মুক্তিপণ মিলেনি, তাই শিশু হত্যা
৫ম শ্রেণীর ছাত্র অনন্ত চক্রবর্তী অন্তু অপহরণের পর দাবি ছিল ৫লাখ টাকার। অন্তুর পিতা অশোক চক্রবর্তীর কাছে মোবাইল ফোনে এই দাবি জানানো হয়। তবে খুব বেশি সময়ও বেধে দেয়া হয়নি। রাতের মধ্যে টাকা চাওয়া হয়। বলা হয়, পুলিশে জানানো যাবে না। কিন্তু বাবা খবর দেয় পুলিশ-র্যাবে। অপহরণকারীরা জেনে যায় সেকথা। পুলিশ যখন রাতে তিন অপহরণকারীকে আটক করে, তখন তাদেরই স্বীকারোক্তিতে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু অন্তুর বস্তাবন্দী লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোর সদর উপজেলার হালসা বাজারে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হালসা গ্রামের অন্তু চক্রবর্তী বাড়ির পাশের বাজারে যায়। এসময় অপহরণকারীরা তাকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। অন্তুর পিতা অশোক চক্রবর্তী জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে ০১৭৪৭-৪৭৮৫১৩ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে কল করে জানানো হয়- তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এসময় তারা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাতেই র্যাব-৫ এর সদস্যরা হালসা গ্রামের মামুন, আশরাফ ও শাজাহান নামে তিন অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হালসা মাদ্রাসার পাশে পুকুর থেকে ওই ছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
No comments