সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে-অ্যামনেস্টির আহ্বান
গত ২৭ জুন হরতালের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছেন বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে অভিযোগ করেছে, তা নাকচ করার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা ও মন্ত্রীর কথায় তার সত্যতা পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হ রতাল আহ্বানকারী—দুই পক্ষই বাড়াবাড়ি করেছে। হরতালের আগের রাতে বিরোধী দলের কর্মীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে ফারুক নামের এক ট্যাক্সিচালক মারা যান। অন্যদিকে বিএনপি নেতার বাড়িসহ কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় একজন সাংসদসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। সে ক্ষেত্রে হরতালকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষই যে বাড়াবাড়ি করেছে, তাতে সন্দেহ নেই। র্যাব দাবি করেছে, বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসের বাড়ি থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
যারা আইন হাতে তুলে নেবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। কিন্তু তাই বলে অশীতিপর বৃদ্ধার গায়ে হাত দেওয়ার মতো কাজ তারা করতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি তথা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বরাবরই ছিল। সাম্প্রতিক কালে তাদের বেপরোয়া আচরণ জনমনে নানা প্রশ্ন ও শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাজধানীতে পুলিশি হেফাজতে বা বন্দুকযুদ্ধে তিনজনের মৃত্যুর খবরও উদ্বেগজনক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মির্জা আব্বাসের বাড়ির ঘটনা তদন্তের যে দাবি জানিয়েছে, তা অযৌক্তিক নয়। সেই সঙ্গে হরতালের আগের রাতে গাড়িতে আগুন দেওয়া এবং সাংসদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনাও তদন্ত করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যেমন জনজীবনকে জিম্মি করা ঠিক নয়, তেমনি তা প্রতিহত করার নামে দমন-পীড়ন চলতে পারে না।
আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হতে হবে। সে ক্ষেত্রে জবরদস্তির সুযোগ নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হরতাল-অবরোধে সরকারের পরিবর্তন ঘটে না, বরং তা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়। এ কারণেই আমরা হরতাল-অবরোধ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কথা বলে আসছি। সংসদকে কার্যকর করা এবং সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ন্যূনতম কার্যসম্পর্ক থাকাও জরুরি।
সরকারি দলের সবকিছু দখল করা কিংবা বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। সামনে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি। এ কর্মসূচি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, সে ব্যাপারে দলীয় নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে সংযত আচরণই কাম্য। কোনো পক্ষের বাড়াবাড়ি যেন ২৭ জুনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
যারা আইন হাতে তুলে নেবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। কিন্তু তাই বলে অশীতিপর বৃদ্ধার গায়ে হাত দেওয়ার মতো কাজ তারা করতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি তথা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বরাবরই ছিল। সাম্প্রতিক কালে তাদের বেপরোয়া আচরণ জনমনে নানা প্রশ্ন ও শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাজধানীতে পুলিশি হেফাজতে বা বন্দুকযুদ্ধে তিনজনের মৃত্যুর খবরও উদ্বেগজনক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মির্জা আব্বাসের বাড়ির ঘটনা তদন্তের যে দাবি জানিয়েছে, তা অযৌক্তিক নয়। সেই সঙ্গে হরতালের আগের রাতে গাড়িতে আগুন দেওয়া এবং সাংসদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনাও তদন্ত করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যেমন জনজীবনকে জিম্মি করা ঠিক নয়, তেমনি তা প্রতিহত করার নামে দমন-পীড়ন চলতে পারে না।
আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হতে হবে। সে ক্ষেত্রে জবরদস্তির সুযোগ নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হরতাল-অবরোধে সরকারের পরিবর্তন ঘটে না, বরং তা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়। এ কারণেই আমরা হরতাল-অবরোধ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কথা বলে আসছি। সংসদকে কার্যকর করা এবং সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ন্যূনতম কার্যসম্পর্ক থাকাও জরুরি।
সরকারি দলের সবকিছু দখল করা কিংবা বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। সামনে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি। এ কর্মসূচি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, সে ব্যাপারে দলীয় নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে সংযত আচরণই কাম্য। কোনো পক্ষের বাড়াবাড়ি যেন ২৭ জুনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
No comments