কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে আমার ছোট ভাইকে হত্যা করা হয়- যুদ্ধাপরাধী বিচার- ডা. হাসানুজ্জামানের জবানবন্দী
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষে ষষ্ঠ সাক্ষী তার জবানবন্দী দিয়েছেন। তিনি জবানবন্দীতে বলেন, কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে আমার ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
পরে আমার ভাইয়ের লাশটি টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ওই রাস্তার পাশে একটি পুলের নিচে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে গেলে আমার ভাইয়ের হত্যার বর্ণনা চাচাশ্বশুর ও ভায়রা শমসের আলী এবং কর্মরত অন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে শুনেছি। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তিনি এই জবানবন্দী প্রদান করেন।
একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে নবম সাক্ষীকে জেরা করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী সাইদুর রহমানের আংশিক জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দশম সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নুরুল আফছার ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ মিসবাহুর রহমান চৌধুরীর জেরা অব্যাহত রয়েছে।
কামারুজ্জামান
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ সাক্ষী ডা. হাসানুজ্জামান জবানবন্দী প্রদান করেছেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দীতে তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর ছোটভাই বদিউজ্জামানের হত্যার বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা চার ভাই ও পাঁচ বোন ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার এক ভাই শহীদ হওয়ার পরে এখন তিন ভাই। এক বোন মরে যাওয়ায় বর্তমানে চার বোন বেঁচে আছেন। তৎকালীন সময়ে আমার ছোট ভাই পাকিস্তান নৌবাহিনীতে চাকরি করত। আমি ঢাকা ডেন্টালে পড়াশোনা করতাম।
ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, তখনকার সময়ে তিনি মাঝে মাঝে বাড়িতে যেতেন। অন্যদিকে আমার ভাই পাকিস্তানের নৌবাহিনী থেকে ছুটি নিয়ে এক মাসের জন্য বাড়িতে আসেন। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানের পাক-হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর নির্বিচারে গুলি করে। ওই সময় আমার ভাই বঙ্গবন্ধুর ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তখন সে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে সময় পাকবাহিনী ঢাকা শহর থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে পাকবাহিনী ও এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি শান্তি কমিটি, আলবদর, রাজাকার ও আলশামস দেশ জুড়ে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালায়। পাকবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং সশস্ত্র আলবদর বাহিনীও ক্যাম্প স্থাপন করে।
রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতা বিরোধীরা স্বাধীনতাকামী হিন্দু-মুসলিমদের ধরে নিয়ে হত্যা করত এবং পাকবাহিনীর হাতে তুলে দিত। পাকবাহিনী তাদের নির্যাতন করে হত্যা করত। সাক্ষী বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ি রামগড় গ্রামের সন্নিকটে আহাম্মদ নগর হাইস্কুলে পাকসেনা ও রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখানে ব্যাপক হত্যা নির্যাতন চালানো হতো বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে ধরে এনে। শ্বশুরবাড়ির কাছে ক্যাম্প থাকায় আমার ছোট ভাই ক্যাাম্পটি রেকি করে। আমার শ্বশুরবাড়িতে ১৯৭১ সালের ৩০ জুন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে দরজায় কড়া নেড়ে ভাই ভাই বলে ডাকতে থাকে।
