রাজনীতি-সংস্কৃতি-রাজনীতি এবার মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিক... by শেখ হাফিজুর রহমান
সম্প্রতি সরকার ও বিরোধী দল নিজ নিজ কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে আগের চেয়ে নমনীয় এবং একে অপরের প্রতি সহনশীল হয়ে উঠেছে। এতে দীর্ঘদিনের গুমোট ভাব কেটে গিয়ে রাজনীতির জন্য মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমার সব সময়ই মনে হয়েছে যে সমাজের যেকোনো কাঙ্ক্ষিত,
জনহিতকর ও স্থায়ী কল্যাণের জন্য শেষ পর্যন্ত রাজনীতির কাছেই যেতে হয়। সেই ১৯৫২ সালে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিকাশ থেকে শুরু করে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আন্দোলন হয়ে ছয় দফা আন্দোলন, তারও পরে মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে সাহসী ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাজনীতিবিদেরাই ছিলেন। ১৯৯০-পরবর্তী নির্বাচিত সরকারগুলোর শাসনামলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে, সেটিও কম আশাব্যঞ্জক নয়। দুই দশক ধরে আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ৫ থেকে ৭ ভাগের মধ্যে। আমাদের তৈরি পোশাকশিল্প সারা বিশ্বে একটি ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে গেছে। আমাদের ওষুধ কোম্পানিগুলো ৮২টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। আমাদের চামড়াশিল্প, সিরামিকসও ভালো করছে।
যে বাংলাদেশ একসময় ছিল ‘দারিদ্র্যপীড়িত’, ৩০-৩৫ বছর আগেও যে বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে চিহ্নিত করার তৎপরতা লক্ষ করা যেত, সেই বাংলাদেশ আস্তে আস্তে নতুন সম্ভাবনার দেশ হয়ে উঠছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দক্ষ দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সফলভাবে নানা দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দেশব্যাপী অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। আমাদের গড় আয়ু ৫০ থেকে বেড়ে ৬৩ বছর হয়েছে। আগে প্রতি হাজারে যে শিশুমৃত্যুর হার ছিল ২৪০ জন, সেটিকে ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে লৈঙ্গিক অসমতা দূর করা গেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ অসম্ভব আশাব্যঞ্জক। তার চেয়েও অধিক আশাব্যঞ্জক শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ। ২০ লক্ষাধিক নারী তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। অস্বীকার করছি না যে এখনো অনেক লোক চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে, এখনো নারীর প্রতি বৈষম্য ও নিষ্ঠুরতাকে আমরা পুরোপুরি নির্মূল করতে পারিনি, কিন্তু এ কথাও সত্য যে সমাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতিতে বাংলাদেশের জন্য বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ একটি ‘উদার ইসলাম’-এর দেশ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের ব্যাপারে পশ্চিমের দেশগুলোর আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে।
খুব নির্মোহভাবে বিষয়টি স্বীকার করতে হবে যে অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে আমাদের যে উন্নতি, সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে আমাদের যে সাফল্য, সেটি কিন্তু শুরু হয়েছে ১৯৯০-এর পর নির্বাচিত সরকারগুলোর সময় থেকে। নির্বাচিত সরকারগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু তার পরও নির্বাচিত সরকারের নানা প্রতিশ্রুতি পূরণের দায় থাকে, তাদের জনগণের কথা শুনতে হয়, নানা পেশাজীবী শ্রেণীর দাবি মানতে হয়, দাতাগোষ্ঠীর যৌক্তিক দাবিও মানতে হয়, গণমাধ্যমের সমালোচনাও আমলে নিতে হয়। ফলে তাদের হাতেই দেশের ফলপ্রসূ ও স্থায়ী উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। কিছু অর্থনৈতিক সাফল্য ও সামাজিক উন্নয়নের নানা সূচকের অর্জন সে কথাই বলছে।
বছর খানেক ধরে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবি নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে। এতে জাতীয় জীবনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জনগণ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমরা বড় দুটি দলের কাছ থেকে অনেক বেশি দায়িত্বশীলতা আশা করি। দুটি বড় দল কি জাতীয় সংসদকে তাদের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করতে পারে না? আর কোনো ক্ষেত্রে যদি আন্দোলন করতেই হয়, সেটা কি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক হতে পারে না? আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও ও হরতাল-অবরোধ করে কেন জনগণের জন্য ভোগান্তি তৈরি করতে হবে, কেন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে হবে?
