ক্রীড়া উৎসব শুরু- এসএ গেমসের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী চোখ ধাঁধানো ডিসপ্লে, তুলে ধরা হলো দেশের সংস্কৃতি, গৌরবজনক মুক্তিযুদ্ধ
মনিজা রহমান ০ ১১তম এসএ গেমসের মাসকট দোয়েল পাখির নাম রাখা হয়েছে 'কুটুম'। মানে অতিথি। এদেশের মানুষ অতিথিবাৎসল্যের জন্য সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। তাই তো সেই চলমান কুটুম ১২ দিনের আসর উপভোগের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন অতিথি সাত দেশ তো বটে, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সব মানুষকে। চলমান মঞ্চে গান গাইতে গাইতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢুকলেন বাংলাদেশের তিন সেরা সঙ্গীতশিল্পী_ সাবিনা ইয়াসমিন, এ্যান্ড্রু কিশোর ও শুভ্র দেব। খেলায় খেলায় মিলনমেলার সুর ছড়িয়ে দিলেন তারা সবার মধ্যে। শুক্রবার ১৭ বছর পর ১১তম এসএ গেমস আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবার সুযোগ পেল আট দেশের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদদের লড়াইয়ের আয়োজনের। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ তুলে ধরা হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনে। সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্যালিসথেনিক ও এ্যাকুয়াটিক শো'র প্রদর্শনী জানিয়ে দেয় টেকনোলজির নবতম সংযোজনে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ।
এসএ গেমসের আয়োজক কমিটির প্রধান ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের স্বাগতিক ভাষণের পর সাদা পায়রা উড়িয়ে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রঙ-বেরঙের বেলুন উড়তে থাকে স্টেডিয়ামজুড়ে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্টেডিয়ামে স্বাগত জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আবদুল মুবীন। ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরম্নতে পস্ন্যাকার্ডে লেখা হয় 'ওয়েলকাম টু ঢাকা'। দেশের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদরা মশাল বহনের পর শপথবাক্য পাঠ করেন দেশের দুুই কৃতী ক্রীড়াবিদ জাতীয় ফুটবল দলের গোলরৰক আমিনুল হক এবং দেশের দ্রম্নততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি। মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন কৃতী শূটার আসিফ হোসেন খান। শুক্রবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে পতাকা উত্তোলন দিয়ে শুরম্ন হয় ১১তম এসএ গেমসের উদ্বোধনী দিন। আট দেশের জাতীয় পতাকা রাখা হয় এখানে। বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য এটি এক আনন্দের দিন। দেশবাসীকে অনুরোধ করব এসএ গেমস আয়োজনে সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য।'
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরম্ন হয় মশাল র্যালি। শ্রীলঙ্কার এ্যাডামস পিকে থেকে মেঘনা ঘাট হয়ে মশাল এসে পেঁৗছায় স্টেডিয়ামে। প্রথমে মশাল হাতে নেন পাকিসত্মান অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী কৃতী এ্যাথলেট জিনাত আহমেদ। তার পর সাঁতারম্ন বজলুর রহমান, ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, শূটার আতিকুর রহমান, বক্সার মোশারফ হোসেন, ফুটবলার জুয়েল রানা হয়ে মশাল পান লুৎফুন্নেসা হক বকুল। প্রবীণ এই ক্রীড়াবিদ দেশের পৰে প্রথম পাকিসত্মান অলিম্পিকে ৮০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ জিতেছিলেন। লুৎফুন্নেসা হক বকুলের কাছ থেকে মশাল নেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোসত্মফা (বীরবিক্রম)। তার পর সেই মশাল শূটার কাজী শাহানা পারভিন ও এ্যাথলেট মাহবুব আলমের হাতে ওঠে। মাহবুব ছুটে গিয়ে মশাল তুলে দেন কিংবদনত্মি ফুটবলার এবং বর্তমানে বাফুফে ও সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হাতে। তিনি চলনত্ম সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে মশাল জ্বালান।