ওই সময় তারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তারা ক্ষুধার্ত তাই খাবার খেতে চায়। মুক্তি বাহিনীর নাম শুনে আমার ছোটভাই ঘর থেকে দরজা খুলে অতি উৎসাহে বের হয়ে আসে। এবং আমার চাচাশ্বশুর মকবুল হোসেন তাদের বেঞ্চে বসতে দিয়ে একটি পাতিলে করে মুড়ি খেতে দেয়। আরেক চাচাশ্বশুর সৈয়দ রহমান ও ভায়রা ভাই জমসেদ আলী তাদের কাছে যায়। তিনি বলেন, ওই সময় সৈয়দ হোসেন আঁচ করতে পারেন যে এরা মুক্তিযোদ্ধা নয়। আলবদরের কামারুজ্জামানরা।
সাক্ষী বলেন, ওই সময় তারা আমার ভাইকে অনেক কৌশলে তাদের বলয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। আমার ভাই বুঝতে পারেননি। তখন কামারুজ্জামান আমার ভাইকে বলেন, আমরা আলবদর ক্যাম্পে আক্রমণ করব। পাকবাহিনীর ক্যাম্পটি যেন দেখিয়ে দেয়া হয়। সাক্ষী বলেন, ভাইকে নিয়ে তারা যখন ক্যাম্পের দিকে রওনা দেন তখন চাচাশ্বশুর তাদের বসা বেঞ্চে ম্যাগাজিন ভর্তি একটি অস্ত্র দেখতে পান। এটা ফেরত দিতে তাদের কাছে যান। ফেরত দিতে গেলে তারা তাকে তাদের সঙ্গে যেতে বাধ্য করেন। তাদের পাকবাহিনীর ক্যাম্প দেখিয়ে দেয়ার পরেও তারা তাকে ধমক দিয়ে সঙ্গে যেতে বলেন। সাক্ষী বলেন, চাচাশ্বশুর মকবুল হোসেন বুঝতে পারেন তখন তিনি প্রশ্রাবের কথা বলে পাটক্ষেত দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। ওই সময় তার গায়ে সাদা রঙের গেঞ্জি পরা ছিল বলে শুনেছি। আলবদর বাহিনীর লোকেরা পাটক্ষেতে অনেক খোঁজা খুঁজির পরে আমার ভাইকে নিয়ে ক্যাম্পে চলে যায়।
ক্যাম্পে নিয়ে তারা আমার ভাইকে সারা রাত অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এবং তার একটি কান কেটে ফেলে বলে জানায় ওই ক্যাম্পে এবং আশপাশে কর্মরত লোকজন।
সাক্ষী আরও বলেন, আহাম্মদ আলী মেম্বার অর্থাৎ আমার ছোট ভাই নির্যাতনের চিহ্ন দেখেন তারা। পরের দিন সকালে ক্যাম্পের বাইরে রাস্তায় এনে তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে আমার ভাইয়ের লাশ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ওই রাস্তার পাশে একটি পুলের নিচে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে গেলে আমার ভাইয়ের হত্যার বর্ণনা চাচাশ্বশুর ও ভায়রা শমসের আলীর কাছে ও কর্মরত অন্য শ্রমিকদের কাছে থেকে শুনেছি।
আমার চাচাশ্বশুর সৈয়দ রহমান আমাকে স্পষ্ট করে জানান, আলবদর নেতা কামারুজ্জামানকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তাদের কথার ভিত্তিতে আলবদর নেতা কামারুজ্জানসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা দায়েরের পরে একজন অফিসার তদন্ত করতে আসেন। পরে মামলার কোন অগ্রগতি না দেখে আমার চাচাত ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পিতা শেরপুরে কোর্টে যান।
সাক্ষী বলেন, আমি কামারুজ্জামানকে চিনি না তবে পত্রপত্রিকায় তার ছবি দেখেছি। পরে সাক্ষীকে একটি প্রশ্ন করে আসামির আইনজীবী জানতে চান যে আপনার বাড়ি এবং আসামি কামারুজ্জামানের বাড়ির দূরত্ব কত। জবাবে সাক্ষী বলেন ১৫ মাইল হবে। আগে সকালে কামারুজ্জামানের পঞ্চম সাক্ষীকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী। জেরায় তাঁকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে ষষ্ঠ সাক্ষীর জেরা আসামি পাঁচ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
