মহেশখালীতে বন্দুকযুদ্ধ অস্ত্রসহ আটক ১
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে: কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে ২ সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে ৩ ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে। উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার হোয়ানকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় জনতা এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এলাকাবাসীরা জানায়, মহেশখালীর হোয়ানকের পাহাড়ি এলাকায় দু’টি সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে গতকাল সকাল ৭টায় বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলা এ বন্দুকযুদ্ধে শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় পাহাড়ে পানের বরজের ভেতর এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এক পক্ষ। এ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে গতকাল সকালে স্থানীয় জুনাব আলী বাহিনী ও জালাল বাহিনীর ক্যাডাররা পূর্বঘোষণা দিয়ে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। উভয়পক্ষে অর্ধশতাধিক ক্যাডার দেশীয় বন্দুক নিয়ে গোলাগুলিতে অংশ নেয়। এ সময় কাঁঠালতলী ও কালাগাজির পাড়ার দু’পক্ষের নিয়ন্ত্রিত দু’টি এলাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ চলে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতরা বহু মামলার আসামি হওয়ায় চকরিয়া ও চট্টগ্রামে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে এলাকার পাহাড়ে অবস্থিত বহু পানের বরজ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনতা জুনাব আলী বাহিনীর প্রধান জুনাব আলীর ভাই গোলাম কুদ্দুছের ছেলে রবি উল্লাহ (১৮)কে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় একটি কাটারাইফেল ও ২ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, প্রায় ৩ মাস আগে একই স্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মহেশখালী থানার এসআই পরেশ কুমার কারবারী নিহত হন। হোয়ানকে ২ সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে এসআই পরেশ হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
No comments