ঢাকা দক্ষিণ সিটির উন্নয়নকাজ স্থবির-'আলাপ' না করলেই গতি হারায় ফাইল by অমিতোষ পাল
ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট (কেজ) বা নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্পের আওতায় খিলগাঁও-বনশ্রী সড়কের উন্নয়নের জন্য ছয় মাস আগে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দুই পর্যায়ে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে।
যথানিয়মে ঠিকাদাররা দরপত্রে অংশ নেন। দরপত্র আহ্বানকারী কমিটি, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিসহ সব কমিটি তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসকের টেবিলে গিয়ে ফাইলটি আটকে যায়। অনুমোদনের জন্য তিনি এখনো ফাইলটি বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে পাঠাননি। অগত্যা সেটা টেবিলেই পড়ে আছে।
এদিকে দরপত্রে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পাওয়া আবুল অ্যান্ড ব্রাদার্স ও নটিকম লিমিটেডের মালিকরা পড়েছেন বেকায়দায়। কারণ জুন মাসের মধ্যে কাজ করা না গেলে বিশ্বব্যাংকের এই টাকা ফেরত চলে যাবে। ঠিকাদাররাও পড়বেন বিপাকে। প্যাকেজ-১-এর কাজ পাওয়া আবুল হোসেন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী বলেন, 'সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ফাইলটি টেবিলে পড়ে থাকার কথা নয়। তাহলে কেন পড়ে আছে, সেটি আপনারা অনুসন্ধান করে দেখুন।' ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন ভেঙে দুই ভাগ হওয়ার পর ঢাকা উত্তরের উন্নয়নকাজে কিছুটা গতি থাকলেও দক্ষিণের কাজে কোনো গতি নেই। চলতি অর্থবছরের বাজেটের উন্নয়নকাজের অর্ধেকও এখনো শেষ হয়নি। অথচ হাতে সময়ও নেই। জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ না হলে বাংলাদেশ সরকার ও বিদেশি দাতা সংস্থার বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত চলে যাবে। আর এ জন্য ভোগান্তিতে পড়বে নগরবাসী। সেই ভোগান্তি বর্তমানে চলছে। ঢাকা দক্ষিণের অনেক সড়ক-ফুটপাতের অবস্থা শোচনীয়। পথ চলতে গিয়ে কী যন্ত্রণায় পড়তে হয়, ঢাকা শহরের সোয়া কোটি লোক সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে।
ঠিকাদাররা বলেন, তাঁদের এখানে ব্যবসা করে সংসার চালাতে হয়। কারো বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বললে এর মাশুল দিতে হয় পদে পদে। আগে কখনো উন্নয়নকাজে এত স্থবিরতা তৈরি হয়নি। বিভিন্ন স্থানে কমিশন দিতে হলেও সময়মতো কাজ হয়ে যেত। এখন সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও 'আলাপ করুন' লিখে ফাইল ফেরত পাঠান প্রশাসক। এই 'আলাপ করুন'-এর অর্থ প্রথম দিকে ঠিকাদাররা বুঝতে না পারলেও এখন সবাই বুঝে গেছেন। 'আলাপ'ও করছেন সবাই। আর যারা 'আলাপ' করছেন না, তাঁদের কাজই গতি পাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তায় বাতি লাগানোর জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ছয় মাস আগে। চার কোটি টাকার ৪০টি প্যাকেজের কাজ আরো অন্তত দুই মাস আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ কোনো প্যাকেজেরই আজ পর্যন্ত কার্যাদেশই দেওয়া হয়নি। অথচ চার মাস আগে এসব কাজের কার্যাদেশ দেওয়ার কথা ছিল। ওই কাজের সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মনোনীত করার জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি রয়েছে। তারা এ কাজ করার পর প্রশাসকের দায়িত্ব ফাইলে কার্যাদেশ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া। কিন্তু প্রশাসকের দপ্তরে গেলেই এসব ফাইলে লিখে দেওয়া হয়েছে 'আলাপ করুন'। এটা লিখে তিনি ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দেন প্রধান প্রকৌশলীর কাছে। অথচ জুন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ করা না গেলে এই বাজেটের অর্থ কাজে লাগানো যাবে না, ঠিকাদাররাও পড়বেন বিপাকে।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল আট মাস আগে। কারিগরি কমিটি ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি পারিসা ইন্টারন্যাশনালকে ঠিকাদার মনোনীত করার পর প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হলে প্রথমে 'আলাপ' করার কথা বলা হয়। পরে আবার পাঠানো হলে কিছু নির্মাণসামগ্রীর দর একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে যাওয়ার অজুহাতে বাতিল করা হয়। ঠিকাদারদের যোগসাজশ করার অজুহাতে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আর কাজ করানো সম্ভব হবে না বলে ঠিকাদাররা জানান।
