আন্তর্জাতিক মুদ্রণ শিল্প বাজারে বসুন্ধরা-ফিলিপাইনের পাঠ্যপুস্তক ছাপল ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া প্রেস
ফিলিপাইনের স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীদের অনেকে ঝকঝকে যে নতুন পাঠ্যপুস্তক পড়বে তা বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের ছাপানো। বইগুলোর কাগজও বসুন্ধরার। ফিলিপাইন শিক্ষা বোর্ডের জন্য ছাপানো প্রায় এক লাখ বইয়ের প্রথম চালানটি গতকাল হস্তান্তর করেছে বসুন্ধরা।
বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের এটাই প্রথম অন্য দেশের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ। এর মাধ্যমে বসুন্ধরার মুদ্রণ শিল্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখল।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ এই কার্যাদেশ পায় সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এলকেম কম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে। আউটসোর্সিংয়ের লক্ষ্যে বসুন্ধরার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডকে এ কাজ দেয় কম্পানিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের ছাপাখানায় এলকেম কম্পানির কাছে বইয়ের প্রথম চালান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের প্রেস ইউনিট প্রধান লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের নিজস্ব ছাপাখানায় মুদ্রণ করা হয়েছে ফিলিপাইন শিক্ষা বোর্ডের এ পাঠ্যপুস্তক। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৯৮ হাজার ৪০০ বই ছাপিয়ে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে উন্নত বিশ্বে দিন দিন বাংলাদেশের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর কাজ করিয়ে থাকে। এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের কাজের মান উন্নত বিশ্বের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ভবিষ্যতে আমরা সরাসরি এ ধরনের কাজের সুযোগ পাব বলে বিশ্বাস করি।'
প্রসঙ্গত, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড এ বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পাঠ্য বই ছাপানোরও দায়িত্ব পেয়েছে। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করছে স্বনামধন্য এই মিডিয়া গ্রুপ।
মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ অন্য দেশের সরকারি পাঠ্য বই ছাপানোর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করলেও বাংলাদেশ সরকার নিজেরাই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক ছাপিয়ে আনে। এতে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন দেশীয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বহুদিন ধরেই এ খাতে সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছে। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হওয়া সত্ত্বেও মুদ্রণ শিল্প সব সময়ই উপেক্ষিত থেকেছে। বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে বা নামমাত্র মূল্যে বই ও মুদ্রণসামগ্রী আমদানির ফলে দেশীয় কাগজ শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, 'ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার বিপুল ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক ছাপাখানা রয়েছে। দেশের এবং দেশের বাইরের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের যেকোনো পরিমাণ বই ছাপানোর ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। এ কারণেই এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার চুক্তি থাকলেও আমরা মাত্র ২০ দিনের মাথায় চালান হস্তান্তর করছি।' তিনি জানান, দেশের মুদ্রণ শিল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার ছাপাখানায় নিয়োজিত। এ ছাপাখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড বহুদিন ধরেই বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বাজারজাত করছে। বাজারে বসুন্ধরা নোট বুক, এক্সারসাইজ বুকসহ বিভিন্ন উপকরণের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে এসব পণ্য শিগগিরই বিদেশে রপ্তানি করার আশা করছে বসুন্ধরা।
ফিলিপাইনের গ্রেড-১, ২ ও ৩-এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বসুন্ধরায় ছাপানো বইয়ে ব্যবহার করা উন্নতমানের কাগজ এসেছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড থেকে। এ প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে কাগজ ও কাগজজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ এই কার্যাদেশ পায় সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এলকেম কম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে। আউটসোর্সিংয়ের লক্ষ্যে বসুন্ধরার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডকে এ কাজ দেয় কম্পানিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের ছাপাখানায় এলকেম কম্পানির কাছে বইয়ের প্রথম চালান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের প্রেস ইউনিট প্রধান লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের নিজস্ব ছাপাখানায় মুদ্রণ করা হয়েছে ফিলিপাইন শিক্ষা বোর্ডের এ পাঠ্যপুস্তক। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৯৮ হাজার ৪০০ বই ছাপিয়ে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে উন্নত বিশ্বে দিন দিন বাংলাদেশের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর কাজ করিয়ে থাকে। এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের কাজের মান উন্নত বিশ্বের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ভবিষ্যতে আমরা সরাসরি এ ধরনের কাজের সুযোগ পাব বলে বিশ্বাস করি।'
প্রসঙ্গত, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড এ বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পাঠ্য বই ছাপানোরও দায়িত্ব পেয়েছে। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করছে স্বনামধন্য এই মিডিয়া গ্রুপ।
মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ অন্য দেশের সরকারি পাঠ্য বই ছাপানোর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করলেও বাংলাদেশ সরকার নিজেরাই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক ছাপিয়ে আনে। এতে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন দেশীয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বহুদিন ধরেই এ খাতে সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছে। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হওয়া সত্ত্বেও মুদ্রণ শিল্প সব সময়ই উপেক্ষিত থেকেছে। বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে বা নামমাত্র মূল্যে বই ও মুদ্রণসামগ্রী আমদানির ফলে দেশীয় কাগজ শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, 'ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার বিপুল ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক ছাপাখানা রয়েছে। দেশের এবং দেশের বাইরের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের যেকোনো পরিমাণ বই ছাপানোর ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। এ কারণেই এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার চুক্তি থাকলেও আমরা মাত্র ২০ দিনের মাথায় চালান হস্তান্তর করছি।' তিনি জানান, দেশের মুদ্রণ শিল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার ছাপাখানায় নিয়োজিত। এ ছাপাখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড বহুদিন ধরেই বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বাজারজাত করছে। বাজারে বসুন্ধরা নোট বুক, এক্সারসাইজ বুকসহ বিভিন্ন উপকরণের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে এসব পণ্য শিগগিরই বিদেশে রপ্তানি করার আশা করছে বসুন্ধরা।
ফিলিপাইনের গ্রেড-১, ২ ও ৩-এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বসুন্ধরায় ছাপানো বইয়ে ব্যবহার করা উন্নতমানের কাগজ এসেছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড থেকে। এ প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে কাগজ ও কাগজজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
No comments