সিরাজগঞ্জে শ্রমিক লীগের নেতা খুন- ঘরবাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আগুন আহত ১৫, যান চলাচল বন্ধ
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে বালুমহাল দখল নিয়ে সংঘর্ষে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সোমবার প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন আজ মঙ্গলবার থেকে সিরাজগঞ্জ শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল ইউনিয়নের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী সাংবাদিকদের জানান, নাসির হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আবদুস সাত্তার ও তাঁর সহযোগীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
গত রোববার যমুনা নদীর কালীপুর চরে বালুমহালের দখল নিয়ে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপির সমর্থক আবদুস সাত্তারের লোকজনের সঙ্গে নাসির উদ্দিনের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় নাসিরকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি দুপুরের দিকে মারা যান। ওই সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাসিরের লাশ গতকাল বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে শহরের মালশাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় ঢাকায় চিকিৎসাধীন শাকিল আহমদ টিক্কার (নাসিরের সমর্থক) মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর নাসিরের সমর্থকেরা চর মালশাপাড়া মহল্লায় প্রতিপক্ষের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ভাঙচুর করে আরও চারটি বাড়ি ও তিনটি দোকান। হামলাকারীরা পরে আরও কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ শটগানের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহিদ আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ১৪টি গুলি ও পাঁচটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি জানান, নাসিরের ছেলে আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাঁরা হলেন: শহিদুল ইসলাম (৪০), আনোয়ার হোসেন (৩০), আবদুর রাজ্জাক (৩৬), মোহাম্মাদ আলী (৩০), আলম সেখ (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৩৫)। তাঁরা সবাই আবদুস সাত্তারের সমর্থক।
গত রোববার যমুনা নদীর কালীপুর চরে বালুমহালের দখল নিয়ে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপির সমর্থক আবদুস সাত্তারের লোকজনের সঙ্গে নাসির উদ্দিনের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় নাসিরকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি দুপুরের দিকে মারা যান। ওই সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাসিরের লাশ গতকাল বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে শহরের মালশাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় ঢাকায় চিকিৎসাধীন শাকিল আহমদ টিক্কার (নাসিরের সমর্থক) মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর নাসিরের সমর্থকেরা চর মালশাপাড়া মহল্লায় প্রতিপক্ষের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ভাঙচুর করে আরও চারটি বাড়ি ও তিনটি দোকান। হামলাকারীরা পরে আরও কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ শটগানের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহিদ আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ১৪টি গুলি ও পাঁচটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি জানান, নাসিরের ছেলে আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাঁরা হলেন: শহিদুল ইসলাম (৪০), আনোয়ার হোসেন (৩০), আবদুর রাজ্জাক (৩৬), মোহাম্মাদ আলী (৩০), আলম সেখ (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৩৫)। তাঁরা সবাই আবদুস সাত্তারের সমর্থক।
No comments