আবার নগরের ট্রাফিক সিগন্যাল পয়েন্টের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ১৫ কোটি টাকার একটি কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল আট মাস আগে। এ ফাইলটিরও সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর 'আলাপ করুন' লেখা চিঠি চালাচালি হয়। কয়েকটি সামগ্রীর দর একাধিক ঠিকাদারের দেওয়া দরের সঙ্গে মিলে যাওয়ার অভিযোগে বাতিল করা হয় সেটাও। ঠিকাদারদের অভিযোগ, আসলে এসব ফাইলে প্রশাসকের একান্ত সচিব নুরুল ইসলামের সঙ্গে ঠিকমতো 'আলাপ' হয়নি। সে কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ সার্কেল, বাজার সার্কেলসহ প্রতিটি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সব সেকশনের উন্নয়নকাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য প্রকৌশলীরাও ক্ষুব্ধ। কারণ তাঁরা কাজ করাতে না পারলে সেটা তাঁদের পেশাগত ব্যর্থতার পর্যায়েও পড়বে।
এসব প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য দুই দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়েও তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর একান্ত সচিব নুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠের কাছে দাবি করেন, ফাইল সঠিক না থাকলে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ''দখা গেল কোনো কাজের ওপেন টেন্ডার হয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও ছাপা হয়েছে। কিন্তু দরপত্রের সঙ্গে সাপোর্টিং পেপারটা দেননি ঠিকাদার। এ রকম অবস্থা হলে 'আলাপ' করার কথা তো লিখতেই পারেন। এ ছাড়া কোনো অসংগতি থাকলেও আলাপ করার কথা লেখা যায়। কিন্তু অসংগতি না থাকলে স্যার এটা করেন না।"
নুরুল ইসলাম নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, 'আপনি গোয়েন্দাগিরি করে দেখেন, তাহলে জানতে পারবেন আমাকে পয়সা-কড়ি দেওয়া লাগে কি না। মনে করেন, প্রত্যেক দিন আমার কাছে ২০টা ফাইল আসে। যাদের ফাইল আসে, গোপনে তাদের ইন্টারভিউ নেন। তখন বুঝতে পারবেন আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিই কি না। এসব ষড়যন্ত্র কি না আপনিও বুঝে যাবেন।'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অবিভক্ত ডিসিসির বাজেট ছিল একরকম। এটা ভাগ হয়ে যাওয়ার পর বাজেট রিভাইস করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দক্ষিণে উন্নয়ন বাজেটের কত শতাংশ অর্থ আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি, সেই হিসাব এখনো করা হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে মিটিং হবে। মিটিংয়ে জানা যাবে।' অন্য বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যান।
এদিকে দরপত্রে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পাওয়া আবুল অ্যান্ড ব্রাদার্স ও নটিকম লিমিটেডের মালিকরা পড়েছেন বেকায়দায়। কারণ জুন মাসের মধ্যে কাজ করা না গেলে বিশ্বব্যাংকের এই টাকা ফেরত চলে যাবে। ঠিকাদাররাও পড়বেন বিপাকে। প্যাকেজ-১-এর কাজ পাওয়া আবুল হোসেন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী বলেন, 'সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ফাইলটি টেবিলে পড়ে থাকার কথা নয়। তাহলে কেন পড়ে আছে, সেটি আপনারা অনুসন্ধান করে দেখুন।' ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন ভেঙে দুই ভাগ হওয়ার পর ঢাকা উত্তরের উন্নয়নকাজে কিছুটা গতি থাকলেও দক্ষিণের কাজে কোনো গতি নেই। চলতি অর্থবছরের বাজেটের উন্নয়নকাজের অর্ধেকও এখনো শেষ হয়নি। অথচ হাতে সময়ও নেই। জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ না হলে বাংলাদেশ সরকার ও বিদেশি দাতা সংস্থার বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত চলে যাবে। আর এ জন্য ভোগান্তিতে পড়বে নগরবাসী। সেই ভোগান্তি বর্তমানে চলছে। ঢাকা দক্ষিণের অনেক সড়ক-ফুটপাতের অবস্থা শোচনীয়। পথ চলতে গিয়ে কী যন্ত্রণায় পড়তে হয়, ঢাকা শহরের সোয়া কোটি লোক সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে।
