শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ কেন?- বুয়েট ও ছাত্রলীগ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরিস্থিতি ক্রমেই বিপজ্জনক দিকে মোড় নিচ্ছে। আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাধিকবার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান পদত্যাগ করেননি। সর্বশেষ আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন।
এর আগে প্রতীকী রক্তপাতের কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, ক্যাম্পাসে রক্তপাতের আগেই উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য পদত্যাগ করবেন। উল্লেখ্য, এস এম নজরুল ইসলাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে সেখানে সংঘর্ষে একজন ছাত্র খুন হয়েছিলেন।
গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের কর্মী নামধারীরা লাথি মেরে প্রশাসনিক ভবনের দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাঁরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তাড়া করেছেন, মাইক কেড়ে নিয়েছেন এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাঁদের এই আচরণ ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। একটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা কীভাবে শিক্ষক ও সতীর্থদের ওপর চড়াও হন? পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বুয়েটে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তা হলে এই ছাত্রলীগ নামধারীরা কোত্থেকে এলেন? তাঁরা যদি বহিরাগত হয়ে থাকেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের ঠেকাল না কেন? আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে পুলিশ বুয়েটে আন্দোলনকারীদের মিছিল করতে ও মাইক ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছে আর ছাত্রলীগ নামধারীরা প্রকাশ্যে মাস্তানি করছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ কেন?
ছাত্রলীগের মাস্তানির পেছনে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদ আছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। একজন সহকারী রেজিস্ট্রারকে দিয়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের কক্ষ ভাঙচুরের দায়ে মামলা করানো হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ২০ জন শিক্ষক ও পাঁচজন শিক্ষার্থীকে। যেই আন্দোলনে বুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জড়িত, সেই আন্দোলনের দায়ে গুটিকয়েক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নামে মামলা হাস্যকর নয় কি? এর মাধ্যমে প্রশাসন একদিকে আন্দোলনকারীদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে বিভাজন তৈরি করছে। বুয়েটে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে প্রশাসন তার প্রতিকার চাইতে পারত। কিন্তু বাস্তবে সে ধরনের ঘটনা ঘটেনি। সে ক্ষেত্রে এই হয়রানিমূলক মামলা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আমরা মনে করি, অবিলম্বে বুয়েট উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ করা উচিত। বিভিন্ন দেশে গায়ের জোরে স্বৈরশাসকদের দেশ চালানোর নজির আছে। কিন্তু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। নিকট অতীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাই তার প্রমাণ। আর উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, সরকারের কর্তব্য হবে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা অথবা অপসারণ করা। দুজন ব্যক্তির জন্য দেশের সবচেয়ে মর্যাদাকর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না।
গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের কর্মী নামধারীরা লাথি মেরে প্রশাসনিক ভবনের দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাঁরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তাড়া করেছেন, মাইক কেড়ে নিয়েছেন এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাঁদের এই আচরণ ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। একটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা কীভাবে শিক্ষক ও সতীর্থদের ওপর চড়াও হন? পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বুয়েটে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তা হলে এই ছাত্রলীগ নামধারীরা কোত্থেকে এলেন? তাঁরা যদি বহিরাগত হয়ে থাকেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের ঠেকাল না কেন? আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে পুলিশ বুয়েটে আন্দোলনকারীদের মিছিল করতে ও মাইক ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছে আর ছাত্রলীগ নামধারীরা প্রকাশ্যে মাস্তানি করছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ কেন?
ছাত্রলীগের মাস্তানির পেছনে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদ আছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। একজন সহকারী রেজিস্ট্রারকে দিয়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের কক্ষ ভাঙচুরের দায়ে মামলা করানো হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ২০ জন শিক্ষক ও পাঁচজন শিক্ষার্থীকে। যেই আন্দোলনে বুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জড়িত, সেই আন্দোলনের দায়ে গুটিকয়েক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নামে মামলা হাস্যকর নয় কি? এর মাধ্যমে প্রশাসন একদিকে আন্দোলনকারীদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে বিভাজন তৈরি করছে। বুয়েটে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে প্রশাসন তার প্রতিকার চাইতে পারত। কিন্তু বাস্তবে সে ধরনের ঘটনা ঘটেনি। সে ক্ষেত্রে এই হয়রানিমূলক মামলা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আমরা মনে করি, অবিলম্বে বুয়েট উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ করা উচিত। বিভিন্ন দেশে গায়ের জোরে স্বৈরশাসকদের দেশ চালানোর নজির আছে। কিন্তু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। নিকট অতীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাই তার প্রমাণ। আর উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, সরকারের কর্তব্য হবে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা অথবা অপসারণ করা। দুজন ব্যক্তির জন্য দেশের সবচেয়ে মর্যাদাকর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না।
No comments