বন্দী শ্রমিকদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত দেশটির বন্দী ২৭০ খনিশ্রমিককে মুক্তি দিতে শুরু করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সম্প্রতি কয়লাখনির শ্রমিকদের আন্দোলন-ধর্মঘট চলাকালে পুলিশের গুলিতে ৩৪ জন খনিশ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় উল্টো শ্রমিকদের বিরুদ্ধেই হত্যার অভিযোগ আনা হয়।


এদিকে, গতকাল সোমবার জোহানেসবার্গের একটি সোনার খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এতে কমপক্ষে চারজন খনিশ্রমিক আহত হন। পাওনা বেতন-ভাতার দাবিতে ওই শ্রমিকেরা আন্দোলন করছিলেন।
সম্প্রতি হত্যার অভিযোগে খনিশ্রমিকদের বন্দী করা হলে দেশটির জনগণ এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় তাঁদের বিরুদ্ধে আনা হত্যার অভিযোগ স্থগিত করা হয়। বন্দী ২৭০ জনের মধ্যে প্রথম ১০০ জনকে গতকাল সোমবারই আদালত মুক্তি দেন। অন্যদের আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ধর্মঘটি শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনাও গতকাল শুরু হওয়ার কথা।
গত রোববার জাতীয় আইনজীবী পরিষদের পরিচালক নমঙ্গকোবো জিবা এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, বন্দী খনিশ্রমিকদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। তবে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে না।
বেতন বৃদ্ধি ও নতুন একটি শ্রমিক সংগঠনকে অনুমোদন দেওয়ার দাবিতে দেশটির মারিকানা প্লাটিনাম খনির শ্রমিকেরা তিন সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট চালিয়ে আসছিলেন। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম প্লাটিনাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লোনমিনের মালিকানাধীন এ খনির শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিতে ৩৪ জন শ্রমিক নিহত হন। কিন্তু উল্টো হত্যার অভিযোগে ধর্মঘটি অন্য শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশ স্বীকার করে, আত্মরক্ষার জন্য তারা গুলি চালিয়েছিল। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.