নতুন ঘর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক-ক্ষতিপূরণ জালিয়াতি
রোববার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘ঘর তোলার হিড়িক পদ্মা সেতু এলাকায়’ শিরোনামে যে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাতে মানুষের লোভ-প্রবৃত্তিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এত দিন সরকারি স্থাপনা নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি হওয়ার খবর পত্রপত্রিকায় ছাপা হতো।
কিন্তু শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলার প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু এলাকায় ঠিক এর বিপরীত ঘটনাই ঘটেছে। সেখানে সেতু নির্মাণের জন্য এ পর্যন্ত ৯৫৬ দশমিক ৯২ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ২৬০ একর জমি হুকুমদখল করা হয়েছে। এর বিপরীতে দুই হাজার ১০০ জনকে ১৯ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেক দেওয়া হয়েছে। অন্যদের চেক দেওয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় হুকুমদখল করা জায়গায় কিছু লোক বাড়তি ক্ষতিপূরণের আশায় ঘর নির্মাণ করেছে। গত ছয় মাসে সেখানে তিন হাজার নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতি বর্গফুট স্থাপনার জন্য এক হাজার থেকে দুই হাজার ১০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে।
কেবল স্থানীয় বাসিন্দারাই নন, বাইরের লোকজন এসে জমি ভাড়া নিয়ে ঘর তুলেছেন বলেও প্রমাণ রয়েছে। স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি জেলা প্রশাসককে মৌখিকভাবে জানালেও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে ঘর তোলার কাজ অব্যাহত রয়েছে। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তালিকা থেকে নতুন ঘর বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন। প্রশ্ন হলো, ঘর তোলার সময়ই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাধা দেওয়া হলো না কেন? এর আগে যমুনা সেতু নির্মাণের সময় একশ্রেণীর মানুষ এভাবে ঘর নির্মাণ করে ক্ষতিপূরণের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল প্রশাসনের সহায়তায়।
ক্ষতিপূরণ আদায়ের নামে এই জালিয়াতি বন্ধের দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। তবে এলাকাবাসীও দায় এড়াতে পারে না। দেশের বৃহত্তম এই সেতু নির্মিত হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব সূচিত হবে, অর্থনীতি গতিশীল হবে। এ জন্য অবশ্যই সেতু-সন্নিহিত এলাকার মানুষ গৌরব বোধ করতে পারে। দু-চারজন অসাধু ব্যক্তির কারণে গোটা এলাকার গৌরব নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন নাগরিকদের উচিত এ ধরনের অন্যায়কাজ প্রতিরোধ করা। জমিতে আগে স্থাপনা ছিল কি না, তা জেলা প্রশাসনের চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই ভালো জানার কথা। আর প্রশাসনের কর্তব্য হবে ক্ষতিপূরণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
কেবল স্থানীয় বাসিন্দারাই নন, বাইরের লোকজন এসে জমি ভাড়া নিয়ে ঘর তুলেছেন বলেও প্রমাণ রয়েছে। স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি জেলা প্রশাসককে মৌখিকভাবে জানালেও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে ঘর তোলার কাজ অব্যাহত রয়েছে। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তালিকা থেকে নতুন ঘর বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন। প্রশ্ন হলো, ঘর তোলার সময়ই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাধা দেওয়া হলো না কেন? এর আগে যমুনা সেতু নির্মাণের সময় একশ্রেণীর মানুষ এভাবে ঘর নির্মাণ করে ক্ষতিপূরণের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল প্রশাসনের সহায়তায়।
ক্ষতিপূরণ আদায়ের নামে এই জালিয়াতি বন্ধের দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। তবে এলাকাবাসীও দায় এড়াতে পারে না। দেশের বৃহত্তম এই সেতু নির্মিত হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব সূচিত হবে, অর্থনীতি গতিশীল হবে। এ জন্য অবশ্যই সেতু-সন্নিহিত এলাকার মানুষ গৌরব বোধ করতে পারে। দু-চারজন অসাধু ব্যক্তির কারণে গোটা এলাকার গৌরব নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন নাগরিকদের উচিত এ ধরনের অন্যায়কাজ প্রতিরোধ করা। জমিতে আগে স্থাপনা ছিল কি না, তা জেলা প্রশাসনের চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই ভালো জানার কথা। আর প্রশাসনের কর্তব্য হবে ক্ষতিপূরণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
No comments