পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে by একরামুল হক
পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের কাউন্সেলিং (পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা) করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে কাউন্সেলিং করিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে প্রায় পাঁচ হাজার সদস্যকে কাউন্সেলিংয়ের আওতায় আনা হবে।
প্রথম আলোর তিন ফটোসাংবাদিককে নির্যাতন, ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণে এক নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং তাঁর মা-বাবা ও সাংবাদিক-আইনজীবীদের মারধর, গাজীপুরে আসামি ধরে সন্ত্রাসীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে হত্যার মতো ঘটনার পর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে চট্টগ্রামে এই কর্মসূচি শুরু হলো। কর্মকর্তারা বলছেন, গুটিকয়েক পুলিশ সদস্যের বিতর্কিত কাজ গোটা বাহিনীর ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত বুধবার সদর দপ্তর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে সদস্যদের কাউন্সেলিং করানোর ব্যাপারে মৌখিক নির্দেশনা আসে। কাউন্সেলিংয়ে কারণে-অকারণে কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ না করা, কাউকে মারধর না করা, কোনো নাগরিক আইন অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, দায়িত্ব পালনের সময় সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ কোনো নাগরিককে মারধর করতে পারে না। করা উচিত নয়। কোনো নাগরিক আইন অমান্য করলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেবল আইনি ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের সময়ে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। প্রশিক্ষণের সময় এটা তাঁদের শেখানো হয়েছে। কার্যক্ষেত্রে সেটার প্রয়োগ চাই আমরা।’ তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ করা উচিত হবে না, যে আচরণ অন্য কেউ করলে সংশ্লিষ্ট সেই পুলিশ সদস্য কষ্ট পাবেন। কোনো একজনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড গোটা বাহিনীর ওপর এসে পড়ে। তাই কেউ বিতর্কিত কাজ করলে সহকর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে বিরত রাখতে ভূমিকা রাখবেন।
উপপুলিশ কমিশনার (সদর) বনজ কুমার গতকাল তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনে কাউন্সেলিং করান। এতে তিনি সাংবাদিকসহ কোনো নাগরিকের সঙ্গে অসদাচরণ করা থেকে বিরত থাকতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন। তিনি সদস্যদের বলেন, মাঠে-ময়দানে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা একসঙ্গে কাজ করবেন। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সবাই কাজ করবেন। কোনো অবস্থাতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ বা মারধরের মতো কাজ করা যাবে না। এটা মেনে নেওয়া হবে না। শুধু সাংবাদিক নয়, কোনো নাগরিকের সঙ্গে এমন আচরণ করা যাবে না।
জানতে চাইলে বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমরা তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে কাউন্সেলিং করিয়েছি। পর্যায়ক্রমে নগর পুলিশের পাঁচ হাজারের বেশি সদস্যকে কাউন্সেলিং করানো হবে। সপ্তাহজুড়ে এটা চলবে, যাতে চিন্তায় ও মননে আমাদের সদস্যরা উন্নত ও মানবিক থাকে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার পৌনে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত দামপাড়া পুলিশ লাইনে তিন শতাধিক সদস্যকে কাউন্সেলিং করানো হয়। এঁরা হাবিলদার, সুবেদার ও কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য।
কাউন্সেলিংয়ে উপপুলিশ কমিশনার (সদর) বনজ কুমার মজুমদার তাঁদের বোঝান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ সদস্যদের। কোনো অঘটন ঘটলে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাবেন। ওই উত্তেজনাকর সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি বা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া কাম্য হতে পারে না। যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের ধৈর্য ধারণ করে থাকতে হবে। সাংবাদিকেরাও এর মধ্যে ছবি তুলবেন কিংবা সংবাদ সংগ্রহ করবেন। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। পুলিশ সদস্যদের সাংবাদিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
কাউন্সেলিংয়ে পুলিশ সদস্যদের বলা হয়, কোনো আসামি বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি ধরা পড়লে তার গায়ে হাত তোলা যাবে না। এটা করা অমানবিক ও নিন্দনীয়। কোনো পুলিশ সদস্য আসামি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন। ধরার পর আসামির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।
কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত বড়ুয়া বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে সাংবাদিক-পুলিশকে সমন্বয় করে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন স্যাররা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের যেমন কর্তব্য, তেমনি সংবাদ সংগ্রহ করে জাতির কাছে তুলে ধরা সাংবাদিকদের কর্তব্য। সবাই সমন্বয় করে যেন কাজ করতে পারি, সে ব্যাপারে আমাদের কাউন্সেলিং করানো হয়েছে।’
কনস্টেবল হাবিবউল্লাহ বলেন, ‘পেশাগতজীবনে ধৈর্য ধারণ করে কাজ করতে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এ কারণে আজ সকালে (গতকাল) বড় স্যাররা আমাদের কাউন্সেলিং করিয়েছেন, যাতে সাংবাদিকসহ নাগরিকের সঙ্গে আমরা ভালো আচরণ করি।’ তিনি বলেন, ‘এই কাউন্সেলিং আমাদের পেশাগত জীবনে কাজে লাগবে।’
পুলিশ সূত্র জানায়, গত বুধবার সদর দপ্তর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে সদস্যদের কাউন্সেলিং করানোর ব্যাপারে মৌখিক নির্দেশনা আসে। কাউন্সেলিংয়ে কারণে-অকারণে কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ না করা, কাউকে মারধর না করা, কোনো নাগরিক আইন অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, দায়িত্ব পালনের সময় সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ কোনো নাগরিককে মারধর করতে পারে না। করা উচিত নয়। কোনো নাগরিক আইন অমান্য করলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেবল আইনি ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের সময়ে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। প্রশিক্ষণের সময় এটা তাঁদের শেখানো হয়েছে। কার্যক্ষেত্রে সেটার প্রয়োগ চাই আমরা।’ তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ করা উচিত হবে না, যে আচরণ অন্য কেউ করলে সংশ্লিষ্ট সেই পুলিশ সদস্য কষ্ট পাবেন। কোনো একজনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড গোটা বাহিনীর ওপর এসে পড়ে। তাই কেউ বিতর্কিত কাজ করলে সহকর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে বিরত রাখতে ভূমিকা রাখবেন।
উপপুলিশ কমিশনার (সদর) বনজ কুমার গতকাল তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনে কাউন্সেলিং করান। এতে তিনি সাংবাদিকসহ কোনো নাগরিকের সঙ্গে অসদাচরণ করা থেকে বিরত থাকতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন। তিনি সদস্যদের বলেন, মাঠে-ময়দানে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা একসঙ্গে কাজ করবেন। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সবাই কাজ করবেন। কোনো অবস্থাতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ বা মারধরের মতো কাজ করা যাবে না। এটা মেনে নেওয়া হবে না। শুধু সাংবাদিক নয়, কোনো নাগরিকের সঙ্গে এমন আচরণ করা যাবে না।
জানতে চাইলে বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমরা তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে কাউন্সেলিং করিয়েছি। পর্যায়ক্রমে নগর পুলিশের পাঁচ হাজারের বেশি সদস্যকে কাউন্সেলিং করানো হবে। সপ্তাহজুড়ে এটা চলবে, যাতে চিন্তায় ও মননে আমাদের সদস্যরা উন্নত ও মানবিক থাকে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার পৌনে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত দামপাড়া পুলিশ লাইনে তিন শতাধিক সদস্যকে কাউন্সেলিং করানো হয়। এঁরা হাবিলদার, সুবেদার ও কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য।
কাউন্সেলিংয়ে উপপুলিশ কমিশনার (সদর) বনজ কুমার মজুমদার তাঁদের বোঝান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ সদস্যদের। কোনো অঘটন ঘটলে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাবেন। ওই উত্তেজনাকর সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি বা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া কাম্য হতে পারে না। যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের ধৈর্য ধারণ করে থাকতে হবে। সাংবাদিকেরাও এর মধ্যে ছবি তুলবেন কিংবা সংবাদ সংগ্রহ করবেন। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। পুলিশ সদস্যদের সাংবাদিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
কাউন্সেলিংয়ে পুলিশ সদস্যদের বলা হয়, কোনো আসামি বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি ধরা পড়লে তার গায়ে হাত তোলা যাবে না। এটা করা অমানবিক ও নিন্দনীয়। কোনো পুলিশ সদস্য আসামি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন। ধরার পর আসামির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।
কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত বড়ুয়া বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে সাংবাদিক-পুলিশকে সমন্বয় করে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন স্যাররা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের যেমন কর্তব্য, তেমনি সংবাদ সংগ্রহ করে জাতির কাছে তুলে ধরা সাংবাদিকদের কর্তব্য। সবাই সমন্বয় করে যেন কাজ করতে পারি, সে ব্যাপারে আমাদের কাউন্সেলিং করানো হয়েছে।’
কনস্টেবল হাবিবউল্লাহ বলেন, ‘পেশাগতজীবনে ধৈর্য ধারণ করে কাজ করতে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এ কারণে আজ সকালে (গতকাল) বড় স্যাররা আমাদের কাউন্সেলিং করিয়েছেন, যাতে সাংবাদিকসহ নাগরিকের সঙ্গে আমরা ভালো আচরণ করি।’ তিনি বলেন, ‘এই কাউন্সেলিং আমাদের পেশাগত জীবনে কাজে লাগবে।’
No comments