নতুন মিশন খোলার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই by আশরাফুল হক রাজীব ও মেহেদী হাসান
লেবাননে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত বাংলাদেশির সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। এঁদের অধিকাংশই নারী। অথচ সেখানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। ফলে প্রবাসীরা সেখানে দ্রুত কনস্যুলার সেবা পাচ্ছেন না। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করে সেখানে দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এরপর আর কোনো অগ্রগতি নেই।
একই অবস্থা মেক্সিকো, মরিশাস, পর্তুগালে নতুন মিশন খোলার ক্ষেত্রেও।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অ্যাগ্রিমো চূড়ান্ত করার মতো বিষয় থাকায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগপ্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। তবে অন্য পদগুলোতে নিয়োগ দিয়ে মিশনের কার্যক্রম শুরু করা যায়; কিন্তু তাও হচ্ছে না।
জনপ্রশাসন সচিব আবদুস সোবহান শিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের আটটি নতুন দূতাবাস, উপ-দূতাবাস, কনস্যুলেট স্থাপনসহ একটি ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনে উন্নীত করার বিষয়টি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। এসব অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় পদ সৃজন, যানবাহন ও অফিস সরঞ্জামাদির বিষয়ও অনুমোদন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০ সালের জুলাই মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন দূতাবাস/কনস্যুলেট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে বিশ্ব প্রেক্ষাপটের ব্যাপক পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন-পরিবর্ধন জরুরি হয়ে পড়েছে। এরই আলোকে রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, প্রবাসী কল্যাণসহ দেশের বহুমাত্রিক স্বার্থ বিবেচনায় বহির্বিশ্বে নতুন মিশন খোলা ও আগে সচল অথচ বর্তমানে বন্ধ কয়েকটি মিশন পুনরায় খোলা প্রয়োজন।
ওই চিঠিতেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল, সিয়েরালিয়নের রাজধানী ফ্রিটাউন ও সুদানের রাজধানী খার্তুমে মিশন খোলার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ওই তিনটি মিশনের কার্যক্রম প্রথম সচিব/কাউন্সিলর পদমর্যাদার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পদায়নের মাধ্যমে শুরু করে পরে মিশনপ্রধান পাঠানো যেতে পারে। কিন্তু সুপারিশ পাঠানোর পর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ওই তিনটি মিশনের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
জানা গেছে, চিঠিতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস, ইতালির মিলানে কনস্যুলেট খোলার কথা ছাড়াও নাইজেরিয়ার আবুজা, পর্তুগালের লিসবন, মরিশাসের পোর্ট লুইস, লেবাননের বৈরুত, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (পুনঃস্থাপন), ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া (পুনঃস্থাপন), চীনের কুনমিং, পোল্যান্ডের ওয়ারশ (পুনঃস্থাপন), রুমানিয়ার বুখারেস্ট (পুনঃস্থাপন), মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে নতুন মিশন খোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হয়।
এরপর ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কূটনৈতিক ও কনস্যুলার উপস্থিতি জোরদারের লক্ষ্যে ভারতের মুম্বাই ও চেন্নাইতে উপকমিশন ও গৌহাটিতে সহকারী কমিশন স্থাপন এবং আগরতলার ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেট জেনারেল অফিস স্থাপনেরও প্রস্তাব দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের এপ্রিল মাসে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ব্রাসিলিয়া ও বুখারেস্টে দূতাবাস পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে ৩১টি পদ রাজস্ব খাতে সৃজন সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করে। সর্বশেষ গত ৮ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে মেক্সিকো সিটি, পোর্ট লুইস, বৈরুত, কুনমিং, লিসবন, ইস্তাম্বুল, মুম্বাই ও ব্রাসিলিয়ায় মোট ৯টি নতুন মিশন/হাইকমিশন/উপদূতাবাস/কনস্যুলেট অফিসের জন্য স্বদেশভিত্তিক ৩৭টি ও স্থানীয়ভাবে ৩৪টি পদ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত এপ্রিলে ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেট জেনারেল চালু হয়েছে। অপর যে মিশনগুলো চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, নতুন যে মিশনগুলো খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো এ দেশের ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর এখন ওই মিশনগুলো চালু করা যায়। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে 'এগ্রিমো' চূড়ান্ত করতে হয়, যা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু সে প্রক্রিয়াও শুরুর লক্ষণ নেই। রাষ্ট্রদূত নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে মিশনের জন্য ভবন ভাড়া নিয়ে হলেও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নিয়োগ করেই কার্যক্রম শুরু করা যায়। এটি করতে যত দেরি হবে মিশন কার্যক্রম শুরু ততই পিছিয়ে যাবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অ্যাগ্রিমো চূড়ান্ত করার মতো বিষয় থাকায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগপ্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। তবে অন্য পদগুলোতে নিয়োগ দিয়ে মিশনের কার্যক্রম শুরু করা যায়; কিন্তু তাও হচ্ছে না।