দেশে দেশে মোর ঘর আছে... আমি সেই ঘর মরি খুঁজিয়া... কবির এই আহ্বানের মধ্যে আরম্ভ হয় আকর্ষণীয় সব ডিসপেস্ন। নীল-লাল-হলুদ রঙের পোশাকে প্রজাপতি সেজে সবাইকে আনন্দ দেয় শিশু-কিশোররা। 'শোন একটি মুজিবরের থেকে' 'তীর হারা ওই ঢেউয়ের সাগর' 'হেই সামালো ধান হো' 'বাঁধ ভেঙ্গে দাও' 'আলস্না মেঘ দে' 'জয় বাংলা বাংলার জয়' গানগুলোর সঙ্গে দুর্দানত্ম সব ডিসপেস্ন একদিকে সবাইকে যেমন চেতনায় উদ্দীপ্ত করে, তেমনি ভাসিয়ে দেয় বিস্ময়ের আনন্দে। এসএ গেমসের কোন আসরে অতীতে এর আগে এ্যাকুয়াটিক শো'র মতো চোখ ধাঁধানো পর্ব দেখা যায়নি। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আতশবাজির মূর্ছনা মোহিত করে রাখে স্টেডিয়ামভর্তি দর্শকদের অনুষ্ঠান শেষ হবার অনেকৰণ পরও। চীন ও ফ্রান্সের কোরিওগ্রাফারদের অধীনে গত এক মাস দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন স্কুল-কলেজের শিৰার্থী, বিভিন্ন সার্ভিসেস দলের সদস্য এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য শিল্পীরা এই আয়োজনে।
ইংরেজদের বিরম্নদ্ধে তীর-ধনুক নিয়ে সাঁওতালদের বিদ্রোহ এবং সেই নাচোলের রানী ইলা মিত্রের সংগ্রাম সবাইকে জানিয়ে দেয় এ দেশের মানুষের সংগ্রামী ইতিহাস। ওয়াটার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের সেই আবেগময় ঐতিহাসিক ভাষণ। তার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপৰের আমেরিকার রেডিসন স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রবিশঙ্কর ও বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলসের ভোকালিস্ট জর্জ হ্যারিসনের সে দিনের কনসার্ট দেখানো হয়। এ আয়োজন একদিকে যেমন এই দু'জনের কাছে বাঙালীর কৃতজ্ঞতার প্রকাশ, অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়কার গৌরবময় ইতিহাস বিশ্বকে জানিয়ে দেয়া। ১১৮০০ স্কুল ছাত্রছাত্রী, ১৩০০ আনসার এবং ১০০০ সেনাসদস্য অংশ নেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ঢাকার গুরম্নত্বপূর্ণ ৩০ স্থানে বড় পর্দায় গেমসের উলেস্নখযোগ্য অংশ জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়াও বেসরকারী সব টিভি চ্যানেল এসএ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে।
এসএ গেমসের আয়োজক কমিটির প্রধান ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের স্বাগতিক ভাষণের পর সাদা পায়রা উড়িয়ে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রঙ-বেরঙের বেলুন উড়তে থাকে স্টেডিয়ামজুড়ে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্টেডিয়ামে স্বাগত জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আবদুল মুবীন। ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরম্নতে পস্ন্যাকার্ডে লেখা হয় 'ওয়েলকাম টু ঢাকা'। দেশের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদরা মশাল বহনের পর শপথবাক্য পাঠ করেন দেশের দুুই কৃতী ক্রীড়াবিদ জাতীয় ফুটবল দলের গোলরৰক আমিনুল হক এবং দেশের দ্রম্নততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি। মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন কৃতী শূটার আসিফ হোসেন খান। শুক্রবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে পতাকা উত্তোলন দিয়ে শুরম্ন হয় ১১তম এসএ গেমসের উদ্বোধনী দিন। আট দেশের জাতীয় পতাকা রাখা হয় এখানে। বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য এটি এক আনন্দের দিন। দেশবাসীকে অনুরোধ করব এসএ গেমস আয়োজনে সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য।'