সাকা চৌধুরী
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরু্েদ্ধ দশম সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নুরুল আফছারকে সোমবার জেরা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। আজ আবার তাঁকে জেরা করা হবে। আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক হেনা সাক্ষীকে জেরা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দশম সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কাজী নুরুল আফসার বলেছেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী পাকিস্তান আর্মির সহযোগী বাহিনী হিসেবে কাজ করত। পাকিস্তান সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমে নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সোমবার আসামিপক্ষের জেরাকালে তিনি একথা বলেন। জেরার অংশ বিশেষ নিম্নে দেয়া হলো।
প্রশ্ন :চন্দ্রপাড়ার ঐ আড্ডা আছে।
উত্তর : এখন নেই।
প্রশ্ন : সেই আড্ডায় আপনি ছিলেন। আর কে কে ছিল।
উত্তর : আজিজ উদ্দিন, এআর খানের ছেলে শওকত আলী খান, আবুল কালাম, খালেকুজ্জামান মনিসহ আরও অনেকে।
প্রশ্ন : কোথায় বসতেন।
উত্তর : হাজী টি আলীর বাড়ির কাছে।
প্রশ্ন : সিরাজদ্দৌলা রোড থেকে এই ড্রেনটি পুরো দেখা যায়।
উত্তর : দেখা যায়।
প্রশ্ন : আজিজ উদ্দিন ঐ মিটিং-এ কত তারিখ সাকা সম্বন্ধে কথা উঠেছিল।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : হারুন সাহেব নোমান সাহেব দু’ ভাই।
উত্তর : জানি।
প্রশ্ন : উনাদের চাচা ড. সমির উদ্দিন।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : আপনার বাড়ির কোন দিকে ডানা পুকুর।
উত্তর : দক্ষিণ দিকে।
প্রশ্ন : চন্দনপুরার ডা. গাফ্ফারকে চিনেন।
উত্তর : মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : বাড়ি আয়েশা খাতুন কিনা।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : ডা. সমির উদ্দিন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ফজলুল কাদের চৌধুরীর আত্মীয় কিনা।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ডা. সমির ৩ ছেলে ২ মেয়েসহ ওখানে বসবাস করতেন।
উত্তর : বাড়িতে মেয়েরা ও ছেলেরা থাকত। এক ছেলে বাইরে থাকত।
প্রশ্ন : ওনার কম্পাউন্ডে অনেক গাছ পালা আছে।
উত্তর : কিছু গাছপালা আছে অনেক নয়।
প্রশ্ন : উনাদের বাড়ির চারদিকে বাউন্ডারি দেয়া।
উত্তর : বাড়িটি সম্পূর্ণ দেয়ালঘেরা ছিল না। পশ্চিম দিকে কিছু অংশ খোলা ছিল।
প্রশ্ন : আজিজুদ্দিনের মা এখনও জীবিত আছে।
উত্তর : আছে।
প্রশ্ন : উনার বাড়ির পূর্ব দিকে একটি রাস্তা আছে নাম কি।
উত্তর : লেন।
প্রশ্ন : দক্ষিণ দিকে আব্দুর রহমানের বাড়ি ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : ওখানে একটি বড় পাড়া চিল।
উত্তর : তখন ছিল না।
প্রশ্ন : ঐ এলাকায় আরও কয়েকটি বাড়ি ছিল।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : প্রকৃত ঘটনার সময় বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। অন্ধকার ছিল।
উত্তর : মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছিল। ঐ বাড়ির সামনে কোন লাইটপোস্ট ছিল না।
প্রশ্ন : ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না।
উত্তর : প্রশ্নই ওঠে না। ঐ সময় ঘটনার ডিউটিতে ছিলাম।
প্রশ্ন : অপারেশনে ছিলেন না।
উত্তর : এটা সত্য নয়।
প্রশ্ন : সিরাজদৌল্লা রোড দিয়ে আর্মি টহল ছিল।
উত্তর : এটা সত্য নয়। ঐ ভাবে টহল ছিল না।
প্রশ্ন : গুডস হিলে পুলিশ মিলিশিয়া ক্যাম্প ছিল কিনা?