জনপ্রশাসন সচিব আবদুস সোবহান শিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের আটটি নতুন দূতাবাস, উপ-দূতাবাস, কনস্যুলেট স্থাপনসহ একটি ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনে উন্নীত করার বিষয়টি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। এসব অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় পদ সৃজন, যানবাহন ও অফিস সরঞ্জামাদির বিষয়ও অনুমোদন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০ সালের জুলাই মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন দূতাবাস/কনস্যুলেট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে বিশ্ব প্রেক্ষাপটের ব্যাপক পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন-পরিবর্ধন জরুরি হয়ে পড়েছে। এরই আলোকে রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, প্রবাসী কল্যাণসহ দেশের বহুমাত্রিক স্বার্থ বিবেচনায় বহির্বিশ্বে নতুন মিশন খোলা ও আগে সচল অথচ বর্তমানে বন্ধ কয়েকটি মিশন পুনরায় খোলা প্রয়োজন।
ওই চিঠিতেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল, সিয়েরালিয়নের রাজধানী ফ্রিটাউন ও সুদানের রাজধানী খার্তুমে মিশন খোলার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ওই তিনটি মিশনের কার্যক্রম প্রথম সচিব/কাউন্সিলর পদমর্যাদার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পদায়নের মাধ্যমে শুরু করে পরে মিশনপ্রধান পাঠানো যেতে পারে। কিন্তু সুপারিশ পাঠানোর পর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ওই তিনটি মিশনের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
জানা গেছে, চিঠিতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস, ইতালির মিলানে কনস্যুলেট খোলার কথা ছাড়াও নাইজেরিয়ার আবুজা, পর্তুগালের লিসবন, মরিশাসের পোর্ট লুইস, লেবাননের বৈরুত, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (পুনঃস্থাপন), ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া (পুনঃস্থাপন), চীনের কুনমিং, পোল্যান্ডের ওয়ারশ (পুনঃস্থাপন), রুমানিয়ার বুখারেস্ট (পুনঃস্থাপন), মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে নতুন মিশন খোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হয়।
এরপর ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কূটনৈতিক ও কনস্যুলার উপস্থিতি জোরদারের লক্ষ্যে ভারতের মুম্বাই ও চেন্নাইতে উপকমিশন ও গৌহাটিতে সহকারী কমিশন স্থাপন এবং আগরতলার ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেট জেনারেল অফিস স্থাপনেরও প্রস্তাব দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের এপ্রিল মাসে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ব্রাসিলিয়া ও বুখারেস্টে দূতাবাস পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে ৩১টি পদ রাজস্ব খাতে সৃজন সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করে। সর্বশেষ গত ৮ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে মেক্সিকো সিটি, পোর্ট লুইস, বৈরুত, কুনমিং, লিসবন, ইস্তাম্বুল, মুম্বাই ও ব্রাসিলিয়ায় মোট ৯টি নতুন মিশন/হাইকমিশন/উপদূতাবাস/কনস্যুলেট অফিসের জন্য স্বদেশভিত্তিক ৩৭টি ও স্থানীয়ভাবে ৩৪টি পদ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত এপ্রিলে ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেট জেনারেল চালু হয়েছে। অপর যে মিশনগুলো চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, নতুন যে মিশনগুলো খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো এ দেশের ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর এখন ওই মিশনগুলো চালু করা যায়। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে 'এগ্রিমো' চূড়ান্ত করতে হয়, যা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু সে প্রক্রিয়াও শুরুর লক্ষণ নেই। রাষ্ট্রদূত নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে মিশনের জন্য ভবন ভাড়া নিয়ে হলেও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নিয়োগ করেই কার্যক্রম শুরু করা যায়। এটি করতে যত দেরি হবে মিশন কার্যক্রম শুরু ততই পিছিয়ে যাবে।
No comments