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরম্ন হয় মশাল র্যালি। শ্রীলঙ্কার এ্যাডামস পিকে থেকে মেঘনা ঘাট হয়ে মশাল এসে পেঁৗছায় স্টেডিয়ামে। প্রথমে মশাল হাতে নেন পাকিসত্মান অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী কৃতী এ্যাথলেট জিনাত আহমেদ। তার পর সাঁতারম্ন বজলুর রহমান, ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, শূটার আতিকুর রহমান, বক্সার মোশারফ হোসেন, ফুটবলার জুয়েল রানা হয়ে মশাল পান লুৎফুন্নেসা হক বকুল। প্রবীণ এই ক্রীড়াবিদ দেশের পৰে প্রথম পাকিসত্মান অলিম্পিকে ৮০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ জিতেছিলেন। লুৎফুন্নেসা হক বকুলের কাছ থেকে মশাল নেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোসত্মফা (বীরবিক্রম)। তার পর সেই মশাল শূটার কাজী শাহানা পারভিন ও এ্যাথলেট মাহবুব আলমের হাতে ওঠে। মাহবুব ছুটে গিয়ে মশাল তুলে দেন কিংবদনত্মি ফুটবলার এবং বর্তমানে বাফুফে ও সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হাতে। তিনি চলনত্ম সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে মশাল জ্বালান।
দেশে দেশে মোর ঘর আছে... আমি সেই ঘর মরি খুঁজিয়া... কবির এই আহ্বানের মধ্যে আরম্ভ হয় আকর্ষণীয় সব ডিসপেস্ন। নীল-লাল-হলুদ রঙের পোশাকে প্রজাপতি সেজে সবাইকে আনন্দ দেয় শিশু-কিশোররা। 'শোন একটি মুজিবরের থেকে' 'তীর হারা ওই ঢেউয়ের সাগর' 'হেই সামালো ধান হো' 'বাঁধ ভেঙ্গে দাও' 'আলস্না মেঘ দে' 'জয় বাংলা বাংলার জয়' গানগুলোর সঙ্গে দুর্দানত্ম সব ডিসপেস্ন একদিকে সবাইকে যেমন চেতনায় উদ্দীপ্ত করে, তেমনি ভাসিয়ে দেয় বিস্ময়ের আনন্দে। এসএ গেমসের কোন আসরে অতীতে এর আগে এ্যাকুয়াটিক শো'র মতো চোখ ধাঁধানো পর্ব দেখা যায়নি। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আতশবাজির মূর্ছনা মোহিত করে রাখে স্টেডিয়ামভর্তি দর্শকদের অনুষ্ঠান শেষ হবার অনেকৰণ পরও। চীন ও ফ্রান্সের কোরিওগ্রাফারদের অধীনে গত এক মাস দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন স্কুল-কলেজের শিৰার্থী, বিভিন্ন সার্ভিসেস দলের সদস্য এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য শিল্পীরা এই আয়োজনে।
ইংরেজদের বিরম্নদ্ধে তীর-ধনুক নিয়ে সাঁওতালদের বিদ্রোহ এবং সেই নাচোলের রানী ইলা মিত্রের সংগ্রাম সবাইকে জানিয়ে দেয় এ দেশের মানুষের সংগ্রামী ইতিহাস। ওয়াটার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের সেই আবেগময় ঐতিহাসিক ভাষণ। তার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপৰের আমেরিকার রেডিসন স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রবিশঙ্কর ও বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলসের ভোকালিস্ট জর্জ হ্যারিসনের সে দিনের কনসার্ট দেখানো হয়। এ আয়োজন একদিকে যেমন এই দু'জনের কাছে বাঙালীর কৃতজ্ঞতার প্রকাশ, অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়কার গৌরবময় ইতিহাস বিশ্বকে জানিয়ে দেয়া। ১১৮০০ স্কুল ছাত্রছাত্রী, ১৩০০ আনসার এবং ১০০০ সেনাসদস্য অংশ নেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ঢাকার গুরম্নত্বপূর্ণ ৩০ স্থানে বড় পর্দায় গেমসের উলেস্নখযোগ্য অংশ জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়াও বেসরকারী সব টিভি চ্যানেল এসএ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে।
No comments