র্বাচলে নকশা পরিবর্তন- অনেক রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করতে হচ্ছে
রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে অননুমোদিতভাবে নকশা (লে আউট) পরিবর্তনের কারণে অনেক রাস্তা নির্মাণ করার পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে। পরিবর্তিত নকশা অনুযায়ী অন্যত্র নতুন করে এসব রাস্তা আবার তৈরি করতে হচ্ছে।
অথচ রাজউক বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী তাদের প্লট
অথচ রাজউক বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী তাদের প্লট
বরাদ্দের জন্য প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে মর্মে যে তথ্য ছাপা হয়েছে, তা আদৌ সঠিক নয়। কারণ, প্লট বরাদ্দের পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ কাঠা, সাড়ে সাত কাঠা, পাঁচ কাঠা ও তিন কাঠা আয়তনের কতগুলো প্লট হবে।’
গত রোববার প্রথম আলোতে ‘রাজউকের প্লট বরাদ্দে নয়ছয়’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে রাজউকের দেওয়া ব্যাখ্যায় এ কথা বলা হয়েছে।
ব্যাখ্যায় এর পরই বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে, তা সত্য। তবে প্রাথমিক অবস্থায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরে সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন ও সঠিকভাবে সার্ভে করার মাধ্যমে এবং বাস্তব অবস্থার নিরিখে নতুন করে নকশা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।’
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, অধিগ্রহণকৃত জমি নিয়ে সুদীর্ঘকাল মামলা-মোকদ্দমা থাকায় উচ্চতর আদালতের নির্দেশনায় বনভূমি সংরক্ষণ, জলাধার রক্ষা, জিন্দাপার্কের জমি পার্ক হিসেবে সংরক্ষণ করায় সেখানে সৃষ্ট প্লটগুলো অন্যত্র সৃজনের এবং উন্নয়নশীল দেশের আঙ্গিকে পর্যাপ্ত সংখ্যক রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় নকশা সংশোধন করা হয়েছে।’
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ বিধির অনুসরণে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত সুপারিশ অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের বাইরে অন্য কাউকে রাজউকের প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ (বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে কর্মরত) খাইরুল ইসলামের সই করা সাদা কাগজে পাঠানো ১২ জনের তালিকা মন্ত্রণালয় রাজউকে পাঠায়নি। সে কাগজে মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার সই, সিল কিংবা কোনো ধরনের মন্তব্যও নেই। অথচ তাঁদেরও প্লট দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ওই ১২ জনের মধ্যে কেউ কেউ এখন আবার প্লটের আয়তন বাড়ানোরও চেষ্টা চলাচ্ছেন।
রাজউক বলেছে, ‘নকশা পরিবর্তনের সুযোগে রাজউক তালিকার বাইরে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে মর্মে যে অভিযোগ করা হয়েছে এটিও সঠিক নয়। সরকার সংরক্ষিত কোটায় কেবলমাত্র যাঁদের এমআর নম্বর থাকবে, শুধু তাঁরাই প্লট বরাদ্দ পাবেন—এ কথাটিও সঠিক নয়। কারণ বরাদ্দ বিধিতে বর্ণিত ও সুনির্দিষ্ট পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্লট বরাদ্দের সুপারিশ করতে পারবেন মর্মে বরাদ্দ বিধির ১৩/এ ধারায় উল্লেখ রয়েছে।’
রাজউক এখানে ১৩/এ ধারা ও সংরক্ষিত কোটাকে গুলিয়ে ফেলেছে। ১৩/এ ধারায় প্লট পেতে পারেন সেই ব্যক্তি, যাঁর জাতীয় ক্ষেত্রে কোনো না কোনো বিষয়ে বিশেষ অবদান আছে। অথচ তিনি প্লট পাননি বা প্লটের জন্য আবেদন করেননি। আর সংরক্ষিত কোটায় সরকার সুনির্দিষ্ট পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে প্লট দিতে পারে। কিন্তু যে কাউকে দিতে পারে না। অথচ দেখা যাচ্ছে, সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় অনেকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও নেই।
