তেজগাঁও শিল্প এলাকা-প্লট পাওয়া ২০ ব্যক্তিকে তলব
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্লট বরাদ্দ পাওয়া ২০ ব্যক্তিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। প্লট বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে তাঁদের ১২ জুন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা যায়, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্লট বরাদ্দের বিষয়ে ‘রাস্তাকে প্লট বানিয়ে ভাগাভাগি’ এবং ‘সড়ক প্রকল্প রাতারাতি হয়ে গেল শিল্প প্লট’ শিরোনামে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি আদালতের নজরে আনা হলে গত ৯ মে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন।
তখন প্লটের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ও তাঁর ছেলে জয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী নাজমা ইসলামকে এবং পরে যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয় ও তাঁরা হাজির হন।
এরপর ২২ মে আদালত অভিযোগ তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া ও বিজ্ঞাপন ছাড়া কাদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকা আদালতে দাখিল করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশ অনুসারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি তালিকা পাঠানো হয়।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল পাঠানো হয়েছে। তালিকাটি আদালতে তুলে ধরেছি। তালিকায় ২৪ জনের নাম আছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে ১২ জুন হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৪ জনের মধ্যে ইতিপূর্বে শফিক রেহমানসহ তিনজন আদালতে হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের ওইদিন আসতে হবে না। আর চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নাম তালিকায় থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তাঁকে ডাকা হয়নি।’ তিনি বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে, জনগণকে না জানিয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নামমাত্র মূল্যে এসব প্লট দেওয়া হয়েছে। অনেক প্লট যে কাজে দেওয়া হয়েছে, সে কাজে লাগানো হয়নি।
বরাদ্দকৃত শিল্প প্লট: আদালতের নির্দেশে পাঠানো গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ২০০২ সাল থেকে নথিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাড়া বরাদ্দ প্রদানকৃত ব্যক্তিদের তালিকা প্রেরণ করা হলো। বরাদ্দসংক্রান্ত তথ্যাদি মন্ত্রণালয় হতে যাচাই করা হচ্ছে। আরও কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’ প্রতিবেদনে ২০০৩, ২০০৫ ও ২০০৬ সাল উল্লেখ করে প্লট নম্বর, বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা, জমির পরিমাণ, বরাদ্দের তারিখ, হস্তান্তরের তারিখ, জমির দাম, বরাদ্দ-প্রক্রিয়া ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ২০০৩ সালে বরাদ্দ করা শিল্প প্লটের তালিকায় দেখা যায়, শফিক রেহমান, যায়যায়দিন পাবলিকেশন্স লি. ১৫ নিউ বেইলি রোড, ঢাকার নামে এক একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০০৪ সালে বরাদ্দ পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসমত আলী। তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন প্রায় ৩৫ কাঠা।
২০০৫ সালে বরাদ্দ পেয়েছেন নয়জন। তাঁরা হলেন: ডাইপার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, রূপালী সুয়েটার্স ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিক উল্লাহ, দৈনিক খবরপত্র-এর প্রকাশক মো. হাফিজ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের পরিচালক এম শাহজাদ আলী, অটো ফ্লাওয়ার মিলসের স্বত্বাধিকারী বি ইউ চৌধুরী, আশা পলি অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের প্রোপ্রাইটর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ, শ্যামটেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, মেসার্স রয়েল ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশফিকুল হক ও মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্স অ্যান্ড স মিলের মো. রুহুল আমিন ভূঁঞা।
২০০৬ সালে চ্যানেল বরাদ্দ পান চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, শ্যামল বাংলা মিডিয়া লিমিটেডের (বাংলাভিশন) চেয়ারম্যান আবদুল হক, ব্রাদার্স গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, গ্রিন ওয়েজ ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী, সাপ্তাহিক রোববার-এর প্রকাশক সাজু হোসেন, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের (চ্যানেল আই) পরিচালক, দৈনিক সকালের খবর-এর মালিক, প্রকাশক ও সম্পাদক বেগম তাহমিনা শওকত, এনটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এনায়েতুর রহমান, দৈনিক পথযাত্রার সম্পাদক ও প্রকাশক কে এম সহিদ উল্লাহ, দৈনিক পূর্বাভাস মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ওয়াই মো. কামাল, প্যাসিফিক কেমিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ফোকাস ফ্যাশন লিমিটেডের পরিচালক নাজমা ইসলাম এবং মেসার্স উম্মে খান, ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে এ জে খান।
