পরগাছা নয় নিজেই শিকড় ছড়িয়ে হব পূর্ণ বৃৰ- ধসালমা সেতারা
এখন এই প্রতিজ্ঞাই নারীদের হওয়া উচিত। নারী গৃহকর্মে কতটা নিপুণা, বিবাহিত জীবনে কতটা প্রেমিকা, কতটা সফল সহধর্মিণী, কতটা বধূ বা, বধূমাতা, কতটা মমতাময়ী মা, কতটা সেবিকা, এসব গণনার দিন গণকেসের খাতায় চলে গেছে বহু আগেই।
পরবর্তীতে বিচারে আসলো নারীকে শিতি হতে হবে, স্বাবলম্বী হতে হবে। যার অগ্রদূত হিসেবে একনিষ্ঠ দায়িত্ব পালন করে গেছেন মহীয়সী বেগম রোকেয়া। তারপর? কত মনীষীরা কত কিছু গবেষণালব্ধ অভিমত দিয়ে গেলেন। কেউ বললেন আমাদেরকে শিতি মা দাও, আমরা শিতি জাতি উপহার দেব। কেউ বললেন এ বিপুল অংশের নারীশক্তিকে রান্নাঘর থেকে বের করে কর্মেেত্র বের করে আন, নইলে বিশ্ব অচল থেকে যাবে। কেউ বলল শুধু কর্ম করলেই হবে না, পুরম্নষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে, অর্থাৎ, কাজের বুয়া থেকে দফতর অধিদফতর এবং শিায়তনে সমভাবে কাজ করে চলেছে। বরং পুরম্নষ স্টাফদের চেয়ে নারী স্টাফরাই বেশি পাংচুয়াল, কোন কোন েেত্র সমদতা ডিঙিয়ে অতিদতাও দেখাতে সম হয়েছে নারী।এইসব চুক্তি, যুক্তি, পারঙ্গমতার, দানের বা দেখাবার পেছনে একটাই কারণ ছিল যে, নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেয়া ও পুরম্নষতান্ত্রিকতার অপভার থেকে মুক্তিবিধান করা বিশেষ করে নারীর মতো অপ্রয়োজনীয় একটা সৃষ্টিকে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে সংসারে তাকে কিছুটা অর্থবহ করে তোলা এই আর কি! ধারণা, নারী না থাকলে পুরম্নষবিশ্ব একাই এই গ্রহকে সুস্থ রাখতে সম!
তাও মেনে নেয়া হলো, যৌতুক দেয়ার মাধ্যমে, তা আজও পূরণ করছে নারীরা এবং তৎসঙ্গে কন্যা জন্ম দেয়ার মতো অপরাধী পিতা-মাতারা।
ইত্যাকার ত্যাগ, আত্মত্যাগ, তিতিা অধিদানের বিনিময় চূড়ানত্ম হতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে কলঙ্ক-ব-নাম বীরত্বই বহাল থেকে গেছে নারী ও পুরম্নষ দু'পরে প্রাপ্তিতে। নারীর ইচ্ছে পূরণে জুটল শুধুই কলঙ্ক আর পুরম্নষের পেশিতে যোগ হলো সমধিক বীরত্ব।
বিধানে বলা হয়েছে, একজন পুরম্নষের শরীরে যতণ এক মোরগের শক্তিও বিদ্যমান থাকবে, তার থেকে নারী তুমি নিরাপদ দূরত্বে থাক। অতএব স্বার সর্বস্ব বা অর্ধশিতি তন্বি ষোড়শীকে কিংবা সবের্াচ্চ ডিগ্রীধারী কন্যাকে যদি ঘাটের মরা অর্থাৎ যার শরীরে এক মোরগের শক্তিধারী পুরম্নষ তার কাছেও বিয়ে দেন কন্যা দায়গ্রসত্ম কোন পিতা তার কন্যাকে তাহলেও সে পিতাকেও আদায় করতে হয় যৌতুক নামের মনুষ্যসৃষ্ট সামাজিক ফরজ। অথবা যৌতুককে পরিশীলিত পরিভাষায় পরিবর্তিত করে হাসতে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণ্য অমতার পরাজিত হাসি।
আমরা নারীরা আজকাল সচেতনতার কথা বুঝি, নেপোলিয়ন বোনাপার্টের উক্তির বিস্ফোরণ ঘটেছে। পর্যায়ক্রমে শিতি মা হলো শিতি জাতি হলো কিন্তু সে জাতির একাংশ য়ে যাচ্ছে মাদকে, একাংশ আত্মাহুতি দিচ্ছে প্রতারণায়। একাংশ উচ্চ শিা থেকে বঞ্চিত, একাংশ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দেশ চালায়।
কারণ নেপোলিয়নের কালজয়ী উক্তির একাংশ আমরা নারীরা হয়ত বুঝেছি, অপর অংশ আমরা হয়ত বুঝিনি সচেতনতা শব্দটির মধ্যে কি কি উপাদানের উপস্থিতি আছে সমতার প্রশ্নে আসলে কি কি বিষয় রাখা বা থাকা দরকার। প্রকারানত্মরে আমরা নিজেদের নিবর্ুদ্ধিতায় নারী মুক্তির সোপান সৃষ্টিকারী মহীয়সী বেগম রোকেয়াকেও এক শ্রেণীর পুরম্নষের কাছে বিতর্কিত করে তুলছি এবং অপমান করছি নিঃসন্দেহে এই উপমহাদেশের হাজার বছরের সর্বধর্মীয় নারী আদর্শকেও। এদেশ বীরভূম তবে বীরের প্রস্তুতি নারী। এদেশের শিশু প্রাথমিক শিালাভ করে মায়ের পাঠশালায়। তাই আমরা নারীদেরকে আরও খুঁজে দেখতে হবে সচেতনতার অনত্মর্জলের মাঝে শিা ও স্বাবলম্বিতার পাশে আরও কিছু আছে কি ? যা আমরা এখনও কুড়িয়ে পাইনি ?
বর্তমান চিত্রে নারীর সার্বিক দর্শনে পরিশেষে বলতে চাই আহ্বান আর এ্যারেঞ্জ যাই বলুন জীবনের প্রস্তুতিতে নারীদের এমন উচ্চারণ করা উচিত_ এখন না কবো কথা, আনিয়াছি তৃণলতা, আপনার বাসা আগে বুনি।
ব্যাংক লোন হাতে কোন বাবাকে যাতে যেতে না হয় জুয়েলারিতে, কাতান পলস্নীতে, অটবির শিল্পীত বনানীতে। আমারি সজ্জিত গৃহায়নে হতে পারে অহঙ্কারের আশ্রয়ণ। ম
No comments