উত্তর: জানি না। তবে ওদের ওখানে পাহারা দিতে দেখেছি।
প্রশ্ন : ঐ রকম পুলিশ ও মিলিশিয়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : আগস্ট-সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি গ্রুপ ছিল। একটি বিএলএফ আরেকটি এফএল এফ।
উত্তর : জনি না।
প্রশ্ন : বিএলএফ-এর সঙ্গে কেসি-১, কেসি-২, কেসি-৩ ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : পুুরো চট্টগ্রামে দু’জন কমান্ডার ছিলেন। এরা হলেন মৌলভী সৈয়দ ও ডা. মাহফুজুর রহমান।
উত্তর : মাহফুজুর রহমান একটি গ্রুপের কমান্ডার ছিল। মৌলভী সৈয়দ ছাত্রনেতা ছিল। কমান্ডার ছিল না।
প্রশ্ন : ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : বড় গ্রুপের কমান্ডার ছিলেন।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামের ডিসি অফিসে একটি লিস্ট আছে, কেএফএলএফ ও বিএলএফ-এর সদস্য ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামের ডা. জাফর উল্লাহ কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : নাম শুনেছি। কমান্ডার ছিলেন কিনা জানি না।
প্রশ্ন : রবিউল হোসেন কচি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : ডা. মাহফুজুর রহমান কোন কমান্ডার ছিলেন না। এবং আপনার নেতাও ছিলে না।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের উপর বইপত্র পড়েছেন।
উত্তর : পড়িনি।
প্রশ্ন : চরমপত্র শুনেছেন।
উত্তর : মাঝে মধ্যে শুনেছি। সময় মনে নেই।
প্রশ্ন : চীফ এডিটর এবং ব্রডকাস্টার ছিলেন এমআর আক্তার মুকুল। এটা বই আকারে বের হয়েছে।
উত্তর : শুনেছি। পড়িনি।
প্রশ্ন : বাঙ্গাল কেন যুদ্ধে গেল। বইটি পড়েছেন। লেখকে চিনেন।
উত্তর : বইটি পড়িনি। লেখককে চিনি না।
প্রশ্ন : সাকা চৌধুরী বিদেশে চলে যান। এটা সত্য নয়। তদন্ত কর্মকর্তার কথা মতো বলেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
নিজামী
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী আলহাজ মিসবাহুর রহমান চৌধুরীকে সোমবার জেরা করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। আসামি পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তাকে জেরা করেন। জেরার অংশ বিশেষ নিম্নে দেয়া হলো।
প্রশ্ন : ইসলামী ছাত্রসংঘ পাকিস্তানে সর্বপ্রথম কবে সংগঠিত হয়।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : পূর্ব বাংলায় ইসলামী ছাত্রসংঘ কবে গঠিত হয়।
উত্তর : তাও মনে নেই।
প্রশ্ন : ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : পূর্ব পাকিস্তানের সর্বপ্রথম সভাপতি কে ছিলেন।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : ইসলামী ছাত্রসংঘের সাংগঠনিক কাঠামো সম্বন্ধে ধারণা আছে।
উত্তর : কিছুটা আছে।
প্রশ্ন : ১৯৬৫ সালে প্রথম যোগদান করেন, তখন সভাপতি কে ছিল।
উত্তর : ইউনুস সাহেব।
প্রশ্ন : সেক্রেটারি ।
উত্তর : মতিউর রহমান নিজামী।
প্রশ্ন : ইউসুফ সাহেবের পরে কে সভাপতি হন।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : নিজামী সাহেব কতদিন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সেক্রেটারি ছিলেন।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : নিজামী কোথায় মাধ্যমিক লেখাপড়া করতেন জানেন।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : উনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
উত্তর : কলেজে পড়েছেন কিনা জানি না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন।
