সড়ক ভবনে গুলি-দুই কর্মচারী বরখাস্ত

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অফিস সহকারী ও শ্রমিক লীগ নেতা কামাল উদ্দিন খন্দকার এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ফজলুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সড়ক ভবনে গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।


গতকাল সোমবার তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
সড়ক ভবনে গত মঙ্গলবার গোলাগুলির ঘটনা তদন্তে ওই দিনই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ আলী। তিনি গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তদন্তকাজ দ্রুতই শেষ হবে। কামালকে চাকরিচ্যুত করার ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসিও সুপারিশ করেছিলেন।'
জানা গেছে, অফিস সহকারী ও শ্রমিক লীগ নেতা কামাল উদ্দিন খন্দকার ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামীম শাহরিয়ার, যুবলীগ নেতা ফরিদ হোসেন সেন্টুসহ সরকারদলীয় কিছু নেতা-কর্মী সওজের কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্যের হোতা। অফিস স্থানান্তরিত করা হবে কি হবে না, তাও ঠিক করছেন এসব নেতা। নিজেদের সুবিধায় কোনো প্রতিবন্ধকতা আসলে ভয়ঙ্কর রূপ নেন তাঁরা। গত মঙ্গলবারের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কামাল উদ্দিনের স্বার্থহানি ও নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই। সড়ক ও জনপথের ঢাকা জোনাল অফিস স্থানান্তর, দরপত্র আহ্বানের কার্যক্রম সড়ক ভবনে রাখা, সড়ক ভবনে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস নিয়ন্ত্রণ এবং বাতিল হওয়া কাজের টাকার হিসাবের বিরোধ নিয়েই ওই গুলির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবারের গুলিবর্ষণের ঘটনায় ওই রাতেই শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার শেখ গোলাম আজম মামুন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় কামাল উদ্দিন খন্দকার (৪৭), ফজলুর রহমান (৪৫), মো. রফিক উদ্দিন (৩৩) ও আবুল কালাম আজাদসহ (৪৫) ১৮-২০ জন অচেনা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.