মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-মীর কাসেমের জামিনের আবেদন আদেশ আজ
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর জামিনের আবেদনের আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল সোমবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সকালে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই মীর কাসেমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত রোববার গ্রেপ্তারের পর গতকালই প্রথম তাঁকে এজলাসে তোলা হয়। জামায়াতের আটক নেতাদের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালের কাছে মীর কাসেমের পক্ষে মামলা পরিচালনার অনুমতি চান। অনুমতি পেয়ে তিনি ওকালতনামা দাখিল করেন। এরপর মীর কাসেমের জামিনের আবেদনের শুনানিতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ৬২ বছর বয়সী মীর কাসেম শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি কয়েকটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই তাঁর পালিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে গিয়ে এই ট্রাইব্যুনাল ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এনেছে, তা সত্য নয়। ২০১০ সালে তিনি মাত্র একবার বিদেশে গেছেন, এরপর আর বিদেশ যাননি। সাক্ষীদের চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগও সত্য নয়। এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ রাষ্ট্রপক্ষ দিতে পারবে না।
জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ আল মালুম বলেন, মীর কাসেম বাইরে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অসংখ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সাক্ষীরা তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন।
জেয়াদ আল মালুম আরও বলেন, মীর কাসেম জামায়াতের ‘খাজাঞ্চি’। জামায়াতের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি নিজেকে ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার থেকে জামায়াতের অন্য নেতাদের বাঁচাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট ও আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন দিচ্ছেন। তিনি বাইরে থাকলে সাক্ষীরা হত্যা ও গুমের শিকার হতে পারেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা জারির দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে। তবে দাপ্তরিক সময় অতিবাহিত হওয়ায় তাঁকে এজলাসে তোলা হয়নি। রাতে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে গতকাল হাজির করার নির্দেশ দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মীর কাসেমসহ এ পর্যন্ত জামায়াতের সাতজন নেতা গ্রেপ্তার হলেন। এই দলের সাবেক সদস্য (রুকন) আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে। তবে তিনি পলাতক।
জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ আল মালুম বলেন, মীর কাসেম বাইরে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অসংখ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সাক্ষীরা তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন।
জেয়াদ আল মালুম আরও বলেন, মীর কাসেম জামায়াতের ‘খাজাঞ্চি’। জামায়াতের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি নিজেকে ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার থেকে জামায়াতের অন্য নেতাদের বাঁচাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট ও আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন দিচ্ছেন। তিনি বাইরে থাকলে সাক্ষীরা হত্যা ও গুমের শিকার হতে পারেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা জারির দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে। তবে দাপ্তরিক সময় অতিবাহিত হওয়ায় তাঁকে এজলাসে তোলা হয়নি। রাতে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে গতকাল হাজির করার নির্দেশ দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মীর কাসেমসহ এ পর্যন্ত জামায়াতের সাতজন নেতা গ্রেপ্তার হলেন। এই দলের সাবেক সদস্য (রুকন) আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে। তবে তিনি পলাতক।
No comments