মীর কাসেমের জামিন বিষয়ে আদেশ আজ-গোলাম আযমের ২ আবেদন খারিজ
একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর জামিন আবেদনের ওপর গতকাল সোমবার শুনানি শেষ হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাসেম আলীকে কারাবন্দি রাখার আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
উভয় বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেবেন বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এদিকে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মামলা স্থানান্তর করতে আসামি পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে থাকা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এনজিওগ্রাম করার আগে তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করার মৌখিক আবেদন খারিজ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই ট্রাইব্যুনালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার নম্বর সাক্ষী গৌরাঙ্গ সিংহকে জেরা করা অব্যাহত রয়েছে।
মীর কাসেম আলীকে গতকাল সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকসহ আইনজীবীরা তাঁর কাছ থেকে ওকালতনামায় সই নেন। পরে কাসেমের জামিনের আবেদন দাখিল করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এরপর ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন। জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতা। তিনি সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি। সমাজে তাঁর অনেক চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান আছে। একাধিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি অসুস্থ। পাসপোর্ট জমা দেওয়াসহ যেকোনো শর্তে জামিন দিলে এর অপব্যবহার করা হবে না। বিদেশে ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে বলা বা সাক্ষীকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্জাক বলেন, ২০১০ সালের মার্চের পর মীর কাসেম আলী কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, মীর কাসেম আলীকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত ব্যাহত হবে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন তিনি। সাক্ষী গুম হয়ে যাবে। মালুম বলেন, চল্লিশ বছর আগে যাঁরা মীর কাসেমের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আজও বেঁচে আছেন তাঁরা বিচারের আশায় বুক বেঁধেছেন। একইভাবে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাবন্দি রাখা হোক। ট্রাইব্যুনাল উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনাল আজ তাঁকে হাজির করতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
গত রবিবার ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মতিঝিলের দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে মীর কাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গোলাম আযমের মামলা স্থানান্তর ও রিভিউ আবেদন খারিজ : একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ৩০ লাখ নিরস্ত্র বাঙালি হত্যা, দুই লাখ নারীকে ধর্ষণ, এক কোটি মানুষকে দেশান্তর করার মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, উসকানিদাতা, প্ররোচনাকারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সিরু মিয়াসহ ৩৮ ব্যক্তিকে হত্যাকারী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে গত ১৩ মে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ, জি, এইচ, এফ) এবং ৪(১ ও ২) ধারায় এসব অভিযোগ গঠন করা হয়। এ আদেশ রিভিউ করার আবেদন করেছিলেন গোলাম আযম। আবেদনটি গতকাল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গোলাম আযমের মামলা ২নং ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তরের আবেদনও খারিজ করা হয়েছে।
এদিকে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মামলা স্থানান্তর করতে আসামি পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে থাকা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এনজিওগ্রাম করার আগে তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করার মৌখিক আবেদন খারিজ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই ট্রাইব্যুনালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার নম্বর সাক্ষী গৌরাঙ্গ সিংহকে জেরা করা অব্যাহত রয়েছে।
মীর কাসেম আলীকে গতকাল সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকসহ আইনজীবীরা তাঁর কাছ থেকে ওকালতনামায় সই নেন। পরে কাসেমের জামিনের আবেদন দাখিল করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এরপর ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন। জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতা। তিনি সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি। সমাজে তাঁর অনেক চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান আছে। একাধিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি অসুস্থ। পাসপোর্ট জমা দেওয়াসহ যেকোনো শর্তে জামিন দিলে এর অপব্যবহার করা হবে না। বিদেশে ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে বলা বা সাক্ষীকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্জাক বলেন, ২০১০ সালের মার্চের পর মীর কাসেম আলী কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, মীর কাসেম আলীকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত ব্যাহত হবে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন তিনি। সাক্ষী গুম হয়ে যাবে। মালুম বলেন, চল্লিশ বছর আগে যাঁরা মীর কাসেমের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আজও বেঁচে আছেন তাঁরা বিচারের আশায় বুক বেঁধেছেন। একইভাবে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাবন্দি রাখা হোক। ট্রাইব্যুনাল উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনাল আজ তাঁকে হাজির করতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
গত রবিবার ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মতিঝিলের দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে মীর কাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গোলাম আযমের মামলা স্থানান্তর ও রিভিউ আবেদন খারিজ : একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ৩০ লাখ নিরস্ত্র বাঙালি হত্যা, দুই লাখ নারীকে ধর্ষণ, এক কোটি মানুষকে দেশান্তর করার মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, উসকানিদাতা, প্ররোচনাকারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সিরু মিয়াসহ ৩৮ ব্যক্তিকে হত্যাকারী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে গত ১৩ মে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ, জি, এইচ, এফ) এবং ৪(১ ও ২) ধারায় এসব অভিযোগ গঠন করা হয়। এ আদেশ রিভিউ করার আবেদন করেছিলেন গোলাম আযম। আবেদনটি গতকাল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গোলাম আযমের মামলা ২নং ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তরের আবেদনও খারিজ করা হয়েছে।
No comments