আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সুরাহা হোক-ঈশ্বরদী ইপিজেডে সংঘর্ষ
পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) দুটি কারখানার শ্রমিকদের কর্মবিরতিকে কেন্দ্র করে গত রোববার যে সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে তা যেমন দুঃখজনক, তেমনি অনাকাঙ্ক্ষিত। উভয় পক্ষ সংযত ও সহিষ্ণু আচরণ করলে অনায়াসে এই অঘটন এড়ানো যেত।
গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইপিজেডের রোশিতা নিটওয়্যার লিমিটেড ও মেগাটেক্স নিটার্স কারখানার শ্রমিকেরা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডেকে আনলে তারা সেখানে গিয়ে একজন নারীশ্রমিককে বেধড়ক মারধর করে। এর ফলে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করেন। যার জের ধরে কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে এবং শ্রমিক-কর্মকর্তা ও পুলিশসহ দেড় শতাধিক লোক আহত হয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কিংবা কারখানার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ডাকতে পারে। কিন্তু সেই পুলিশ কেন একজন নারীশ্রমিককে বেধড়ক মারধর করবে? শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করলেও কারখানায় হামলা চালিয়েছেন, এমন দাবি কেউ করেননি। তাহলে শ্রমিকদের পুলিশ মারধর করল কেন? এ ব্যাপারে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইন্ধন ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। দেখা প্রয়োজন এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো বাড়াবাড়ি ছিল কি না? তাদের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, মালিকের পক্ষ হয়ে শ্রমিকদের পেটানো নয়। শ্রমিকেরা প্রথমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হননি, তাঁরা তখনই চড়াও হয়েছেন, যখন পুলিশ বেধড়ক তাঁদের মারধর করে।
কারখানা দুটি ফের উৎপাদনে যাওয়ার স্বার্থেই কর্তৃপক্ষের উচিত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন বাড়ানোসংক্রান্ত তাঁদের দাবির বিষয়টি ফয়সালা করা। একই সঙ্গে শ্রমিক হয়রানিও বন্ধ করতে হবে। কারখানা পরিচালনায় মালিকের পুঁজি যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি শ্রমিকের শ্রম। তাদের বুঝতে হবে শ্রমিকেরাই হলেন কারখানার মূল চালিকাশক্তি। আর শ্রমিকদেরও কারখানা বন্ধ করে নয়, চালু রেখেই দাবিদাওয়া আদায় করতে হবে। আমরা চাই, অবিলম্বে ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক।
কারখানা কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কিংবা কারখানার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ডাকতে পারে। কিন্তু সেই পুলিশ কেন একজন নারীশ্রমিককে বেধড়ক মারধর করবে? শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করলেও কারখানায় হামলা চালিয়েছেন, এমন দাবি কেউ করেননি। তাহলে শ্রমিকদের পুলিশ মারধর করল কেন? এ ব্যাপারে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইন্ধন ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। দেখা প্রয়োজন এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো বাড়াবাড়ি ছিল কি না? তাদের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, মালিকের পক্ষ হয়ে শ্রমিকদের পেটানো নয়। শ্রমিকেরা প্রথমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হননি, তাঁরা তখনই চড়াও হয়েছেন, যখন পুলিশ বেধড়ক তাঁদের মারধর করে।
কারখানা দুটি ফের উৎপাদনে যাওয়ার স্বার্থেই কর্তৃপক্ষের উচিত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন বাড়ানোসংক্রান্ত তাঁদের দাবির বিষয়টি ফয়সালা করা। একই সঙ্গে শ্রমিক হয়রানিও বন্ধ করতে হবে। কারখানা পরিচালনায় মালিকের পুঁজি যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি শ্রমিকের শ্রম। তাদের বুঝতে হবে শ্রমিকেরাই হলেন কারখানার মূল চালিকাশক্তি। আর শ্রমিকদেরও কারখানা বন্ধ করে নয়, চালু রেখেই দাবিদাওয়া আদায় করতে হবে। আমরা চাই, অবিলম্বে ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক।
No comments