স্কুলের জমিতে মার্কেট বানানোর ‘সদ্ব্যবহার’ বন্ধ করুন-‘পরের জায়গা পরের জমি...’
জায়গাটি স্কুলের, কিন্তু তাতে বিএনপি করেছিল দলীয় কার্যালয় আর এখন আওয়ামী লীগ করেছে মার্কেট। মরমি গানের কথায়, ‘পরের জায়গা পরের জমি, ঘর বানাইয়া আমি রই/ আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।’ দেখেশুনে মনে হয়, মালিকানা কার সেটা বড় নয়, বড় হলো কে দখলে রাখতে পারে! দলিল বড় নয়,
দখলদারির প্রতিপত্তিই যে আসল কথা, সেটাই প্রমাণ করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের কাজীরবেড়ের আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কাশেম।
নেতার দখলের কৌশলটিও উঠতি দখলদারদের জন্য শিক্ষণীয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময় স্থানীয় বিএনপি কাজীরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় দলীয় অফিস করলে আওয়ামী লীগের এক নেতা তার প্রতিবাদ করেন। কিন্তু এখন তো দিন বদল হয়েছে। এখন তাঁর দলের সরকার ক্ষমতায়। অতএব, তিনি মার্কেট বানিয়ে জায়গাটির ‘সদ্ব্যবহার’ করলেন। বিএনপির কর্মীরা সে সময় এই অফিসে সারাক্ষণ গানবাজনা চালিয়ে শিশুদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটাতেন, আর এখন আওয়ামী লীগের নেতা সেখানে মার্কেট বানিয়ে বিত্তের কারবারের কাছে বিদ্যার পরিবেশকে বলি বানিয়েছেন। কেউ কারও থেকে কম যাননি! কিন্তু সরকারি ওই বিদ্যালয়টির কী হবে? কী হবে তার ছাত্রছাত্রীদের। সরকারি জমি চাইলেই সবার সামনে দলীয় ক্ষমতায় আত্মসাৎ করা যায়? একসময় জনপ্রতিনিধিরা স্কুল, কলেজ, মসজিদ প্রভৃতির জন্য জমি ও সম্পদ দান করতেন, কিন্তু এখন উল্টোটা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরাই বরং এজমালি সম্পত্তি বা সরকারি জমি দখল করে সর্বনাশের ষোলকলা পূর্ণ করছেন।
এই ধারার অপরাধ সারা দেশেই হয়ে চলেছে। ছোট দখল থেকে বড় দখল—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বন-নদী-অরণ্য, হাট-বাজার-মাঠ, পদ ও প্রতিষ্ঠান—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এবং সেই সব দখল কীভাবে দলের পর দল, সরকারের পর সরকারের আমলে চলতেই থাকে, বিএনপির অফিস করা আর আওয়ামী লীগের মার্কেট করা তারই উদাহরণ। দখলের এই চাপে জনস্বার্থ, জাতীয় স্বার্থ কোণঠাসা অবস্থায়, ঠিক যেমন দখলের মার্কেটের চাপে কোণঠাসা হয়ে চলছে কাজীরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এভাবে চলতে পারে না। আশা করি, সরকার শিগগিরই ঝিনাইদহের কাজীরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার করবে এবং দখলদারকে শাস্তি দেবে।
নেতার দখলের কৌশলটিও উঠতি দখলদারদের জন্য শিক্ষণীয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময় স্থানীয় বিএনপি কাজীরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় দলীয় অফিস করলে আওয়ামী লীগের এক নেতা তার প্রতিবাদ করেন। কিন্তু এখন তো দিন বদল হয়েছে। এখন তাঁর দলের সরকার ক্ষমতায়। অতএব, তিনি মার্কেট বানিয়ে জায়গাটির ‘সদ্ব্যবহার’ করলেন। বিএনপির কর্মীরা সে সময় এই অফিসে সারাক্ষণ গানবাজনা চালিয়ে শিশুদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটাতেন, আর এখন আওয়ামী লীগের নেতা সেখানে মার্কেট বানিয়ে বিত্তের কারবারের কাছে বিদ্যার পরিবেশকে বলি বানিয়েছেন। কেউ কারও থেকে কম যাননি! কিন্তু সরকারি ওই বিদ্যালয়টির কী হবে? কী হবে তার ছাত্রছাত্রীদের। সরকারি জমি চাইলেই সবার সামনে দলীয় ক্ষমতায় আত্মসাৎ করা যায়? একসময় জনপ্রতিনিধিরা স্কুল, কলেজ, মসজিদ প্রভৃতির জন্য জমি ও সম্পদ দান করতেন, কিন্তু এখন উল্টোটা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরাই বরং এজমালি সম্পত্তি বা সরকারি জমি দখল করে সর্বনাশের ষোলকলা পূর্ণ করছেন।
এই ধারার অপরাধ সারা দেশেই হয়ে চলেছে। ছোট দখল থেকে বড় দখল—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বন-নদী-অরণ্য, হাট-বাজার-মাঠ, পদ ও প্রতিষ্ঠান—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এবং সেই সব দখল কীভাবে দলের পর দল, সরকারের পর সরকারের আমলে চলতেই থাকে, বিএনপির অফিস করা আর আওয়ামী লীগের মার্কেট করা তারই উদাহরণ। দখলের এই চাপে জনস্বার্থ, জাতীয় স্বার্থ কোণঠাসা অবস্থায়, ঠিক যেমন দখলের মার্কেটের চাপে কোণঠাসা হয়ে চলছে কাজীরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এভাবে চলতে পারে না। আশা করি, সরকার শিগগিরই ঝিনাইদহের কাজীরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার করবে এবং দখলদারকে শাস্তি দেবে।
No comments