পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ অবান্তর: আবুল হোসেন
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আবারও দাবি করেছেন যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়নি।
গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সদ্য পদত্যাগকারী এই মন্ত্রীকে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের কার্যালয়ে আবুল হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সদ্য পদত্যাগকারী এই মন্ত্রীকে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের কার্যালয়ে আবুল হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তাঁর দাবি, ‘৩৭ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের (পরামর্শক নিয়োগ) কাজ পেতে ৩৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ সাধার অভিযোগ অবান্তর।’
মূল সেতুর ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য এর আগেও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আবুল হোসেনকে। তবে দুদক পরে জানায়, ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
আবুল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘পদ্মা সেতুর তদন্তকাজ নিষ্ঠার সঙ্গে এবং শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। এর ভেতরে কোনো ধরনের দুর্নীতি ধরা পড়ার আশঙ্কাই নেই।’
পদ্মা প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের শর্তের কারণে মন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন আবুল হোসেন। গত ২৬ আগস্ট তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিঠি পাঠায় দুদক। তবে গতকাল এক লিখিত বিবৃতিতে সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী দাবি করেছেন, সরকারের কোনো ‘নির্দেশ বা চাপে নয়, স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে স্বেচ্ছায়’ মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের চুক্তি স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক। ২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন কার্যক্রম ঢিলে হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে আবুল হোসেনকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের শর্ত ছিল, মন্ত্রী আবুল হোসেন, তখনকার সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে সরিয়ে দিতে হবে। সেই শর্ত পূরণ না হওয়ায় চলতি বছরের জুনে অর্থায়ন চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। তবে এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংককে ফেরানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবুল হোসেন। এক মাস পর তা কার্যকর করা হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ নূরে আলম চৌধুরীর ভাই নিক্সন চৌধুরী, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, পরামর্শক নিয়োগের সংক্ষিপ্ত তালিকার শীর্ষে থাকা কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় উপদেষ্টা জিয়াউল হকসহ মোট ২৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
মূল সেতুর ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য এর আগেও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আবুল হোসেনকে। তবে দুদক পরে জানায়, ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
আবুল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘পদ্মা সেতুর তদন্তকাজ নিষ্ঠার সঙ্গে এবং শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। এর ভেতরে কোনো ধরনের দুর্নীতি ধরা পড়ার আশঙ্কাই নেই।’
পদ্মা প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের শর্তের কারণে মন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন আবুল হোসেন। গত ২৬ আগস্ট তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিঠি পাঠায় দুদক। তবে গতকাল এক লিখিত বিবৃতিতে সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী দাবি করেছেন, সরকারের কোনো ‘নির্দেশ বা চাপে নয়, স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে স্বেচ্ছায়’ মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের চুক্তি স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক। ২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন কার্যক্রম ঢিলে হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে আবুল হোসেনকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের শর্ত ছিল, মন্ত্রী আবুল হোসেন, তখনকার সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে সরিয়ে দিতে হবে। সেই শর্ত পূরণ না হওয়ায় চলতি বছরের জুনে অর্থায়ন চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। তবে এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংককে ফেরানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবুল হোসেন। এক মাস পর তা কার্যকর করা হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ নূরে আলম চৌধুরীর ভাই নিক্সন চৌধুরী, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, পরামর্শক নিয়োগের সংক্ষিপ্ত তালিকার শীর্ষে থাকা কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় উপদেষ্টা জিয়াউল হকসহ মোট ২৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
No comments