সম্প্র্রতি বড় দুটি দলের কর্মকাণ্ডে আমি আশান্বিত হয়েছি। দুটি দলই তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিছুদিন ধরে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতাদের কয়েক দফায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিএনপিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে বলছে যে এখন তাদের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকেও সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
আমাদের কথা হচ্ছে, গণতন্ত্রে সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সংকট উত্তরণে আলাপ-আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। সরকার ও বিরোধী দলের সাম্প্র্রতিক আচরণে সেই সহনশীলতা ও নমনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করব, তারা খোলা মন নিয়ে সংলাপে বসবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকার নিয়ে আলোচনায় বসতে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাধা কোথায়? তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাটি তো আওয়ামী লীগের আন্দোলনেরই ফসল! আর নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করতে বিএনপির বাধা কোথায়? কেননা, পাঁচ বছর পর হোক আর ১০ বছর পর হোক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের দিকেই আমাদের যেতে হবে। মেয়াদকালীন বা মেয়াদোত্তীর্ণ যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সব গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনই জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। বড় দুটি দলের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা সংলাপে বসুন। নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে একমত হয়ে করণীয় নির্ধারণ করুন, নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা তৈরি করুন। আমরা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চাই। আমরা প্রত্যাশা করি, এ রাষ্ট্রে উদার গণতন্ত্রের বিকাশ হবে। অর্থনীতি, শিক্ষা, ক্রিকেট ও সামাজিক উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অমিত সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, রাজনীতিবিদেরা সেটিকে এগিয়ে নেবেন বলে আমরা আশা করি।
শেখ হাফিজুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
যে বাংলাদেশ একসময় ছিল ‘দারিদ্র্যপীড়িত’, ৩০-৩৫ বছর আগেও যে বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে চিহ্নিত করার তৎপরতা লক্ষ করা যেত, সেই বাংলাদেশ আস্তে আস্তে নতুন সম্ভাবনার দেশ হয়ে উঠছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দক্ষ দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সফলভাবে নানা দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দেশব্যাপী অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। আমাদের গড় আয়ু ৫০ থেকে বেড়ে ৬৩ বছর হয়েছে। আগে প্রতি হাজারে যে শিশুমৃত্যুর হার ছিল ২৪০ জন, সেটিকে ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে লৈঙ্গিক অসমতা দূর করা গেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ অসম্ভব আশাব্যঞ্জক। তার চেয়েও অধিক আশাব্যঞ্জক শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ। ২০ লক্ষাধিক নারী তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। অস্বীকার করছি না যে এখনো অনেক লোক চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে, এখনো নারীর প্রতি বৈষম্য ও নিষ্ঠুরতাকে আমরা পুরোপুরি নির্মূল করতে পারিনি, কিন্তু এ কথাও সত্য যে সমাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতিতে বাংলাদেশের জন্য বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ একটি ‘উদার ইসলাম’-এর দেশ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের ব্যাপারে পশ্চিমের দেশগুলোর আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে।
খুব নির্মোহভাবে বিষয়টি স্বীকার করতে হবে যে অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে আমাদের যে উন্নতি, সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে আমাদের যে সাফল্য, সেটি কিন্তু শুরু হয়েছে ১৯৯০-এর পর নির্বাচিত সরকারগুলোর সময় থেকে। নির্বাচিত সরকারগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু তার পরও নির্বাচিত সরকারের নানা প্রতিশ্রুতি পূরণের দায় থাকে, তাদের জনগণের কথা শুনতে হয়, নানা পেশাজীবী শ্রেণীর দাবি মানতে হয়, দাতাগোষ্ঠীর যৌক্তিক দাবিও মানতে হয়, গণমাধ্যমের সমালোচনাও আমলে নিতে হয়। ফলে তাদের হাতেই দেশের ফলপ্রসূ ও স্থায়ী উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। কিছু অর্থনৈতিক সাফল্য ও সামাজিক উন্নয়নের নানা সূচকের অর্জন সে কথাই বলছে।
বছর খানেক ধরে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবি নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে। এতে জাতীয় জীবনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জনগণ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমরা বড় দুটি দলের কাছ থেকে অনেক বেশি দায়িত্বশীলতা আশা করি। দুটি বড় দল কি জাতীয় সংসদকে তাদের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করতে পারে না? আর কোনো ক্ষেত্রে যদি আন্দোলন করতেই হয়, সেটা কি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক হতে পারে না? আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও ও হরতাল-অবরোধ করে কেন জনগণের জন্য ভোগান্তি তৈরি করতে হবে, কেন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে হবে?
সম্প্র্রতি বড় দুটি দলের কর্মকাণ্ডে আমি আশান্বিত হয়েছি। দুটি দলই তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিছুদিন ধরে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতাদের কয়েক দফায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিএনপিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে বলছে যে এখন তাদের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকেও সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
আমাদের কথা হচ্ছে, গণতন্ত্রে সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সংকট উত্তরণে আলাপ-আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। সরকার ও বিরোধী দলের সাম্প্র্রতিক আচরণে সেই সহনশীলতা ও নমনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করব, তারা খোলা মন নিয়ে সংলাপে বসবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকার নিয়ে আলোচনায় বসতে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাধা কোথায়? তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাটি তো আওয়ামী লীগের আন্দোলনেরই ফসল! আর নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করতে বিএনপির বাধা কোথায়? কেননা, পাঁচ বছর পর হোক আর ১০ বছর পর হোক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের দিকেই আমাদের যেতে হবে। মেয়াদকালীন বা মেয়াদোত্তীর্ণ যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সব গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনই জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। বড় দুটি দলের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা সংলাপে বসুন। নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে একমত হয়ে করণীয় নির্ধারণ করুন, নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা তৈরি করুন। আমরা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চাই। আমরা প্রত্যাশা করি, এ রাষ্ট্রে উদার গণতন্ত্রের বিকাশ হবে। অর্থনীতি, শিক্ষা, ক্রিকেট ও সামাজিক উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অমিত সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, রাজনীতিবিদেরা সেটিকে এগিয়ে নেবেন বলে আমরা আশা করি।
শেখ হাফিজুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments