ওদের পরিচয় যা-ই হোক, শাস্তি দিন সাভারে শ্রমিকদের ওপর হামলা
সাভারে রানা প্লাজা বিপর্যয়ে নিখোঁজ
শ্রমিকদের সঠিক তালিকা প্রকাশসহ সব শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে
বিক্ষোভরত লোকজনের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই
দুর্বৃত্তরা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করেছে।
গুরুতর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা উচিত। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা
যথেষ্ট অস্বচ্ছ ও অস্পষ্ট। কারণ, তারা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সম্ভব সব
রকম ব্যবস্থা নিয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয় না। নিখোঁজ ও নিহত ব্যক্তিদের
স্বজনেরা রানা প্লাজা এলাকায় আরও বহুদিন ভিড় জমাবেন, প্রতিবাদ করবেন,
দাবিদাওয়া জানাবেন—এটাই স্বাভাবিক।
মানবসৃষ্ট রানা প্লাজা দুর্ঘটনা একটি জাতীয় লজ্জা। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে এমন কিছু করা হয়নি, যাতে নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা স্বস্তিতে থাকতে পারেন। এমনকি সরকার ও বিজিএমইএ থেকে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাও পুরো বাস্তবায়িত হয়নি। এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে শ্রমিক সংগঠনগুলো সোচ্চার না থাকলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট অনিশ্চিত থেকে যাবে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশে সরকারি বা বেসরকারি যাঁরাই পরিকল্পিতভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন, তাঁরা কার্যত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন করছেন।
উপরন্তু বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। ২৪ জুনের মধ্যে দাবিদাওয়া মানা না হলে শ্রমিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি হালকাভাবে দেখা ঠিক হবে না। অন্যদিকে আন্দোলনরত শ্রমিক ও তাঁদের স্বজনদের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকেও আমরা অবশ্যই ‘জ্বালাও-পোড়াও’ কর্মসূচি সমর্থন করি না। মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহন ভাঙচুরের মতো সহিংস কর্মসূচি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বরদাশত করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই। কিন্তু বিস্ময়কর অভিযোগ যে ‘পুলিশের উপস্থিতিতে’ শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের পরিচয় যা-ই হোক, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে।
মানবসৃষ্ট রানা প্লাজা দুর্ঘটনা একটি জাতীয় লজ্জা। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে এমন কিছু করা হয়নি, যাতে নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা স্বস্তিতে থাকতে পারেন। এমনকি সরকার ও বিজিএমইএ থেকে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাও পুরো বাস্তবায়িত হয়নি। এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে শ্রমিক সংগঠনগুলো সোচ্চার না থাকলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট অনিশ্চিত থেকে যাবে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশে সরকারি বা বেসরকারি যাঁরাই পরিকল্পিতভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন, তাঁরা কার্যত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন করছেন।
উপরন্তু বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। ২৪ জুনের মধ্যে দাবিদাওয়া মানা না হলে শ্রমিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি হালকাভাবে দেখা ঠিক হবে না। অন্যদিকে আন্দোলনরত শ্রমিক ও তাঁদের স্বজনদের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকেও আমরা অবশ্যই ‘জ্বালাও-পোড়াও’ কর্মসূচি সমর্থন করি না। মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহন ভাঙচুরের মতো সহিংস কর্মসূচি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বরদাশত করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই। কিন্তু বিস্ময়কর অভিযোগ যে ‘পুলিশের উপস্থিতিতে’ শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের পরিচয় যা-ই হোক, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে।
No comments