প্রশ্ন : ৬৯-৭০ সালে আপনি ধানম-িতে সেন্ট্রাল কলেজে পড়তেন। ৬৯ সালে ঢাকা মহানগরের ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি কে ছিলেন ।
উত্তর : আব্দুল মালেক।
প্রশ্ন : সেক্রেটারি কে ছিলেন।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : ৬৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও সম্পাদক কে ছিলেন।
উত্তর : জানি না ।
একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে নবম সাক্ষীকে জেরা করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী সাইদুর রহমানের আংশিক জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দশম সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নুরুল আফছার ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ মিসবাহুর রহমান চৌধুরীর জেরা অব্যাহত রয়েছে।
কামারুজ্জামান
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ সাক্ষী ডা. হাসানুজ্জামান জবানবন্দী প্রদান করেছেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দীতে তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর ছোটভাই বদিউজ্জামানের হত্যার বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা চার ভাই ও পাঁচ বোন ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার এক ভাই শহীদ হওয়ার পরে এখন তিন ভাই। এক বোন মরে যাওয়ায় বর্তমানে চার বোন বেঁচে আছেন। তৎকালীন সময়ে আমার ছোট ভাই পাকিস্তান নৌবাহিনীতে চাকরি করত। আমি ঢাকা ডেন্টালে পড়াশোনা করতাম।
ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, তখনকার সময়ে তিনি মাঝে মাঝে বাড়িতে যেতেন। অন্যদিকে আমার ভাই পাকিস্তানের নৌবাহিনী থেকে ছুটি নিয়ে এক মাসের জন্য বাড়িতে আসেন। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানের পাক-হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর নির্বিচারে গুলি করে। ওই সময় আমার ভাই বঙ্গবন্ধুর ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তখন সে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে সময় পাকবাহিনী ঢাকা শহর থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে পাকবাহিনী ও এদেশীয় দোসররা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি শান্তি কমিটি, আলবদর, রাজাকার ও আলশামস দেশ জুড়ে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালায়। পাকবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং সশস্ত্র আলবদর বাহিনীও ক্যাম্প স্থাপন করে।
রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতা বিরোধীরা স্বাধীনতাকামী হিন্দু-মুসলিমদের ধরে নিয়ে হত্যা করত এবং পাকবাহিনীর হাতে তুলে দিত। পাকবাহিনী তাদের নির্যাতন করে হত্যা করত। সাক্ষী বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ি রামগড় গ্রামের সন্নিকটে আহাম্মদ নগর হাইস্কুলে পাকসেনা ও রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখানে ব্যাপক হত্যা নির্যাতন চালানো হতো বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে ধরে এনে। শ্বশুরবাড়ির কাছে ক্যাম্প থাকায় আমার ছোট ভাই ক্যাাম্পটি রেকি করে। আমার শ্বশুরবাড়িতে ১৯৭১ সালের ৩০ জুন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে দরজায় কড়া নেড়ে ভাই ভাই বলে ডাকতে থাকে।
