মনের জানালা by মেহতাব খানম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের
অধ্যাপক মেহতাব খানম। তিনি আপনার মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান
দেবেন। অল্প কথায় আপনার সমস্যা তুলে ধরুন।
আপনার সঠিক পরিচয় না দিতে চাইলে অন্য কোনো নাম ব্যবহার করুন।—বি. স.
সমস্যা: আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। খুব ভালো ছাত্রী নই। আমি যাকে ভালোবাসি সে বিবিএ পড়ে, ভালো ছাত্র। আমাদের সম্পর্কের শুরু দুই বছর আগে। আমরা একজন আরেকজনকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু সমস্যা হলো, ও খুব অল্পতেই রেগে যায়। তারপর উল্টাপাল্টা কথা বলে। হয়তো আমার ভালোর জন্যই বলে, কিন্তু রাগ করলে ও কী বলে তা ও নিজেও বোঝে না। ও আমার জন্য খুব টেনশন করে, রাগারাগি করে। পরে আবার সরিও বলে। এখন কী করলে ও রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে? আমিই বা কী করতে পারি? এতে আমার ওপর চাপ পড়ছে। সমস্যার সমাধান পেলে খুব উপকৃত হব।
সম্পা, সাভার, ঢাকা
পরামর্শ: জন্ম থেকেই রাগ, দুঃখ, ভয়, আনন্দ—এ চারটি আবেগের উপস্থিতি নবজাত শিশুর মধ্যেও থাকে। তবে নেতিবাচক আবেগগুলোর আধিক্য ঠিক নয়। বেড়ে ওঠার সময় আমাদের কাছের মানুষগুলোর আচরণের কারণে অনেকের মধ্যেই এসব আবেগের প্রকাশ বেশি হয়। আমাদের সমাজে মেয়েদের দুঃখ প্রকাশ এবং ছেলেদের রাগের প্রকাশকে অনেকটা উৎসাহিত করা হয়। তাই এটা তাদের এক প্রকার স্বভাবে পরিণত হয়। এ ছাড়া পরিবারে কাউকে খুব রাগ করতে দেখলে শিশুরাও তা অনুকরণ করে। তোমার ভালোবাসার মানুষটির এই নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য দূর করা তোমার পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। কারণ, এটি তার ব্যক্তিত্বের মধ্যে বেশ দৃঢ়ভাবেই আছে। তুমি লিখেছ, তোমার ভালোর জন্যই সে রাগ করে বা অগ্রহণযোগ্য কিছু কথা বলে ফেলে। অতটা রাগ না করেও বলা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তুমি তার এ কথাগুলোর প্রতি-উত্তরে কী বলছ বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছ? তুমিও যদি একইভাবে রাগ কর, তাহলে ঝগড়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। আবার তুমি যদি সব সময় চুপচাপ থেকে ওর কথাগুলো হজম করতে চেষ্টা কর, তাহলে সে এভাবেই আচরণ করতে থাকবে। এতে ওর রাগকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। তোমাকে দৃঢ়ভাবে বলতে হবে, ওর এই আচরণ বা কথাগুলো তোমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এতে ওর যেমন শরীরের ক্ষতি হচ্ছে, তুমিও প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগছ। অতিরিক্ত এ রাগের ফলে ও যে কথাগুলো বলছে, তাতে তোমাদের সম্পর্কের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরে দুঃখিত হলেও রাগের সময় যে ভাষা সে ব্যবহার করছে, তা ঠিকই তোমার মনে থাকবে। ‘অ্যাংগার ম্যানেজমেন্ট’-এর ওপর কিছুদিন কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তুমি তাকে বলে দেখতে পারো, সে কোনো সংস্থায় গিয়ে এ সেবা নিতে চায় কি না। চিঠির জন্য ধন্যবাদ।
সমস্যা: আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। খুব ভালো ছাত্রী নই। আমি যাকে ভালোবাসি সে বিবিএ পড়ে, ভালো ছাত্র। আমাদের সম্পর্কের শুরু দুই বছর আগে। আমরা একজন আরেকজনকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু সমস্যা হলো, ও খুব অল্পতেই রেগে যায়। তারপর উল্টাপাল্টা কথা বলে। হয়তো আমার ভালোর জন্যই বলে, কিন্তু রাগ করলে ও কী বলে তা ও নিজেও বোঝে না। ও আমার জন্য খুব টেনশন করে, রাগারাগি করে। পরে আবার সরিও বলে। এখন কী করলে ও রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে? আমিই বা কী করতে পারি? এতে আমার ওপর চাপ পড়ছে। সমস্যার সমাধান পেলে খুব উপকৃত হব।
সম্পা, সাভার, ঢাকা
পরামর্শ: জন্ম থেকেই রাগ, দুঃখ, ভয়, আনন্দ—এ চারটি আবেগের উপস্থিতি নবজাত শিশুর মধ্যেও থাকে। তবে নেতিবাচক আবেগগুলোর আধিক্য ঠিক নয়। বেড়ে ওঠার সময় আমাদের কাছের মানুষগুলোর আচরণের কারণে অনেকের মধ্যেই এসব আবেগের প্রকাশ বেশি হয়। আমাদের সমাজে মেয়েদের দুঃখ প্রকাশ এবং ছেলেদের রাগের প্রকাশকে অনেকটা উৎসাহিত করা হয়। তাই এটা তাদের এক প্রকার স্বভাবে পরিণত হয়। এ ছাড়া পরিবারে কাউকে খুব রাগ করতে দেখলে শিশুরাও তা অনুকরণ করে। তোমার ভালোবাসার মানুষটির এই নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য দূর করা তোমার পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। কারণ, এটি তার ব্যক্তিত্বের মধ্যে বেশ দৃঢ়ভাবেই আছে। তুমি লিখেছ, তোমার ভালোর জন্যই সে রাগ করে বা অগ্রহণযোগ্য কিছু কথা বলে ফেলে। অতটা রাগ না করেও বলা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তুমি তার এ কথাগুলোর প্রতি-উত্তরে কী বলছ বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছ? তুমিও যদি একইভাবে রাগ কর, তাহলে ঝগড়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। আবার তুমি যদি সব সময় চুপচাপ থেকে ওর কথাগুলো হজম করতে চেষ্টা কর, তাহলে সে এভাবেই আচরণ করতে থাকবে। এতে ওর রাগকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। তোমাকে দৃঢ়ভাবে বলতে হবে, ওর এই আচরণ বা কথাগুলো তোমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এতে ওর যেমন শরীরের ক্ষতি হচ্ছে, তুমিও প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগছ। অতিরিক্ত এ রাগের ফলে ও যে কথাগুলো বলছে, তাতে তোমাদের সম্পর্কের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরে দুঃখিত হলেও রাগের সময় যে ভাষা সে ব্যবহার করছে, তা ঠিকই তোমার মনে থাকবে। ‘অ্যাংগার ম্যানেজমেন্ট’-এর ওপর কিছুদিন কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তুমি তাকে বলে দেখতে পারো, সে কোনো সংস্থায় গিয়ে এ সেবা নিতে চায় কি না। চিঠির জন্য ধন্যবাদ।
No comments