ঠিকাদাররা বলেন, তাঁদের এখানে ব্যবসা করে সংসার চালাতে হয়। কারো বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বললে এর মাশুল দিতে হয় পদে পদে। আগে কখনো উন্নয়নকাজে এত স্থবিরতা তৈরি হয়নি। বিভিন্ন স্থানে কমিশন দিতে হলেও সময়মতো কাজ হয়ে যেত। এখন সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও 'আলাপ করুন' লিখে ফাইল ফেরত পাঠান প্রশাসক। এই 'আলাপ করুন'-এর অর্থ প্রথম দিকে ঠিকাদাররা বুঝতে না পারলেও এখন সবাই বুঝে গেছেন। 'আলাপ'ও করছেন সবাই। আর যারা 'আলাপ' করছেন না, তাঁদের কাজই গতি পাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তায় বাতি লাগানোর জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ছয় মাস আগে। চার কোটি টাকার ৪০টি প্যাকেজের কাজ আরো অন্তত দুই মাস আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ কোনো প্যাকেজেরই আজ পর্যন্ত কার্যাদেশই দেওয়া হয়নি। অথচ চার মাস আগে এসব কাজের কার্যাদেশ দেওয়ার কথা ছিল। ওই কাজের সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মনোনীত করার জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি রয়েছে। তারা এ কাজ করার পর প্রশাসকের দায়িত্ব ফাইলে কার্যাদেশ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া। কিন্তু প্রশাসকের দপ্তরে গেলেই এসব ফাইলে লিখে দেওয়া হয়েছে 'আলাপ করুন'। এটা লিখে তিনি ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দেন প্রধান প্রকৌশলীর কাছে। অথচ জুন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ করা না গেলে এই বাজেটের অর্থ কাজে লাগানো যাবে না, ঠিকাদাররাও পড়বেন বিপাকে।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল আট মাস আগে। কারিগরি কমিটি ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি পারিসা ইন্টারন্যাশনালকে ঠিকাদার মনোনীত করার পর প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হলে প্রথমে 'আলাপ' করার কথা বলা হয়। পরে আবার পাঠানো হলে কিছু নির্মাণসামগ্রীর দর একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে যাওয়ার অজুহাতে বাতিল করা হয়। ঠিকাদারদের যোগসাজশ করার অজুহাতে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আর কাজ করানো সম্ভব হবে না বলে ঠিকাদাররা জানান।
আবার নগরের ট্রাফিক সিগন্যাল পয়েন্টের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ১৫ কোটি টাকার একটি কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল আট মাস আগে। এ ফাইলটিরও সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর 'আলাপ করুন' লেখা চিঠি চালাচালি হয়। কয়েকটি সামগ্রীর দর একাধিক ঠিকাদারের দেওয়া দরের সঙ্গে মিলে যাওয়ার অভিযোগে বাতিল করা হয় সেটাও। ঠিকাদারদের অভিযোগ, আসলে এসব ফাইলে প্রশাসকের একান্ত সচিব নুরুল ইসলামের সঙ্গে ঠিকমতো 'আলাপ' হয়নি। সে কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ সার্কেল, বাজার সার্কেলসহ প্রতিটি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সব সেকশনের উন্নয়নকাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য প্রকৌশলীরাও ক্ষুব্ধ। কারণ তাঁরা কাজ করাতে না পারলে সেটা তাঁদের পেশাগত ব্যর্থতার পর্যায়েও পড়বে।
এসব প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য দুই দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়েও তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর একান্ত সচিব নুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠের কাছে দাবি করেন, ফাইল সঠিক না থাকলে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ''দখা গেল কোনো কাজের ওপেন টেন্ডার হয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও ছাপা হয়েছে। কিন্তু দরপত্রের সঙ্গে সাপোর্টিং পেপারটা দেননি ঠিকাদার। এ রকম অবস্থা হলে 'আলাপ' করার কথা তো লিখতেই পারেন। এ ছাড়া কোনো অসংগতি থাকলেও আলাপ করার কথা লেখা যায়। কিন্তু অসংগতি না থাকলে স্যার এটা করেন না।"
নুরুল ইসলাম নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, 'আপনি গোয়েন্দাগিরি করে দেখেন, তাহলে জানতে পারবেন আমাকে পয়সা-কড়ি দেওয়া লাগে কি না। মনে করেন, প্রত্যেক দিন আমার কাছে ২০টা ফাইল আসে। যাদের ফাইল আসে, গোপনে তাদের ইন্টারভিউ নেন। তখন বুঝতে পারবেন আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিই কি না। এসব ষড়যন্ত্র কি না আপনিও বুঝে যাবেন।'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অবিভক্ত ডিসিসির বাজেট ছিল একরকম। এটা ভাগ হয়ে যাওয়ার পর বাজেট রিভাইস করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দক্ষিণে উন্নয়ন বাজেটের কত শতাংশ অর্থ আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি, সেই হিসাব এখনো করা হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে মিটিং হবে। মিটিংয়ে জানা যাবে।' অন্য বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যান।
No comments