ওই সময় তারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তারা ক্ষুধার্ত তাই খাবার খেতে চায়। মুক্তি বাহিনীর নাম শুনে আমার ছোটভাই ঘর থেকে দরজা খুলে অতি উৎসাহে বের হয়ে আসে। এবং আমার চাচাশ্বশুর মকবুল হোসেন তাদের বেঞ্চে বসতে দিয়ে একটি পাতিলে করে মুড়ি খেতে দেয়। আরেক চাচাশ্বশুর সৈয়দ রহমান ও ভায়রা ভাই জমসেদ আলী তাদের কাছে যায়। তিনি বলেন, ওই সময় সৈয়দ হোসেন আঁচ করতে পারেন যে এরা মুক্তিযোদ্ধা নয়। আলবদরের কামারুজ্জামানরা।
সাক্ষী বলেন, ওই সময় তারা আমার ভাইকে অনেক কৌশলে তাদের বলয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। আমার ভাই বুঝতে পারেননি। তখন কামারুজ্জামান আমার ভাইকে বলেন, আমরা আলবদর ক্যাম্পে আক্রমণ করব। পাকবাহিনীর ক্যাম্পটি যেন দেখিয়ে দেয়া হয়। সাক্ষী বলেন, ভাইকে নিয়ে তারা যখন ক্যাম্পের দিকে রওনা দেন তখন চাচাশ্বশুর তাদের বসা বেঞ্চে ম্যাগাজিন ভর্তি একটি অস্ত্র দেখতে পান। এটা ফেরত দিতে তাদের কাছে যান। ফেরত দিতে গেলে তারা তাকে তাদের সঙ্গে যেতে বাধ্য করেন। তাদের পাকবাহিনীর ক্যাম্প দেখিয়ে দেয়ার পরেও তারা তাকে ধমক দিয়ে সঙ্গে যেতে বলেন। সাক্ষী বলেন, চাচাশ্বশুর মকবুল হোসেন বুঝতে পারেন তখন তিনি প্রশ্রাবের কথা বলে পাটক্ষেত দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। ওই সময় তার গায়ে সাদা রঙের গেঞ্জি পরা ছিল বলে শুনেছি। আলবদর বাহিনীর লোকেরা পাটক্ষেতে অনেক খোঁজা খুঁজির পরে আমার ভাইকে নিয়ে ক্যাম্পে চলে যায়।
ক্যাম্পে নিয়ে তারা আমার ভাইকে সারা রাত অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এবং তার একটি কান কেটে ফেলে বলে জানায় ওই ক্যাম্পে এবং আশপাশে কর্মরত লোকজন।
সাক্ষী আরও বলেন, আহাম্মদ আলী মেম্বার অর্থাৎ আমার ছোট ভাই নির্যাতনের চিহ্ন দেখেন তারা। পরের দিন সকালে ক্যাম্পের বাইরে রাস্তায় এনে তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে আমার ভাইয়ের লাশ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ওই রাস্তার পাশে একটি পুলের নিচে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে গেলে আমার ভাইয়ের হত্যার বর্ণনা চাচাশ্বশুর ও ভায়রা শমসের আলীর কাছে ও কর্মরত অন্য শ্রমিকদের কাছে থেকে শুনেছি।
আমার চাচাশ্বশুর সৈয়দ রহমান আমাকে স্পষ্ট করে জানান, আলবদর নেতা কামারুজ্জামানকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তাদের কথার ভিত্তিতে আলবদর নেতা কামারুজ্জানসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা দায়েরের পরে একজন অফিসার তদন্ত করতে আসেন। পরে মামলার কোন অগ্রগতি না দেখে আমার চাচাত ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পিতা শেরপুরে কোর্টে যান।
সাক্ষী বলেন, আমি কামারুজ্জামানকে চিনি না তবে পত্রপত্রিকায় তার ছবি দেখেছি। পরে সাক্ষীকে একটি প্রশ্ন করে আসামির আইনজীবী জানতে চান যে আপনার বাড়ি এবং আসামি কামারুজ্জামানের বাড়ির দূরত্ব কত। জবাবে সাক্ষী বলেন ১৫ মাইল হবে। আগে সকালে কামারুজ্জামানের পঞ্চম সাক্ষীকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী। জেরায় তাঁকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে ষষ্ঠ সাক্ষীর জেরা আসামি পাঁচ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
সাকা চৌধুরী
