছে যে আসাদ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী নয়, বরং বাস্তব চিত্র হলো, সত্যিকার অর্থে বিদ্রোহীরাই হয়তো হেরে যেতে পারে।' হামিদের মতে, 'মনস্তাত্তি্বক অবস্থান থেকে এ ঘটনা কেবল সিরিয়ার জন্য নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।' যদিও সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ও মস্কোর সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ সম্মেলন হওয়ার কথা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ ব্যাপারে কথাবার্তা শুরুর পরপরই আসাদ সরকার এতে যোগ দেওয়ার কথা জানায়। তবে আসাদবিরোধীরা জানিয়েছে, ইরান ও হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সিরিয়া না ছাড়া পর্যন্ত তারা সম্মেলনে যোগ দেবে না। হামিদ বলেন, 'কুসায়েরে পরাজয়ের পর বিদ্রোহীরা আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে পড়েছে।' প্যারিসের সুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক আবু দিয়াব মনে করেন, 'অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আসাদবাহিনী শক্তিশালী অবস্থানে উঠে এসেছে। কুসায়েরের দখলের পর রাজধানী দামেস্ক থেকে উপকূল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে।' দুবাইভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনেগমা সেন্টারের সামরিক বিশ্লেষক নাজি মালায়েব বলেন, 'জেনেভা সম্মেলনের আগেই গুরুত্বপূর্ণ তিন শহর আলেপ্পো, দামেস্ক ও হোমসে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় আসাদ বাহিনী।' এ জন্য ইতিমধ্যে তারা প্রস্তুতিও শুরু করেছে বলে জানান তিনি। সূত্র : এএফপি।
কুসায়ের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে লেবাননের শিয়াপন্থী কট্টরগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে একযোগে হামলা চালিয়েছিল আসাদ বাহিনী। প্রায় তিন সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া থেকে নিজেদের যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিতে হিজবুল্লাহর প্রতিও আহবান জানিয়েছে দেশটি। বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন, গেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা আগামী দিনগুলোয়ও দরকারের সময় আসাদের পাশে দাঁড়াবে। কাতারের গবেষণা সংস্থা ব্রুকিংস দোহা সেন্টারের শাদি হামিদ বলেন, 'কুসায়েরের ঘটনা এটা নিশ্চিত করেছে যে আসাদ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী নয়, বরং বাস্তব চিত্র হলো, সত্যিকার অর্থে বিদ্রোহীরাই হয়তো হেরে যেতে পারে।' হামিদের মতে, 'মনস্তাত্তি্বক অবস্থান থেকে এ ঘটনা কেবল সিরিয়ার জন্য নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।' যদিও সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ও মস্কোর সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ সম্মেলন হওয়ার কথা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ ব্যাপারে কথাবার্তা শুরুর পরপরই আসাদ সরকার এতে যোগ দেওয়ার কথা জানায়। তবে আসাদবিরোধীরা জানিয়েছে, ইরান ও হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সিরিয়া না ছাড়া পর্যন্ত তারা সম্মেলনে যোগ দেবে না। হামিদ বলেন, 'কুসায়েরে পরাজয়ের পর বিদ্রোহীরা আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে পড়েছে।' প্যারিসের সুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক আবু দিয়াব মনে করেন, 'অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আসাদবাহিনী শক্তিশালী অবস্থানে উঠে এসেছে। কুসায়েরের দখলের পর রাজধানী দামেস্ক থেকে উপকূল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে।' দুবাইভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনেগমা সেন্টারের সামরিক বিশ্লেষক নাজি মালায়েব বলেন, 'জেনেভা সম্মেলনের আগেই গুরুত্বপূর্ণ তিন শহর আলেপ্পো, দামেস্ক ও হোমসে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় আসাদ বাহিনী।' এ জন্য ইতিমধ্যে তারা প্রস্তুতিও শুরু করেছে বলে জানান তিনি। সূত্র : এএফপি।
No comments