ভোটের আগে সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিতে হবে ॥ এরশাদ- এখন নির্বাচন হলে জাপা ১২৫টি আসন পাবে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, সংসদ ও মন্ত্রিসভা বহাল রেখে নির্বাচন হতে পারে না। তাই নির্বাচনের আগে সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিতে হবে।
তাছাড়া এখন নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি ১২৫টি আসন পাবে।
সোমবার বনানীর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির মতবিনিময় সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় ও কুমিল্লার তৃণমূল নেতাকর্মীরা অংশ নেন। আওয়ামী লীগ-বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জাপায় যোগ দেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় সংসদ বহাল থাকবে। এতে অসঙ্গতি রয়ে গেছে বলে মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অবশ্যই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অসঙ্গতি দূর করতে হবে। কারণ সংসদ বহাল রেখে আর একটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে এরশাদ প্রশ্ন তুলে বলেন, আসনশূন্য হলে তখন নির্বাচন কমিশন সেই আসনে নির্বাচন দেন। আসনশূন্য না হলে কিভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দেবে। এরশাদ বলেন, আইন করার কোন প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রপতি বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষে সংসদ ভেঙ্গে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে ক্ষমতায় যেতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। ন্যায় ও সৎ-আদর্শের রাজনীতির মৃত্যু নেই। একসময় যারা মনে করেছিল আমরা আর টিকে থাকতে পারব না তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। তিনি সারাদেশে জাতীয় পার্টিকে আরও সুসংগঠিত করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে যেতে নির্বাচন করবে না। নির্বাচন করবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। আর ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে উদ্ধার করা। তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে চায়। এখন নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি ১২৫ আসনে বিজয়ী হবে। অনেকে প্রশ্ন তোলেন ৩শ’ আসনে জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থী নেই। তাদের উদ্দেশে বলি আগামী নির্বাচনে মানুষ প্রার্থী খুঁজবে না। মানুষ খুঁজবে লাঙ্গল প্রতীক।
এরশাদ বলেন, আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। সে কারণে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ১০৫ জনকে ডাকা হচ্ছে। তাদের বলে দেয়া হবে, তৃণমূল পর্যায়ে যদি সংগঠন শক্তিশালী করতে পারে তাহলে মনোনয়ন দেয়া হবে। এ জন্য তাদের ৩ মাসের সময় দেয়া হবে। এর মধ্যে তাদের পার্টিকে শক্তিশালী করে পাবলিক মিটিং করে প্রমাণ দিতে হবে দল আগের চেয়ে শক্তিশালী। জাপার জনমত বেড়েছে। মানুষ এখন জাতীয় পার্টিকে চায়।
মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), সুনীল শুভ রায়, এইচএম এরশাদের উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার, যোগদানকারী ব্রাহ্মপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
যোগদান অনুষ্ঠানে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও বুড়িচং এইচএম এরশাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক কর্মচারীরা এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু।
সোমবার বনানীর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির মতবিনিময় সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় ও কুমিল্লার তৃণমূল নেতাকর্মীরা অংশ নেন। আওয়ামী লীগ-বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জাপায় যোগ দেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় সংসদ বহাল থাকবে। এতে অসঙ্গতি রয়ে গেছে বলে মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অবশ্যই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অসঙ্গতি দূর করতে হবে। কারণ সংসদ বহাল রেখে আর একটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে এরশাদ প্রশ্ন তুলে বলেন, আসনশূন্য হলে তখন নির্বাচন কমিশন সেই আসনে নির্বাচন দেন। আসনশূন্য না হলে কিভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দেবে। এরশাদ বলেন, আইন করার কোন প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রপতি বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষে সংসদ ভেঙ্গে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে ক্ষমতায় যেতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। ন্যায় ও সৎ-আদর্শের রাজনীতির মৃত্যু নেই। একসময় যারা মনে করেছিল আমরা আর টিকে থাকতে পারব না তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। তিনি সারাদেশে জাতীয় পার্টিকে আরও সুসংগঠিত করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে যেতে নির্বাচন করবে না। নির্বাচন করবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। আর ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে উদ্ধার করা। তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে চায়। এখন নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি ১২৫ আসনে বিজয়ী হবে। অনেকে প্রশ্ন তোলেন ৩শ’ আসনে জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থী নেই। তাদের উদ্দেশে বলি আগামী নির্বাচনে মানুষ প্রার্থী খুঁজবে না। মানুষ খুঁজবে লাঙ্গল প্রতীক।
এরশাদ বলেন, আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। সে কারণে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ১০৫ জনকে ডাকা হচ্ছে। তাদের বলে দেয়া হবে, তৃণমূল পর্যায়ে যদি সংগঠন শক্তিশালী করতে পারে তাহলে মনোনয়ন দেয়া হবে। এ জন্য তাদের ৩ মাসের সময় দেয়া হবে। এর মধ্যে তাদের পার্টিকে শক্তিশালী করে পাবলিক মিটিং করে প্রমাণ দিতে হবে দল আগের চেয়ে শক্তিশালী। জাপার জনমত বেড়েছে। মানুষ এখন জাতীয় পার্টিকে চায়।
মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), সুনীল শুভ রায়, এইচএম এরশাদের উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার, যোগদানকারী ব্রাহ্মপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
যোগদান অনুষ্ঠানে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও বুড়িচং এইচএম এরশাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক কর্মচারীরা এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু।
No comments