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরু্েদ্ধ দশম সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নুরুল আফছারকে সোমবার জেরা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। আজ আবার তাঁকে জেরা করা হবে। আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক হেনা সাক্ষীকে জেরা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দশম সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কাজী নুরুল আফসার বলেছেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী পাকিস্তান আর্মির সহযোগী বাহিনী হিসেবে কাজ করত। পাকিস্তান সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমে নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সোমবার আসামিপক্ষের জেরাকালে তিনি একথা বলেন। জেরার অংশ বিশেষ নিম্নে দেয়া হলো।
প্রশ্ন :চন্দ্রপাড়ার ঐ আড্ডা আছে।
উত্তর : এখন নেই।
প্রশ্ন : সেই আড্ডায় আপনি ছিলেন। আর কে কে ছিল।
উত্তর : আজিজ উদ্দিন, এআর খানের ছেলে শওকত আলী খান, আবুল কালাম, খালেকুজ্জামান মনিসহ আরও অনেকে।
প্রশ্ন : কোথায় বসতেন।
উত্তর : হাজী টি আলীর বাড়ির কাছে।
প্রশ্ন : সিরাজদ্দৌলা রোড থেকে এই ড্রেনটি পুরো দেখা যায়।
উত্তর : দেখা যায়।
প্রশ্ন : আজিজ উদ্দিন ঐ মিটিং-এ কত তারিখ সাকা সম্বন্ধে কথা উঠেছিল।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : হারুন সাহেব নোমান সাহেব দু’ ভাই।
উত্তর : জানি।
প্রশ্ন : উনাদের চাচা ড. সমির উদ্দিন।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : আপনার বাড়ির কোন দিকে ডানা পুকুর।
উত্তর : দক্ষিণ দিকে।
প্রশ্ন : চন্দনপুরার ডা. গাফ্ফারকে চিনেন।
উত্তর : মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : বাড়ি আয়েশা খাতুন কিনা।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : ডা. সমির উদ্দিন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ফজলুল কাদের চৌধুরীর আত্মীয় কিনা।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ডা. সমির ৩ ছেলে ২ মেয়েসহ ওখানে বসবাস করতেন।
উত্তর : বাড়িতে মেয়েরা ও ছেলেরা থাকত। এক ছেলে বাইরে থাকত।
প্রশ্ন : ওনার কম্পাউন্ডে অনেক গাছ পালা আছে।
উত্তর : কিছু গাছপালা আছে অনেক নয়।
প্রশ্ন : উনাদের বাড়ির চারদিকে বাউন্ডারি দেয়া।
উত্তর : বাড়িটি সম্পূর্ণ দেয়ালঘেরা ছিল না। পশ্চিম দিকে কিছু অংশ খোলা ছিল।
প্রশ্ন : আজিজুদ্দিনের মা এখনও জীবিত আছে।
উত্তর : আছে।
প্রশ্ন : উনার বাড়ির পূর্ব দিকে একটি রাস্তা আছে নাম কি।
উত্তর : লেন।
প্রশ্ন : দক্ষিণ দিকে আব্দুর রহমানের বাড়ি ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : ওখানে একটি বড় পাড়া চিল।
উত্তর : তখন ছিল না।
প্রশ্ন : ঐ এলাকায় আরও কয়েকটি বাড়ি ছিল।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : প্রকৃত ঘটনার সময় বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। অন্ধকার ছিল।
উত্তর : মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছিল। ঐ বাড়ির সামনে কোন লাইটপোস্ট ছিল না।
প্রশ্ন : ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না।
উত্তর : প্রশ্নই ওঠে না। ঐ সময় ঘটনার ডিউটিতে ছিলাম।
প্রশ্ন : অপারেশনে ছিলেন না।
উত্তর : এটা সত্য নয়।
প্রশ্ন : সিরাজদৌল্লা রোড দিয়ে আর্মি টহল ছিল।
উত্তর : এটা সত্য নয়। ঐ ভাবে টহল ছিল না।
প্রশ্ন : গুডস হিলে পুলিশ মিলিশিয়া ক্যাম্প ছিল কিনা?