তা ছাড়া যেকোনো আবেদনকারীরই একটি এমআর (জমা দেওয়া টাকার রসিদ) নম্বর থাকা অপরিহার্য। কারণ টাকা জমা দেওয়া ছাড়া কোনো আবেদন রাজউক গ্রহণ করে না বা করতে পারে না। কাজেই বিভিন্ন তালিকায় যাঁদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা কিংবা এমআর নম্বর নেই, রাজউকের সূত্রগুলো জানায় যে সেগুলো সন্দেহজনক। কোনো ব্যক্তির নাম দিয়ে অন্য কেউ প্লট বাগানোর জন্য এ রকম করছেন।
ব্যাখ্যায় রাজউক বলেছে, ‘সরকারের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সুপারিশের বাইরে রাজউকের কোনো প্লট বরাদ্দ করা হয়নি বিধায় অবৈধ লেনদেনের বিষয়টিও সঠিক নয়। প্লটের আয়তন পরিবর্তন করায় কোনো অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ ও প্লট সৃজনের প্রয়োজন পড়েনি। বড় আকারের কোনো প্লট অবরাদ্দকৃত থাকলে অতীতের ধারাবাহিকতায় কর্তৃপক্ষ যথাযথ বিবেচনায় তা পরিবর্তনের মাধ্যমে বরাদ্দ করে থাকেন। তবে এসব ক্ষেত্রে তাদের বৃহদায়তনের প্লটের জন্য ধার্যকৃত মূল্যই পরিশোধ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যদি কেউ কোনো অবৈধ লেনদেন করে থাকেন এবং তাঁর সঙ্গে যদি রাজউকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকেন, সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এখানে রাজউক স্পষ্ট করেই বলেছে, প্লটের আয়তন পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ কাজে অবৈধ লেনদেন যে হচ্ছে, তা রাজউক কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ প্লটের আয়তন বাড়ানোর বিষয়ে কথাবার্তা বললেই জানতে পারেন। এটা রাজউক কার্যালয়ের সবাই জানেন, তেমন কোনো গোপন বিষয় নয়।
ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘রাজউকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বীয় দায়িত্বের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই বিদেশ সফর করে থাকেন এবং বিধিসম্মতভাবে সফর করে থাকেন।’
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দায়িত্বের ব্যত্যয়, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা বিদেশ সফরের বিধিবিধান নিয়ে কিছু বলা হয়নি। বলা হয়েছে, প্রধান প্রকৌশলী ও সদস্য পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যান না। এতে সংস্থার স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়।
গত রোববার প্রথম আলোতে ‘রাজউকের প্লট বরাদ্দে নয়ছয়’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে রাজউকের দেওয়া ব্যাখ্যায় এ কথা বলা হয়েছে।
ব্যাখ্যায় এর পরই বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে, তা সত্য। তবে প্রাথমিক অবস্থায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরে সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন ও সঠিকভাবে সার্ভে করার মাধ্যমে এবং বাস্তব অবস্থার নিরিখে নতুন করে নকশা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।’
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, অধিগ্রহণকৃত জমি নিয়ে সুদীর্ঘকাল মামলা-মোকদ্দমা থাকায় উচ্চতর আদালতের নির্দেশনায় বনভূমি সংরক্ষণ, জলাধার রক্ষা, জিন্দাপার্কের জমি পার্ক হিসেবে সংরক্ষণ করায় সেখানে সৃষ্ট প্লটগুলো অন্যত্র সৃজনের এবং উন্নয়নশীল দেশের আঙ্গিকে পর্যাপ্ত সংখ্যক রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় নকশা সংশোধন করা হয়েছে।’
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ বিধির অনুসরণে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত সুপারিশ অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের বাইরে অন্য কাউকে রাজউকের প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ (বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে কর্মরত) খাইরুল ইসলামের সই করা সাদা কাগজে পাঠানো ১২ জনের তালিকা মন্ত্রণালয় রাজউকে পাঠায়নি। সে কাগজে মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার সই, সিল কিংবা কোনো ধরনের মন্তব্যও নেই। অথচ তাঁদেরও প্লট দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ওই ১২ জনের মধ্যে কেউ কেউ এখন আবার প্লটের আয়তন বাড়ানোরও চেষ্টা চলাচ্ছেন।