তখন প্লটের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ও তাঁর ছেলে জয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী নাজমা ইসলামকে এবং পরে যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয় ও তাঁরা হাজির হন।
এরপর ২২ মে আদালত অভিযোগ তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া ও বিজ্ঞাপন ছাড়া কাদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকা আদালতে দাখিল করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশ অনুসারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি তালিকা পাঠানো হয়।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল পাঠানো হয়েছে। তালিকাটি আদালতে তুলে ধরেছি। তালিকায় ২৪ জনের নাম আছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে ১২ জুন হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৪ জনের মধ্যে ইতিপূর্বে শফিক রেহমানসহ তিনজন আদালতে হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের ওইদিন আসতে হবে না। আর চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নাম তালিকায় থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তাঁকে ডাকা হয়নি।’ তিনি বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে, জনগণকে না জানিয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নামমাত্র মূল্যে এসব প্লট দেওয়া হয়েছে। অনেক প্লট যে কাজে দেওয়া হয়েছে, সে কাজে লাগানো হয়নি।
বরাদ্দকৃত শিল্প প্লট: আদালতের নির্দেশে পাঠানো গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ২০০২ সাল থেকে নথিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাড়া বরাদ্দ প্রদানকৃত ব্যক্তিদের তালিকা প্রেরণ করা হলো। বরাদ্দসংক্রান্ত তথ্যাদি মন্ত্রণালয় হতে যাচাই করা হচ্ছে। আরও কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’ প্রতিবেদনে ২০০৩, ২০০৫ ও ২০০৬ সাল উল্লেখ করে প্লট নম্বর, বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা, জমির পরিমাণ, বরাদ্দের তারিখ, হস্তান্তরের তারিখ, জমির দাম, বরাদ্দ-প্রক্রিয়া ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ২০০৩ সালে বরাদ্দ করা শিল্প প্লটের তালিকায় দেখা যায়, শফিক রেহমান, যায়যায়দিন পাবলিকেশন্স লি. ১৫ নিউ বেইলি রোড, ঢাকার নামে এক একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০০৪ সালে বরাদ্দ পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসমত আলী। তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন প্রায় ৩৫ কাঠা।
২০০৫ সালে বরাদ্দ পেয়েছেন নয়জন। তাঁরা হলেন: ডাইপার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, রূপালী সুয়েটার্স ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিক উল্লাহ, দৈনিক খবরপত্র-এর প্রকাশক মো. হাফিজ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের পরিচালক এম শাহজাদ আলী, অটো ফ্লাওয়ার মিলসের স্বত্বাধিকারী বি ইউ চৌধুরী, আশা পলি অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের প্রোপ্রাইটর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ, শ্যামটেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, মেসার্স রয়েল ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশফিকুল হক ও মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্স অ্যান্ড স মিলের মো. রুহুল আমিন ভূঁঞা।
২০০৬ সালে চ্যানেল বরাদ্দ পান চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, শ্যামল বাংলা মিডিয়া লিমিটেডের (বাংলাভিশন) চেয়ারম্যান আবদুল হক, ব্রাদার্স গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, গ্রিন ওয়েজ ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী, সাপ্তাহিক রোববার-এর প্রকাশক সাজু হোসেন, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের (চ্যানেল আই) পরিচালক, দৈনিক সকালের খবর-এর মালিক, প্রকাশক ও সম্পাদক বেগম তাহমিনা শওকত, এনটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এনায়েতুর রহমান, দৈনিক পথযাত্রার সম্পাদক ও প্রকাশক কে এম সহিদ উল্লাহ, দৈনিক পূর্বাভাস মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ওয়াই মো. কামাল, প্যাসিফিক কেমিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ফোকাস ফ্যাশন লিমিটেডের পরিচালক নাজমা ইসলাম এবং মেসার্স উম্মে খান, ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে এ জে খান।
No comments