জরিমানাতেই নিষ্পত্তি!-ধর্ষণের বিচার
মাদারীপুরের কালকিনিতে ১২ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের বিচার করা হয়েছে এক সালিস বৈঠকে। স্থানীয় মাতবরেরা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত যুবককে জরিমানা করেছেন ৩০ হাজার টাকা। কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে ঠিক করে দিলেন এক কিশোরীর শরীর ও তার লাঞ্ছনার মূল্য! রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে এমন বিচার নিষিদ্ধ।
তা সত্ত্বেও কেমন করে একের পর এক এমন ঘটনা ঘটে চলে?
ধর্ষণের মতো অপরাধ দমনের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইন-আদালতের কোনো প্রয়োজন মনে করেননি, তাই তাঁদের বাধায় মামলা করতে পারেনি কিশোরীর পরিবার। সালিসের নামে অপরাধীকে লঘু দণ্ড দিয়ে রেহাই দেওয়ার জন্য এমন ব্যবস্থা আমরা আগেও দেখেছি। এ ক্ষেত্রে অপরাধীকে রক্ষা করার জন্য ভূমিকা নেওয়ায় সালিস-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও অপরাধী।
সাধারণত সামাজিক বিরোধ-মীমাংসায় সালিসের ভূমিকা স্বীকৃত হলেও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বেলায় সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা ন্যায্য হয় না। ধর্ষণ এমন এক গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনানুযায়ী যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ রকম গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে অবশ্যই মামলা হওয়া উচিত। অপরাধের তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া হতে হয় দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে। বিচারের একমাত্র আইনসিদ্ধ স্থান হচ্ছে আদালত। গ্রামের কিছু লোক একত্র হয়ে সালিস বসিয়ে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের প্রতিকার করতে পারেন না, এ রকম করার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণ সালিসের এখতিয়ার-বহির্ভূত একটি অতি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ।
২০০৯ সালের আগস্টে হাইকোর্ট সালিসের এখতিয়ার-বহির্ভূত অপরাধের ক্ষেত্রে সালিস বসানোর বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও দেশের আনাচকানাচে সালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের মতো অপরাধের নিষ্পত্তির ধারা বন্ধ হয়নি। কালকিনির এই ঘটনা তার একটি সর্বসাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত। সেখানে কিশোরী ধর্ষণের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ক্ষেত্রে নীরব থাকার কোনো সুযোগ নেই।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে অবশেষে মামলা করেছে। আমরা আশা করি, পুলিশ অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করবে। সালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের বিচারের নামে ধর্ষণের শিকার মেয়েদের পৌনঃপুনিক অবমাননা অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার।
ধর্ষণের মতো অপরাধ দমনের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইন-আদালতের কোনো প্রয়োজন মনে করেননি, তাই তাঁদের বাধায় মামলা করতে পারেনি কিশোরীর পরিবার। সালিসের নামে অপরাধীকে লঘু দণ্ড দিয়ে রেহাই দেওয়ার জন্য এমন ব্যবস্থা আমরা আগেও দেখেছি। এ ক্ষেত্রে অপরাধীকে রক্ষা করার জন্য ভূমিকা নেওয়ায় সালিস-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও অপরাধী।
সাধারণত সামাজিক বিরোধ-মীমাংসায় সালিসের ভূমিকা স্বীকৃত হলেও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বেলায় সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা ন্যায্য হয় না। ধর্ষণ এমন এক গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনানুযায়ী যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ রকম গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে অবশ্যই মামলা হওয়া উচিত। অপরাধের তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া হতে হয় দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে। বিচারের একমাত্র আইনসিদ্ধ স্থান হচ্ছে আদালত। গ্রামের কিছু লোক একত্র হয়ে সালিস বসিয়ে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের প্রতিকার করতে পারেন না, এ রকম করার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণ সালিসের এখতিয়ার-বহির্ভূত একটি অতি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ।
২০০৯ সালের আগস্টে হাইকোর্ট সালিসের এখতিয়ার-বহির্ভূত অপরাধের ক্ষেত্রে সালিস বসানোর বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও দেশের আনাচকানাচে সালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের মতো অপরাধের নিষ্পত্তির ধারা বন্ধ হয়নি। কালকিনির এই ঘটনা তার একটি সর্বসাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত। সেখানে কিশোরী ধর্ষণের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ক্ষেত্রে নীরব থাকার কোনো সুযোগ নেই।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে অবশেষে মামলা করেছে। আমরা আশা করি, পুলিশ অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করবে। সালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের বিচারের নামে ধর্ষণের শিকার মেয়েদের পৌনঃপুনিক অবমাননা অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার।
No comments