রাজউক বলেছে, ‘নকশা পরিবর্তনের সুযোগে রাজউক তালিকার বাইরে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে মর্মে যে অভিযোগ করা হয়েছে এটিও সঠিক নয়। সরকার সংরক্ষিত কোটায় কেবলমাত্র যাঁদের এমআর নম্বর থাকবে, শুধু তাঁরাই প্লট বরাদ্দ পাবেন—এ কথাটিও সঠিক নয়। কারণ বরাদ্দ বিধিতে বর্ণিত ও সুনির্দিষ্ট পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্লট বরাদ্দের সুপারিশ করতে পারবেন মর্মে বরাদ্দ বিধির ১৩/এ ধারায় উল্লেখ রয়েছে।’
রাজউক এখানে ১৩/এ ধারা ও সংরক্ষিত কোটাকে গুলিয়ে ফেলেছে। ১৩/এ ধারায় প্লট পেতে পারেন সেই ব্যক্তি, যাঁর জাতীয় ক্ষেত্রে কোনো না কোনো বিষয়ে বিশেষ অবদান আছে। অথচ তিনি প্লট পাননি বা প্লটের জন্য আবেদন করেননি। আর সংরক্ষিত কোটায় সরকার সুনির্দিষ্ট পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে প্লট দিতে পারে। কিন্তু যে কাউকে দিতে পারে না। অথচ দেখা যাচ্ছে, সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় অনেকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও নেই।
তা ছাড়া যেকোনো আবেদনকারীরই একটি এমআর (জমা দেওয়া টাকার রসিদ) নম্বর থাকা অপরিহার্য। কারণ টাকা জমা দেওয়া ছাড়া কোনো আবেদন রাজউক গ্রহণ করে না বা করতে পারে না। কাজেই বিভিন্ন তালিকায় যাঁদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা কিংবা এমআর নম্বর নেই, রাজউকের সূত্রগুলো জানায় যে সেগুলো সন্দেহজনক। কোনো ব্যক্তির নাম দিয়ে অন্য কেউ প্লট বাগানোর জন্য এ রকম করছেন।
ব্যাখ্যায় রাজউক বলেছে, ‘সরকারের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সুপারিশের বাইরে রাজউকের কোনো প্লট বরাদ্দ করা হয়নি বিধায় অবৈধ লেনদেনের বিষয়টিও সঠিক নয়। প্লটের আয়তন পরিবর্তন করায় কোনো অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ ও প্লট সৃজনের প্রয়োজন পড়েনি। বড় আকারের কোনো প্লট অবরাদ্দকৃত থাকলে অতীতের ধারাবাহিকতায় কর্তৃপক্ষ যথাযথ বিবেচনায় তা পরিবর্তনের মাধ্যমে বরাদ্দ করে থাকেন। তবে এসব ক্ষেত্রে তাদের বৃহদায়তনের প্লটের জন্য ধার্যকৃত মূল্যই পরিশোধ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যদি কেউ কোনো অবৈধ লেনদেন করে থাকেন এবং তাঁর সঙ্গে যদি রাজউকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকেন, সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এখানে রাজউক স্পষ্ট করেই বলেছে, প্লটের আয়তন পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ কাজে অবৈধ লেনদেন যে হচ্ছে, তা রাজউক কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ প্লটের আয়তন বাড়ানোর বিষয়ে কথাবার্তা বললেই জানতে পারেন। এটা রাজউক কার্যালয়ের সবাই জানেন, তেমন কোনো গোপন বিষয় নয়।
ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘রাজউকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বীয় দায়িত্বের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই বিদেশ সফর করে থাকেন এবং বিধিসম্মতভাবে সফর করে থাকেন।’
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দায়িত্বের ব্যত্যয়, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা বিদেশ সফরের বিধিবিধান নিয়ে কিছু বলা হয়নি। বলা হয়েছে, প্রধান প্রকৌশলী ও সদস্য পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যান না। এতে সংস্থার স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়।
No comments