আমলা-নেতা-ঠিকাদার ত্রিভুজ ভাঙুন- দুর্নীতির ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়কেন্দ্র
তালি এক হাতে বাজে না। দুর্নীতির গল্পের হাততালি বহুপক্ষীয়। বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এ রকমই বহুপক্ষীয় দুর্নীতির আদর্শ উদাহরণ। এ ক্ষেত্রে পক্ষ তিনটি: এলজিইডির আমলা-প্রকৌশলী, ঠিকাদারগোষ্ঠী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। এই ত্রিভুজটি দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের একটি প্রকল্পের ওপর।
গতকাল সোমবারের প্রথম আলোর বিশাল বাংলা বিভাগ দুর্নীতির এই ত্রিভুজকে উন্মোচন করে দিয়েছে। বেশি লোক এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা’ বলে পার পাওয়ার উপায় এলজিইডির নেই। কারণ, সাক্ষীর কোনো অভাবও নেই।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পের জন্য ৩৩ কোটি টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হলেও দুজন ঠিকাদার ১৭ ও ১৯ শতাংশ বেশি দরে দরপত্র দিয়েও কাজ পান। কারণ, কোনো প্রতিযোগী ছিলেন না। প্রতিযোগীদের নিরস্ত করার প্রক্রিয়াটিও চমৎকার! বিভিন্ন সরকারি খরচের কাজে ঠিকাদার নিয়োগ প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদারগোষ্ঠী এবং সরকারদলীয় নেতাদের যোগসাজশে দুর্নীতির অলিখিত নিয়ম দাঁড়িয়ে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা এড়াতে সম্ভাব্য মুনাফার একটা অংশ প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিকাদারদের এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারার মাধ্যমে কাজ বরাদ্দ হয়। বরগুনায়ও তা-ই হয়েছিল। দুজন সরকারদলীয় ঠিকাদার সব দরপত্র ফরম কিনে নিয়ে প্রতিযোগিতা ছাড়াই কাজ বাগিয়ে নেন। এর জন্য তাঁরা বাদবাকি ঠিকাদারের মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা ভাগাভাগির ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি সব গোলমাল করে ফেলেন। তাঁর কাছে টাকা জমা হলেও তিনি তা সঠিকভাবে বণ্টন করেননি। ফলে, ‘বঞ্চিত’ ঠিকাদারেরা কাজটি বন্ধ করে দেন, অবৈধ মুনাফার বখরা ভাগাভাগি করতে গিয়ে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ে।
কার্যাদেশ পাওয়া যে দুজন ঠিকাদার ভাগের টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন, বিস্ময়করভাবে তাঁদের সেই টাকার অঙ্কের সঙ্গে প্রকল্পের অগ্রিম বরাদ্দের অঙ্ক মিলে যায়। এর অর্থ, এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লুটপাটের অর্থ সরকারি তহবিল থেকেই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। প্রথমে প্রাক্কলন-ব্যয় পাঁচ কোটি টাকা বেশি ধরা, পরে অগ্রিম বিল দেওয়ার এই পদক্ষেপগুলো দুর্নীতির জাজ্বল্যমান প্রমাণ। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এখন এত দুর্নীতির ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত।
এ রকম প্রকাশ্য ও উন্মোচিত দুর্নীতির আইনগত বিহিত না করা হবে আরেক বিরাট দুর্নীতি।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পের জন্য ৩৩ কোটি টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হলেও দুজন ঠিকাদার ১৭ ও ১৯ শতাংশ বেশি দরে দরপত্র দিয়েও কাজ পান। কারণ, কোনো প্রতিযোগী ছিলেন না। প্রতিযোগীদের নিরস্ত করার প্রক্রিয়াটিও চমৎকার! বিভিন্ন সরকারি খরচের কাজে ঠিকাদার নিয়োগ প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদারগোষ্ঠী এবং সরকারদলীয় নেতাদের যোগসাজশে দুর্নীতির অলিখিত নিয়ম দাঁড়িয়ে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা এড়াতে সম্ভাব্য মুনাফার একটা অংশ প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিকাদারদের এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারার মাধ্যমে কাজ বরাদ্দ হয়। বরগুনায়ও তা-ই হয়েছিল। দুজন সরকারদলীয় ঠিকাদার সব দরপত্র ফরম কিনে নিয়ে প্রতিযোগিতা ছাড়াই কাজ বাগিয়ে নেন। এর জন্য তাঁরা বাদবাকি ঠিকাদারের মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা ভাগাভাগির ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি সব গোলমাল করে ফেলেন। তাঁর কাছে টাকা জমা হলেও তিনি তা সঠিকভাবে বণ্টন করেননি। ফলে, ‘বঞ্চিত’ ঠিকাদারেরা কাজটি বন্ধ করে দেন, অবৈধ মুনাফার বখরা ভাগাভাগি করতে গিয়ে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ে।
কার্যাদেশ পাওয়া যে দুজন ঠিকাদার ভাগের টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন, বিস্ময়করভাবে তাঁদের সেই টাকার অঙ্কের সঙ্গে প্রকল্পের অগ্রিম বরাদ্দের অঙ্ক মিলে যায়। এর অর্থ, এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লুটপাটের অর্থ সরকারি তহবিল থেকেই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। প্রথমে প্রাক্কলন-ব্যয় পাঁচ কোটি টাকা বেশি ধরা, পরে অগ্রিম বিল দেওয়ার এই পদক্ষেপগুলো দুর্নীতির জাজ্বল্যমান প্রমাণ। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এখন এত দুর্নীতির ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত।
এ রকম প্রকাশ্য ও উন্মোচিত দুর্নীতির আইনগত বিহিত না করা হবে আরেক বিরাট দুর্নীতি।
No comments