নতুন অর্থবছরের বাজেট-বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
রাজনৈতিক অস্থিরতায় নাকাল অর্থনীতি। বড়
দুই রাজনৈতিক দলের অবস্থান দুই মেরুতে। এ অবস্থায় বিরোধী দলবিহীন সংসদে
২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। এটিই মহাজোট সরকারের শেষ
বাজেট।
এরই মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে
মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সরকারের মতে, বরাবরের মতো এবারের বাজেটকে
গণমুখী উন্নয়নের বাজেট বলা হলেও বিরোধী দলের মতে এই বাজেট গতানুগতিক। এমনকি
মহাজোট সরকারের সহযাত্রী জাতীয় পার্টি এ বাজেটকে গতানুগতিক ও
উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলেছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ী মহল প্রস্তাবিত বাজেটকে বিনিয়োগ ও
ব্যবসাবান্ধব মনে করছে। আর বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা বাজেট প্রণয়ন নয়, এর
বাস্তবায়ন নিয়ে। তবে বাস্তবতা হলো, এই বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতার দিক থেকে
বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে অনেক স্বপ্নের কথা আছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের বাজেটের আকার অনেক বড়- দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। এতে বাড়ানো হয়েছে করমুক্ত আয়সীমা। সরকারের জন্য অস্বস্তির জায়গা শেয়ারবাজারে প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশীয় শিল্পে কিছু সুবিধা দেওয়ার চিন্তা করা হয়েছে। যেহেতু এটা নির্বাচনের বছর, কাজেই এবারের বাজেটকে অনেকে নির্বাচনমুখী বলতে পারেন। বাজেটে এমপিদের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে। বরাদ্দ রাখা হয়েছে চর জীবিকায়ন প্রকল্পে। পাশাপাশি বাড়ানো হবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুবিধাভোগীদের সংখ্যা। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে কমিশনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা আছে। বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির সঙ্গে নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও সরকারের ব্যয় আগামী বছর বাড়বে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও নতুন অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। আছে ভর্তুকির ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশঙ্কা, এবারও ভর্তুকির টাকা রেন্টাল-কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ কিনতে খরচ হবে।
প্রতিবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব হচ্ছে বাজেট। প্রতিবছর বাজেটের পর কোন জিনিসের দাম বাড়ল আর কোন জিনিসের দাম কমল, এটা নিয়ে নানা আলোচনা হয়। কোন জিনিসের দাম বাড়বে, কোন জিনিসের দাম কমবে- তা নিয়ে এবারের বাজেটেও নির্দেশনা রয়েছে। তবে বাজেট বাস্তবায়ন নিয়েই সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, আগামী বাজেট বাস্তবায়ন নির্ভর করছে সুশাসন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার ওপর। সঠিক অর্থনৈতিক ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং মুদ্রানীতি ও মুদ্রাপ্রবাহের সুসমন্বয় তা নিশ্চিত করবে। কাজেই সরকারকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে হবে। অন্যথায় বড় বাজেট বড় কিছু দিতে পারবে না জাতিকে।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে অনেক স্বপ্নের কথা আছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের বাজেটের আকার অনেক বড়- দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। এতে বাড়ানো হয়েছে করমুক্ত আয়সীমা। সরকারের জন্য অস্বস্তির জায়গা শেয়ারবাজারে প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশীয় শিল্পে কিছু সুবিধা দেওয়ার চিন্তা করা হয়েছে। যেহেতু এটা নির্বাচনের বছর, কাজেই এবারের বাজেটকে অনেকে নির্বাচনমুখী বলতে পারেন। বাজেটে এমপিদের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে। বরাদ্দ রাখা হয়েছে চর জীবিকায়ন প্রকল্পে। পাশাপাশি বাড়ানো হবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুবিধাভোগীদের সংখ্যা। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে কমিশনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা আছে। বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির সঙ্গে নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও সরকারের ব্যয় আগামী বছর বাড়বে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও নতুন অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। আছে ভর্তুকির ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশঙ্কা, এবারও ভর্তুকির টাকা রেন্টাল-কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ কিনতে খরচ হবে।
প্রতিবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব হচ্ছে বাজেট। প্রতিবছর বাজেটের পর কোন জিনিসের দাম বাড়ল আর কোন জিনিসের দাম কমল, এটা নিয়ে নানা আলোচনা হয়। কোন জিনিসের দাম বাড়বে, কোন জিনিসের দাম কমবে- তা নিয়ে এবারের বাজেটেও নির্দেশনা রয়েছে। তবে বাজেট বাস্তবায়ন নিয়েই সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, আগামী বাজেট বাস্তবায়ন নির্ভর করছে সুশাসন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার ওপর। সঠিক অর্থনৈতিক ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং মুদ্রানীতি ও মুদ্রাপ্রবাহের সুসমন্বয় তা নিশ্চিত করবে। কাজেই সরকারকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে হবে। অন্যথায় বড় বাজেট বড় কিছু দিতে পারবে না জাতিকে।
No comments