উত্তর: জানি না। তবে ওদের ওখানে পাহারা দিতে দেখেছি।
প্রশ্ন : ঐ রকম পুলিশ ও মিলিশিয়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : আগস্ট-সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি গ্রুপ ছিল। একটি বিএলএফ আরেকটি এফএল এফ।
উত্তর : জনি না।
প্রশ্ন : বিএলএফ-এর সঙ্গে কেসি-১, কেসি-২, কেসি-৩ ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : পুুরো চট্টগ্রামে দু’জন কমান্ডার ছিলেন। এরা হলেন মৌলভী সৈয়দ ও ডা. মাহফুজুর রহমান।
উত্তর : মাহফুজুর রহমান একটি গ্রুপের কমান্ডার ছিল। মৌলভী সৈয়দ ছাত্রনেতা ছিল। কমান্ডার ছিল না।
প্রশ্ন : ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : বড় গ্রুপের কমান্ডার ছিলেন।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামের ডিসি অফিসে একটি লিস্ট আছে, কেএফএলএফ ও বিএলএফ-এর সদস্য ছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামের ডা. জাফর উল্লাহ কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : নাম শুনেছি। কমান্ডার ছিলেন কিনা জানি না।
প্রশ্ন : রবিউল হোসেন কচি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : ডা. মাহফুজুর রহমান কোন কমান্ডার ছিলেন না। এবং আপনার নেতাও ছিলে না।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের উপর বইপত্র পড়েছেন।
উত্তর : পড়িনি।
প্রশ্ন : চরমপত্র শুনেছেন।
উত্তর : মাঝে মধ্যে শুনেছি। সময় মনে নেই।
প্রশ্ন : চীফ এডিটর এবং ব্রডকাস্টার ছিলেন এমআর আক্তার মুকুল। এটা বই আকারে বের হয়েছে।
উত্তর : শুনেছি। পড়িনি।
প্রশ্ন : বাঙ্গাল কেন যুদ্ধে গেল। বইটি পড়েছেন। লেখকে চিনেন।
উত্তর : বইটি পড়িনি। লেখককে চিনি না।
প্রশ্ন : সাকা চৌধুরী বিদেশে চলে যান। এটা সত্য নয়। তদন্ত কর্মকর্তার কথা মতো বলেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
নিজামী
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী আলহাজ মিসবাহুর রহমান চৌধুরীকে সোমবার জেরা করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। আসামি পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তাকে জেরা করেন। জেরার অংশ বিশেষ নিম্নে দেয়া হলো।
প্রশ্ন : ইসলামী ছাত্রসংঘ পাকিস্তানে সর্বপ্রথম কবে সংগঠিত হয়।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : পূর্ব বাংলায় ইসলামী ছাত্রসংঘ কবে গঠিত হয়।
উত্তর : তাও মনে নেই।
প্রশ্ন : ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : পূর্ব পাকিস্তানের সর্বপ্রথম সভাপতি কে ছিলেন।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : ইসলামী ছাত্রসংঘের সাংগঠনিক কাঠামো সম্বন্ধে ধারণা আছে।
উত্তর : কিছুটা আছে।
প্রশ্ন : ১৯৬৫ সালে প্রথম যোগদান করেন, তখন সভাপতি কে ছিল।
উত্তর : ইউনুস সাহেব।
প্রশ্ন : সেক্রেটারি ।
উত্তর : মতিউর রহমান নিজামী।
প্রশ্ন : ইউসুফ সাহেবের পরে কে সভাপতি হন।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : নিজামী সাহেব কতদিন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সেক্রেটারি ছিলেন।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : নিজামী কোথায় মাধ্যমিক লেখাপড়া করতেন জানেন।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : উনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
উত্তর : কলেজে পড়েছেন কিনা জানি না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন।
প্রশ্ন : ৬৯-৭০ সালে আপনি ধানম-িতে সেন্ট্রাল কলেজে পড়তেন। ৬৯ সালে ঢাকা মহানগরের ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি কে ছিলেন ।
উত্তর : আব্দুল মালেক।
প্রশ্ন : সেক্রেটারি কে ছিলেন।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : ৬৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও সম্পাদক কে ছিলেন।
উত্তর : জানি না ।
No comments